২১টি সেরা বৃষ্টি নিয়ে কবিতা কবিতা ২০২৪

বৃষ্টি নিয়ে কবিতা, ছন্দ ও অল্প কিছু কথা নিয়ে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। লেখকের প্রকৃতিকে অনুভব করে লেখছেন আর পাঠকের প্রকৃতি অনুভবের সাথে সাথে তা আরো আকর্ষণীয় করার জন্য  পড়ছেন নান্দনিক কিছু লেখা। লেখা প্রকাশ কিংবা সংগ্রহের সেরা প্লাটফর্ম চিরকুটে সাহিত্য প্লাটফর্মে আপনাকে স্বাগতম।

 

বৃষ্টি নিয়ে কবিতা

আয়শা আক্তার শিল্পী

 

বৃষ্টি মানে উদাস মনে
আমি তোমায় ছোঁবো
বৃষ্টি মানে অনেক কেঁদেছি
এবার চোখের জল ধোবো।

বৃষ্টি মানে রঙ ফিরেছে
সবুজ পাতার; গাছেরা চঞ্চল
বৃষ্টি মানে জলের জোয়ার
আজ ভিজাবো অঞ্চল।

বৃষ্টি মানে ভাসবে উঠোন
ভিজবে টিনের চাল
বৃষ্টি মানে আসবে তুমি
ভাঙবে অভিমান।

 

 

বৃষ্টি পড়ে

মুহাম্মদ মুকুল মিয়া

 

বৃষ্টি পড়ে ফুল-বাগিচায়
বৃষ্টি পড়ে চালে,
বৃষ্টি পড়ে ক্ষেত-খামারে
বৃষ্টি পড়ে ডালে।

জবুথবু শালিক পাখির
বৃষ্টি ভেজা স্বর,
রিপন মিয়ার কাজ চলেনা
হয়না সুখের ঘর।

আকাশ থেকে ঝমঝমিয়ে
নামে শুধুই ঢল,
পানির তোড়ে যায় উজিয়ে
খলসে-পুঁটির দল।

ধীরে ধীরে আঁধার নামে
বৃষ্টি বাড়ে বেশি,
বৃষ্টি ভেজা বাংলাদেশটা
বড্ড ভালোবাসি।

ঠিকানাঃ কাফাটিয়া, লেমুবাড়ি, মানিকগঞ্জ।

 

বৃষ্টির দিনে কবিতা

জামিনুর ইসলাম

 

রোদের মাঝে মেঘের ছায়া
রৌদ্র গেছে সরে
মেঘ আকাশে মেঘের হাওয়ায়
বৃষ্টি পড়ে জোরে ।
বৃষ্টি এসে আলসে গেল
দুপুর বেলার ঘুম
মনের ঘরে ফূর্তি জাগে
বৃষ্টি পড়ার ধুম ।
জলের ফোঁটায় টাপুর টুপুর
বইছে সবুজ ধানে
পদ্ম ফুলে জল গড়িয়ে
ভরছে দিঘির পানে ।
খাল বিলেতে ঢেউয়ের খেলা
গাইছে ব্যাঙের গান
টুপটুপিয়ে জলের দুপুর
নাচছে সবার প্রাণ ।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
বৃষ্টি ভিজি আয়
সোনার খাট ছেড়ে এবার
কাদা মাখি গায় ।

জামালপুর , বাংলাদেশ

 

বৃষ্টির মধ্যে

নীল কমল গাঙ্গুলী

 

সারাটাদিন ঝমঝম করে

বৃষ্টি যাচ্ছে ঝরে,
বাইরে যেতে পারছি না তাই
বসে আছি ঘরে।

রাস্তাঘাট সব জলে জলে
গেছে দেখি ভরে,
এই অবস্থায় অফিস যাবো
বলো কেমন করে।

বৃষ্টি ভিজে হয়ত আমার
জ্বর খুব হতে পারে,
বলো তখন ডাক্তার আনতে
বলবো আমি কারে।

তার চেয়ে ভাই বৃষ্টির মধ্যে
ঘরেই থাকি বসে,
গরম গরম খিচুড়ি খাই
ঘুম লাগবো কষে।

 

 

খুকুর বর্ষা

দিলীপ আচার্য

 

অলস দুপুর পায়ে নুপূর
হঠাৎ আকাশ ডাকে,
কালো মেঘে ঢাকল আকাশ
সোঁদা গন্ধ নাকে।।

পাখির ঝাঁকও এল উড়ে
বসল গাছের ডালে,
বর্ষা-গানে খুকু আমার
নাচবে তালে তালে।।

দূরে কোথায় বর্ষারাণী
হয়ত গেছে এসে,
ভেজা মাটির গন্ধে খুকুর
মন উঠেছে হেসে।।

আজকে খুকু বেজায় খুশি
বর্ষা এস তুমি,
তৃপ্ত করো শিশুর এ মন
সিক্ত করো ভূমি।।

বালি হাওড়া পশ্চিমবঙ্গ

 

 

মানবতার আশায়

আনন্দ বক্সী

 

বৃষ্টি মেয়ে দুঃখে যখন
ঝরঝরিয়ে কাঁদে
নদীর দু’কূল ছাপিয়ে, জল
আঘাত করে বাঁধে।

সামলাতে না পারলে আঘাত
বানভাসি হয় সকল
বানের জলে সবকিছুকে
তখন করে দখল।

আরো পড়ুনঃ  সেরা ১০ টি মা বাবাকে নিয়ে কবিতা

সব হারিয়ে মানুষ যখন
কষ্টে ফালাফালা
সে জ্বালাকে দ্বিগুণ করে
পেটের ক্ষুধার জ্বালা।

ত্রাণশিবিরে যদি বা পায়
সে একটুখানি ঠাঁই
মিটবে কখন উদর জ্বালা
কোন গ্যারান্টি নাই।

আনছে কি কেউ ক্ষুধার অন্ন
এদিক ওদিক তাকায়
অপেক্ষাতে কাটায় প্রহর
মানবতার আশায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

বৃষ্টি নিয়ে কবিতা

শেখ জাবেদ

 

বৃষ্টি নামের যেই কিশোরী
জলের নুপুর পরে,
বাতাস পেলে নাচের তালে
ধরার বুকে ঝরে।

ভিজিয়ে খোকার বই ও খাতা
ধুইয়ে গাছের ফুল ও পাতা
জমতে থাকে পানি,

সেই পানি যেই আসে ধেয়ে
বাঁধ ভেঙ্গে বা পাহাড় বেয়ে
হয় শুরু হয়রানি।

গবাদি পশু, ক্ষেত, মাঠ
ভাসিয়ে বাড়িঘর পথঘাট
চলে বৃষ্টি-কন্যা,
জনজীবন বিপর্যস্ত
দেয় করে এই বন্যা।

 

বৃষ্টি এলো

পীযূষ কান্তি সরকার

 

বৃষ্টি এলো জোর কদমে
ডালে ডালে লাগল দোলা,
শুষ্ক – রুক্ষ মাটির বুকে
প্রলয় – নাচন নাচল ভোলা।

প্রথম বৃষ্টি কালবোশেখীর
ডালে কচি আমের সারি,
ঝড়ের দোলায় দুলে দুলে
কাটিয়ে মায়া দিল পাড়ি।

রইল যারা ভিজল তারা
সতেজ হল বৃষ্টি-স্নানে,
সোঁদা-গন্ধ ছড়িয়ে বাতাস
উঠল মেতে মধুর গানে।

শুষ্ক-মাটি সরস হল
জীর্ণ পাতা পড়ল ঝরে,
চলে প্রকৃতির আজব খেলা
দুঃখ-সুখের চরাচরে।

কদমতলা, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

 

মেঘের কান্না

চম্পা মৃধা

 

মেঘে মেঘে ঝগড়া করে
কেঁদে দিল শেষে,
বৃষ্টি হয়ে ঝরছে দেখ
মৃত্তিকার এই দেশে।

মাটির বুকে সবুজ ধারা
প্রাণ যে ফিরে পেল,
কানন ভরা ফুলের রাশি
সৌরভ ভরে গেল।

ব্যাঙেরা সব নৃত্য করে
পেয়ে বারি ধারা,
খুশির চোটে ডাকছে সবাই
হয়ে আত্ম হারা।

মেঘেরা সব অবাক হয়ে
গেল যেন থমকে,
বৃষ্টির মাঝে গুড়ুম করে
ডেকে দিল ধমকে।

দোহার, ঢাকা, বাংলাদেশ

 

বৃষ্টি রাণী

অজিত চৌধুরী

দুবরাজপুর, বীরভূম

 

দূপুর থেকে মেঘলা আকাশ
ঘনায় অন্ধকার,
লুকিয়ে আছে সূর্যিমামা
নেইযে দেখা তার ।

ঝলকানি আর চমকানিতে
আওয়াজ গুরু গুরু,
আওয়াজ শুনেই বৃষ্টিরাণী
করলো ঝরা শুরু ।

মন যে আমার উতলা হলো
সোঁদা মাটির গন্ধে,
বৃষ্টি ধারা ঝড়ো হাওয়ায়
সুর তুলেছে ছন্দে ।

থেকে থেকে বজ্র নিদাঘ
উঠছে কেঁপে বুক
তবুও তুমি বৃষ্টি রাণী
আমার মনের সুখ ।

 

আকাশ জুড়ে

স্বপন মুখোপাধ্যায়

 

আকাশ জুড়ে স্তব্ধতা আর
কৃষ্ণ মেঘের ঘটা,
চকিত আলোর রূপ তরঙ্গে
সৌদামিনীর ছটা।

আকুল অধীর বনস্পতির
প্রাণ জুড়ানো গানে,
হঠাৎ শুরু টাপুর টুপুর
মেঘমল্লার তানে।

ঝম ঝমা ঝম অঝোর ধারা
দমকা হাওয়ার সাথে,
উপচে দিলো মনের দু’কূল
ঘর ভাঙা সেই রাতে।

ঝিনুকমালার অচিন দেশে
তীব্র দহন দুখে,
একলা আমি তোমায় খুঁজি
ঝরা পাতার বুকে।

রাত কেটে যায় সকাল আসে
চুপ আরুশির গোঠে,
অবুঝ আমার ভালোবাসা
কদম হয়ে ফোটে।

বীরভূম,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।

 

বর্ষা দিনের ছবি

স্বপনকুমার বিজলী

বর্ষা দিনে ঝমঝমিয়ে
এল আঁধার করে
জানলা দিয়ে কত ছবি
দেখছি দু’চোখ ভরে ।

আরো পড়ুনঃ  ১০+ সেরা ইসলামিক কবিতা ২০২৪

পথের পাশে জল জমেছে
যখন চাষের ক্ষেতে
তিন জোড়া ব্যাঙ গান ধরেছে
আনন্দে খুব মেতে ।

ভিজছে বসে কদম গাছে
একটা শালিক ছানা
মা যে কখন আসবে কাছে
নেই কিছু তার জানা ।

তিনটে কুকুর বর্ষা দুপুর
খেলছে মাঠে ভিজে
আমারও সাধ একটু ভিজি
এখন করি কী যে !

কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ  ভারত।

 

 

 বর্ষাকালে 

মোঃ রফিকুল ইসলাম

মেঘ জমেছে ঈশান কোণে
একটু’ও নাই আলো,
এই বুঝি ভাই ঝরবে বারি
গগনটা তাই কালো ।

মাঠের পরে গরু গুলো
হাম্বা হাম্বা ডাকে,
কাক গুলো যে হচ্ছে জড়ো
বুড়ো আমের শাখে ।

বাতায়নে চোখ রাখিয়া
ভাবি মনে মনে,
ঝুড়ি ভরে আম কুড়াব
গিয়ে আমের বনে ।

গুড়ুম গুড়ুম শব্দ করে
আঁধার এলো ছেয়ে,
ঝম ঝমা ঝম নামলো বারি
সঙ্গে বাতাস ধেয়ে ।

প্রবল বেগে বইছে বাতাস
উড়ছে পাখির বাসা,
পাখিগুলো করছে লড়াই
বেঁচে থাকার আশা ।

 

