ফেসিয়াল প্যারালাইসিস

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কি, হওয়ার কারণ, উপসর্গ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কি?

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হচ্ছে এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে মুখের একপাশ অবশ হয়ে যায় বা মুখের একপাশের পেশীগুলি হঠাৎ শক্ত হয়ে যায়। অধিকাংশ জনেই বেলস পলসি সম্পর্কে জানেন না। এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’। এটি ফলে মানুষের মুখের একপাশ বেঁকে যায় এবং শক্ত হয়ে যায় বা কথা বলতে কিংবা খেতে সহ কথা বলতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার কারণ

ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের তখনই হয় যখন সপ্তম ক্র্যানিয়াল নার্ভ স্ফীত হয়, এর ফলে মুখে দুর্বলতার অনুভূতি হয়। যদি মুখের শিরায় ফোলাভাব থাকে, তবে তা এসে গালের হাড়ের উপর চাপ পড়ে। এটি স্নায়ুর প্রতিরক্ষামূলক আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, মস্তিষ্ক থেকে মুখের পেশীতে সংকেত সঠিকভাবে প্রেরণ করা যায় না।

উপসর্গ বা লক্ষণ

০১। চোখে জ্বালা-পোড়া
০২। কানের পিছনে ব্যথা
০৩। মুখের একপাশে হঠাৎ তীব্র ব্যথা
০৪। মুখের একপাশ থেকে অবশ হয়ে যাওয়া
০৫। মাথার একপাশে ব্যথা

এর মধ্যে একটি উপসর্গও দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন

 

ঘরোয়া চিকিৎসা বা প্রাথমিক ভাবে যা যা করতে পারেন

১। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।

২। চোখে জ্বালা-পোড়া এবং ব্যথা কমাতে নরম টাওয়াল বা কাপড় উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দেওয়া যায়।

৩। একটা গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তার ভেতর স্ট্র দিয়ে বুদবুদ তুলবেন। এতে ঠোঁটের চারপাশের মাংসপেশী শক্তিশালী হবে, পানি পান করার সময় আর গাল বেয়ে পড়ে যাবে না।

৪। কথা বলুন, এতে করে কথা বলার জড়তা কমে আসবে। কোনো শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হলে প্রথমে স্বরবর্ণগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করুন। তারপর ব্যঞ্জনবর্ণ অনুশীলন করবেন।

৫। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা এগুলো আপনাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ  কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

৬। নিয়মিত ফিজিওথেরাপিস্টের শেখানো এক্সারসাইজ করবেন।

৭। নিয়মিত ৮ ঘন্টার ঘুম, হেলদি ডায়েট এবং প্রচুর পানি পানি করবেন। এসব ক্ষেত্রে হেলদি লাইফস্টাইল আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।

ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আমরা অনেক কিছুই জানলাম। আজ এই পর্যন্তই, আবারও চলে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 

নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *