
বীর সিংহ
আসীর ইনতিসার
কর গর্জন, কর সম্মান অর্জন,
বজ্রকন্ঠ ন্যায় দাও ভাষণ।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ,
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
বল বীর সিংহ,
তুমি ঝড়, তুফান, ভূ-কম্প
তুমি যুদ্ধ আরম্ভ,
তুমি হও চির বিদ্রোহী
পূব আকাশের অস্তগামী,
নিষিদ্ধ গোলাজাহাজ,
ফেল ভূ-পৃষ্ঠে বাজ।
এখন আমি,
নিষিদ্ধ হিটলার
ইতিহাসের কুখ্যাত নায়ক,
এক লড়াকু সৈনিক,
আমি ঝঞ্ঝা বজ্রহাওয়া,
যেথায় দুঃসাধ্য আগুন দাওয়া,
আমি বন্দুকের নল,
হিংস্র জানোয়ারের দলবল।
বল বীর সিংহ,
তুমি রক্তিম আকাশের লাল সূর্য,
তুমি পারমাণবিক বোমা,
তুমি রক্তের স্রোত বন্যা।
এখন আমি,
তুমুল বিপ্লবী
দেশ গড়ার এক স্বপ্নবাজ আজাদী,
আমি তলোয়ারের সুখ,
প্রতিপক্ষের দুখ।
আমি বীর ওসমান হাদী,
আমি রক্তগরম ভাষন,
আমিই বীর সিংহ
অকাল রক্ত গৃহ।
বল বীর সিংহ,
‘নেমে যাও রণক্ষেত্র,
কর রণ শত্রুপক্ষে যত্রতত্র’
এই শপথ লও মন শক্ত,
কর উত্তপ্ত রক্ত।
এখন আমি,
বিষাক্ত সাপ,
ধ্বংস কার্যকলাপ।
পবিত্র ভূমির তীব্র বাসনা,
নজরুলের বিদ্রোহী রচনা।
আমি হিমাংশু-অংশুমালী।
বল বীর সিংহ!
তুমি আটলান্টিকের ঢেউ,
গভীর সমুদ্রের হাঙর,
তুমি যন্ত্রণা শত শত্রুর।
তুমি বিষাক্ত বিষের আলিঙ্গন কেউ।
তুমি সমরের এক তলোয়ার,
তুমি হিংস্র বেঙ্গল টাইগার।
এখন আমি,
আগুনের উত্তপ্ত শিখা,
লোহার অনন্ত রেখা,
আমি বিপ্লবী, আমি যন্ত্রণা শত
অসুর-হিংসির।
বল বীর সিংহ, বান্ধব!
তুমি দলে আসলে হয় যত শৃঙ্খল,
তুমি প্রদীপ, আমি ধ্বংস,
আমি জ্বালাময় কন্ঠ
যা ন্যায় বজ্র সহস্র।
আমি চিরমঞ্চে এক,
দূর্দম এক বিদ্রোহী।
বল বীর সিংহ,
এ মঞ্চে দুর্বার আগ্রহী।