বৃষ্টি পড়ে

নিলুফার জাহান

ঈশান কোণে মেঘ জমেছে
নামলো অঝোর বৃষ্টি
শীতল পরশ দেয় বুলিয়ে
কী অপরূপ সৃষ্টি।

ঝর ঝর ঝর বৃষ্টি পড়ে
লাগছে ভীষণ ভালো
বৃষ্টি ভেজা সকাল দুপুর
আকাশ আঁধার কালো।

বৃষ্টি পড়ে ঘরের চালে
বৃষ্টি পড়ে জলে
রাস্তা ঘাট সব জলে ডুবে
খেলছে হাঁসের দলে।

বৃষ্টির সাথে মনটা নাচে
হৃদয় ভরে সুরে
ইচ্ছে করে যাই ছুটে যাই
সবুজ ঘেরা দূরে।

ঢাকা, বাংলাদেশ।

 

 

বৃষ্টি পড়ে

আসগার আলি মণ্ডল

বৃষ্টি পড়ে সবুজ ঘাসে
বৃষ্টি পড়ে পাতায়
বৃষ্টি পড়ে টুপ-টুপ-টুপ
ছাতা বিহীন মাথায়।

বৃষ্টি পড়ে খোলা মাঠে
বৃষ্টি পড়ে ছাদে
বৃষ্টি পড়ে রিম-ঝিম-ঝিম
কাঁচা মাটির বাঁধে।

বৃষ্টি পড়ে পথে-ঘাটে
বৃষ্টি পড়ে ফুলে
বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর
ভরা নদীর কুলে।

বৃষ্টি পড়ে মনের কোনে
বৃষ্টি পড়ে ঝিলে
বৃষ্টি পড়ে ঝম-ঝমিয়ে
ভিজি সবাই মিলল।

বাউড়িয়া,হাওড়া

 

বৃষ্টি নিয়ে কবিতা 

ভাগ্য‌ধর হাজারী

দক্ষিণেশ্বর, কলকাতা

 

অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরে
মেঘলা আকাশ থেকে ,
বর্ষা দিনের গরম উধাও
আকাশ গেছে ঢেকে ।

বৃষ্টি তো নয় , মধুর স্বপন
স্বস্তি আসে মনে–
গাছগাছালি পাখপাখালি
কে কার কথা শোনে ।

তপ্ত মাটি শীতল হলো
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে–
কড় কড় কড় বাজের আওয়াজ
বুকটা উঠে কেঁপে ।

বৃষ্টি আনে প্রাণের জোয়ার
ভাঙলো বীজের ঘুম–
লাজুক লাজুক কচিপাতার
মনের ভেতর ধুম ।

বৃষ্টি জোগায় বাঁচার রসদ
বৃষ্টি জাগায় আশা–
বৃষ্টি ফোঁটায় আকাশ থেকে
ঝরছে ভালোবাসা ।

ভাগ্যধর হাজারী
” প্রিয়দর্শী “

 

বৃষ্টি পড়ুক

রবীন্দ্র নাথ মর্দ্দন‍্যা

বৃষ্টি পড়ুক বৃষ্টি ঝরুক
গ্ৰাম বাংলার মাঠে ।
বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি আসুক
পুকুর নদী ঘাটে।

বৃষ্টি করুক শীতল ভুবন
কাটুক দহন বেলা।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে ফুটুক
হাজার ফুলের মেলা।

বৃষ্টি আনুক সকল প্রাণে
হাজার খুশির ধারা।
নাচুক নদী ঢেউয়ের তালে
বহুক পাগল পারা।

আরো পড়ুনঃ  সেরা ১০টি বৃষ্টি ভেজা রাত নিয়ে কবিতা

আকাশ ঢাকুক কৃষ্ণ মেঘে
আসুক আঁধার কালো।
মাঠের বুকে ঐ জল থৈ থৈ
সবার চেয়ে ভালো।

বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি নামুক
ঝরুক অঝোর ধারে।
শান্তি সুধায় ভুবন আমার
ভরুক বারে বারে।

 

হঠাৎ বৃষ্টি | বৃষ্টি নিয়ে কবিতা
হঠাৎ বৃষ্টি | বৃষ্টি নিয়ে কবিতা

হঠাৎ বৃষ্টি

শ্রীমন্ত সেন

হঠাৎ কী যে বৃষ্টি এল ঝমঝমিয়ে বাইরে,
বুকেও এল বৃষ্টি ধারা– বিরাম মোটে নাই রে।
সব একাকার আলো-আঁধার, মন্দ্র ধারাপাত রে,
ভিজছে বাতাস, অনুভবে ভিজছে মনের খাত রে।

ঝড়ো হাওয়ায় মনের মধ্যে সুখ ও দুখের ভ্রান্তি,
একলসেঁরে একলা থাকার হিসেব কড়া-ক্রান্তি
ভেসে বেড়ায় এদিক ওদিক– চালটি যেন দুলকি,
গুলিয়ে যায় সত্য কী যে, গুলিয়ে যায় ভুল কী!

বৃষ্টি নিজে ভিজতে জানে, অন্যজনেও ভেজায়,
কেউ না ভিজতে চাইলে সঙ্গে যায় রেগে সে বেজায়।
খুনসুটিতে বড়ই দড়, চমকানো তার স্বভাব,
ভিজতে চাইলে আনন্দে কেউ হয় না বৃষ্টির অভাব।

যখন খুশি, যেথায় খুশি চাইলে পাবে বৃষ্টি
মনটা শুধু রাজি হলে, থাকলে ভাবুক দৃষ্টি।
সবার মনেই বৃষ্টি আছে, সবার মনেই রোদ্দুর,
যেতে পারে ভিজতে ভিজতে চায় যেতে সব যদ্দূর।

হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

 

 

বৃষ্টি এসো নেমে

ডাঃ নূরুল ইসলাম মোল্লা

ঈশান কোনে মেঘ পরিরা
জটলা করে বসে
সারা আকাশ ছড়িয়ে যাবে
করবে আঁধার এসে।

ডাকছে আকাশ কড়াং কড়াং
চমকানো গান গায়
প্রানী জগৎ স্বস্তি পেতে
আশার তরী বায় ।

চাইছে সবাই বারির পরশ
তৃষ্ণায় ফাটে বুক
ফাটা মাটি ও পশু পাখি
চাইছে একটু সুখ ।

ধানের ক্ষেতে জলের তোফা
চাইছে দেশের চাষি
সারি দিয়ে পুতবে বিওন
ফুটবে মুখে হাসি ।

ফোলবে মাঠে সোনার ফসল
ঘুচবে অভাব দুখ
বর্ষা রানীর আগমনীতে
ভরবে সবার বুক ।

 

বৃষ্টিমুখর দিনে

সুভাষ চন্দ্র রায়

 

ঝম্ ঝমা ঝম্ বৃষ্টি পড়ে
খুশি ছড়ায় মনে,
উঠোন জুড়ে বৃষ্টিধারা
আর না গৃহ কোণে।

ছম্ ছমা ছম্ বৃষ্টি নূপুর
দুপুর বিকেল জুড়ে,
খুশির পরশ হৃদয় মাঝে
গাইছি সুখের সুরে!

ভিজছে বৃক্ষ ভিজছে পাখি
হিমেল ছোঁয়ায় সুখী,
বোশেখ দিনের তপ্ত বেলায়
আজ কেউ নয় আর দুখী!

দু’টো শালিক করছে স্নান
জমা জলের গর্তে,
গরমকালের এই ধারাতে
আছি বেঁচে বর্তে।

গ্রীষ্মের রূপ | বৃষ্টি নিয়ে কবিতা
গ্রীষ্মের রূপ | বৃষ্টি নিয়ে কবিতা

গ্রীষ্মের রূপ

সামিয়া আক্তার

 

রৌদ্র-বৃষ্টির খেলা চলে
গ্রীষ্ম আসার পরে,
শঙ্কা জাগায় গরিব মনে
ফুটো চালের ঘরে।

ঝড়-তুফানের এইনা কালে
শঙ্কা নাহি কাটে,
ফসল ভরা মাঠটি দেখে
কৃষক বুকটা ফাটে।

প্রকৃতির’ই এইনা খেলায়
গ্রীষ্ম নিত্য সাজে,
তপ্ত রোদের তিক্ত জ্বালায়
মন বসেনা কাজে।

পুকুর-নদী খালে-বিলে
অথৈ জলে ভরে,
ঘ্যাঙরঘ্যাঙ ব্যাঙ গুলো ডাকে
সারাটা দিন ধরে।

ভাঙা গড়ার জীবনযুদ্ধে
স্বপ্ন মানুষ দেখে,
প্রকৃতির’ই রূপ লাবণ্যে
বাঁচতে আবার শেখে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *