বখতিয়ার উদ্দিন সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও জীবনী – The best biography of Bokhtear Uddin 2023

বখতিয়ার উদ্দিন একজন কবি ও লেখক। তাঁর লেখা পড়লে যেন তাঁর সম্পর্কে জানার আগ্রহ জেগে উঠে। প্রিয় এই লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিত সহ তাঁর জীবনী এখানে জানতে পারবো। উল্লেখিত তথ্যসমূহ লেখকের প্রকাশিত বইগুলো থেকে নেওয়া এবং আমরা সরাসরি লেখকের কাছে থেকেও অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। যা নিম্নে উল্লেখ্য করা হয়েছে…

অনেকের কাছে এই পরিচিত মানুষটি আবার সম্পূর্ণ অজানা। তাদের জানার সুবিধার্থে,  উল্লেখ্য প্রশ্নটি জানার ইচ্ছে জাগে।

বখতিয়ার উদ্দিন বাংলা সাহিত্যের সমকালীন একজন প্রতীভাবান তরুণ লেখক। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস,প্রবন্ধ ও নাটক লিখে চলেছেন।

 

বখতিয়ার উদ্দিন কে?

অনেকের কাছে এই পরিচিত মানুষটি আবার সম্পূর্ণ অজানা। তাদের জানার সুবিধার্থে,  উল্লেখ্য প্রশ্নটি জানার ইচ্ছে যায়।

বখতিয়ার উদ্দিন বাংলা সাহিত্যের সমকালীন একজন প্রতীভাবান তরুণ লেখক। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখে চলেছেন।



বখতিয়ার উদ্দিনের ছবি

বখতিয়ার উদ্দিন

 সংক্ষিপ্ত পরিচিত 

বখতিয়ার উদ্দিন। জন্মেছেন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পহরচাঁদা নামক পাহাড় সমতল ঘেরা সবুজ গ্রামে। পিতা মৃত মাষ্টার বশির উদ্দিন আহমদ এবং মাতা শাকেরা বেগম। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, উপন্যাসিক, সংগঠক ও সম্পাদক। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ দেখা যায়। আগ্রহের পিছু নিয়ে শুরু করেছেন সাহিত্য চর্চা। বই পড়ার পাশাপাশি কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক ইত্যাদি লেখা শুরু করেন। তিনি প্রতিনিয়ত দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং মাসিক পত্রপত্রিকায় লিখে চলছেন। তিনি বিভিন্ন অনলাইন সাহিত্য গ্রুপে, পরিচালকের দায়িত্ব পালন সহ অনেক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অনেকগুলো একক ও যৌথ বই প্রকাশিত হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বইঃ- সতী ময়না, হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা, পরিণতি,স্বপ্ন স্মৃতি, দুইটি পাখি, দ্বি – ধারা, আদর নদীর জলে।

[wptb id=9472]

শিক্ষাগত জীবন 

বখতিয়ার উদ্দিন ২০০৭ সালে পহরচাঁদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি এইচ এস সি পাশ করেন ২০০৯ সালে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে। বি, এ অনার্স (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) ২০১৩ ও এম, এ (বাংলা) ২০১৪ এবং বি এড ( ২০২০) ন্যাশনাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। ( অসমাপ্ত)

কর্ম-জীবন

বখতিয়ার উদ্দিন প্রাথমিক অবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষকতা পেশার জড়িত ছিলেন। চাদগাঁও ল্যাবটারী হাই স্কুলে ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক পেশায় নিয়োজিত থাকার পর ২০১৮ সালে জারুলবনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে যোগদান করেন।উক্ত বিদ্যালয়ে (২০১৮ – ২০২১) সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে, বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এ এ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

বখতিয়ার উদ্দিন এর সাংগঠনিক জীবন 

বখতিয়ার উদ্দিন চাকুরী আর লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে “মাসিক নববার্তা” পত্রিকা’র সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি “সপ্তর্ষি সাহিত্য পত্রিকা” এর নির্বাহী সম্পাদক। বখতিয়ার উদ্দিন “চিরকুটে সাহিত্য পত্রিকা“র চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন “বাংলার শব্দচাষী প্লাটফর্ম” থেকে।

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিঃ– মিফতাহুন নাজাত হিলফুল ফুজুল-২০০৬ইং( প্রতি বছর পাঁচ থেকে ছয় শত শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশের বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে)।

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিঃ– পশ্চিমপাড়া ইসলামী ক্ষুদ্রঋণ ও বহুমুখী সমবায় সমিতি – ২০২০ইং

পরিচালকঃ– স্বপ্নের পাঠশালা-২০১৯ইং

আরো পড়ুনঃ  অল্প কিছু শব্দে জানুন ফারাজ করিম চৌধুরী'র বিশদ জীবনী - Faraaz Karim Chowdhury Best Biography Update 2024

সাধারণ সম্পাদকঃ– মাতামুহুরি সাহিত্য পরিষদ

সদস্যঃ– পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার,সপ্তর্ষি সাহিত্য সংঘ,ফুটন্ত কিশোর ক্লাব,কবি সাহিত্যিক ফোরাম,সাহিত্য সহৃদ, আলোর প্রত্যাশা সাহিত্য পরিষদ।
সহ শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ– ফুটন্ত কিশোর ক্লাব।



ই-বুক প্লাটফর্ম বইটই এ তাঁর বই সমূহ

  • ০১. স্বপ্ন স্মৃতি (কবিতা)
  • ০২.বহারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ( উপন্যাস)
  • ০৩. পরিণতি (উপন্যাস)
  • ০৪. খেয়া বালিকা ( গল্প)
  • ০৫. নারুর মা ( গল্প)
  • ০৬. কবি ( গল্প)
  • ০৭. বাড়ি ভাড়ার কান্ড(গল্প)
  • ০৮. মানুষের রুপ(গল্প)
  • ০৯. সামাজিক সংগঠন ( প্রবন্ধ)
  • ১০. সাহিত্য এবং সাহিত্যিক নিয়ে ভাবনা ( প্রবন্ধ)
  • ১১. ব্যাচলার জীবন ( নাটিকা)
  • ১২. বাপ – বেটার দোকান ( নাটিকা)
  • ১৩. কবি ও প্রিয়া (নাটিকা)
  • ১৪. পাড়ার বড় ভাই ( নাটিকা)
  • ১৫. ভালোবাসার রঙ ( নাটিকা)
  • ১৬. চাকুরী প্রার্থী ( নাটিকা)
  • ১৭. নিজ গ্রাম ( কবিতা)
  • ১৮. সতী ময়না ( উপন্যাস)

 

বখতিয়ার উদ্দিনের প্রকাশিত বই

০১। পরিণতি 

এটি লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস। এতে উপস্থাপন করেছে পাটের দেশের মানুষের জীবন চিত্র। মানুষ সংগ্রাম করে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য পাটের চাষ করে। আবার কত জনে আপন হয়ে পর থাকে। শান্ত সরল মানুষের প্রতি গরল মানুষের আক্রমণ। সমাজে যৌতুকের ছড়াছড়ি।দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষ ছোটকাল থেকে বড় হতে গিয়ে আবেগের ঝংকার। কিন্তু এক সময় এই আবেগ বিবেকের কাছে কষাঘাত করতে করতে প্রেম নামের বিশাল অবস্তুর ভিতর দিয়ে এক পরিণতি ঘটে।

পরিণতি কলমে বখতিয়ার উদ্দিন
পরিণতি কলমে বখতিয়ার উদ্দিন

জীবনের এক গভীর স্মৃতি। ছোট্ট ডিঙির ঢেউর মতো কালুর মনে কত কি ঢেউ খেলে যাচ্ছে। মনের জল্পনা কল্পনায় এই গাছ তলায় বসে অতীতে কত দেখেছে তার কত অংশ সারি সারি মনে পড়ে যায়। অনেক বছর আগে যে চিত্র দেখেছে এখনো সেই চিত্র মনে ভেসে বেড়ায়। এর ভিতর কালুও বড় হয়ে গেছে, আবিদাও বড় হয়ে গেছে। পাখির বাপও প্রায় বৃদ্ধ হয়েছে। কত কি ভাবতে ভাবতে কালুর চোখে বিন্দু বিন্দু জল নেমে আসে। তখন আকাশের বুকে গুডুম গুড়ুম মেঘ গর্জে উঠে। হয়তো মূহুর্তের ভিতর মেঘ ফেঁটে বৃষ্টি নেমে চারদিকে ভিজিয়ে দিতে পারে।তবুও কালু নীরব মূ্র্তির মতো বসে থাকে। বার বার মনের কোণায় মানবী রুপে আবিদার কথা মনে পড়ে। এই ঝুপড়ীতে খাবার নিয়ে আবিদা কত বার এসেছে। তার সাথে জীবনের গতিতে অবুঝ মনে কত কথা হয়েছে কিন্তু কোন দিন মনের সীমা অতিক্রম করেনি।এই ভাবে শৈশবের কত কাল কেটেছে কিন্তু এখন মনের ভিতর কত শূন্য শূন্য লাগে।মনের ভিতর মনে হয় পাট কাঠের ভিতরের নালীর মতো একটি ফাঁ ফাঁ নালী হয়ে গেছে। যার ভিতরে কষ্টের অনেক উষ্ণ বাতাস চলাচল করতে পারে।

 

০২।স্বপ্ন স্মৃতি 

কবি বখতিয়ার উদ্দিন’র “স্বপ্ন স্মৃতি ” কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের জুলাই মাসে।এতে রয়েছে ৫৩ টি কবিতা। সব কবিতা অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। কিছু সনেটও রয়েছে।

স্বপ্ন স্মৃতি কলমে বখতিয়ার উদ্দিন
স্বপ্ন স্মৃতি কলমে বখতিয়ার উদ্দিন

সব কবিতা মানুষের বাস্তব জীবনের স্বপ্ন আর কল্পনা নিয়ে রচিত। মানুষ বাস্তব জীবনে কত স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নগুলো পূরণ হোক বা না হোক তা স্মৃতি হয়ে মনে থেকে যায়। মানুষ স্মৃতিগুলো উপভোগ করে স্বপ্নের জীবন পাড়ি দেয়। যারা জীবনকে উপভোগ করতে জানে তারা শত কষ্টের মাঝেও স্বপ্ন আর স্মৃতি বুকে ধারণ করে শত সুখ খোঁজে নিতে পারে। মানুষের স্বপ্ন আর স্মৃতি নিয়ে অবচেতন মনের নানান কথা দিয়ে কবিতাগুলো সাজিয়েছেন কবি।তাঁর প্রতিটি কবিতা অক্ষরবৃত্তের পয়ারের ছাদ আট ছয় মাত্রা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কবিতায় রয়েছে অসাধারণ শব্দের নির্মাণ কৌশল। কবিতাগুলো পড়ে স্বপ্ন দেখা যায়,নানা বিষয়ে কল্পনা করা যায় । জীবনের অভিজ্ঞতা বুঝা যায়।

আরো পড়ুনঃ  পায়ে হেঁটে ২০টি গ্রামের হাজারো মানুষের হাতে বই তুলে দিতেন “বইওয়ালা”

বইটি প্রকাশ করেন” প্রিয় বাংলা প্রকাশন”। এইছাড়া কাব্য গ্রন্থখানি জনপ্রিয় বইটই এ্যাপ এর ই – বুক আকারে পাওয়া যায়। রকমারি.কমে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।



০৩। হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাহারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা 

মানুষের জীবনে একটি নিদিষ্ট সময় সংগ্রামে অতিবাহিত হয়।তখন চারদিকে সব ভালো লাগা শুরু করে ।মনে মনে কত বিষয়ে এগিয়ে যায়।পাওয়া আর না পাওয়ার সংগ্রামে চলতে থাকে।

 

এমন একটি চরিত্র নিয়ে উপকূলীয় মানুষের সংগ্রাম ও জীবন গঠন নিয়ে উপন্যাসটি রচিত। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

 

০৪। সতী ময়না 

এই কথা শুনার সাথে সাথে ময়নার মাথায় সত্যি সত্যি মৃদ রাগ এসে যায়। হাজার হোক নারীরা কোন অপবাদ সহ্য করতে পারে না তা ময়নাকেও দেখে বুঝা যাচ্ছে। সেই সতী নারী হোক বা অসতী নারী হোক। সতীত্ব বিষয় নিয়ে প্রায় নারী সচেতন থাকে। সতীত্ব ব্যাপার নিয়ে নারীর মনে শৈশব থেকে বিশেষ একটা কাজ করে। তবে বেশি ভাগ নারী খুব কম জানে সতীত্ব জিনিসটা কি?এটা কি খায় নাকি গায়ে দেয়। সতীত্ব হারালেও এক সময় অপবাদ পেতে হবে তা খুব কম নারী জানে।ময়না অপমানিত হয়ে মৃদ রাগের মাথায় বলে, এই সব কি বলো হাসু বু? কিছু তো বুঝতে পারছি না। নিজ স্বামী ছাড়া এই সব আর কারো সাথে হতে পারে নাকি?

সতী ময়না কলমে বখতিয়ার উদ্দিন
সতী ময়না কলমে বখতিয়ার উদ্দিন

হঠাৎ হাসুর বুকে ঘুমন্ত মাতৃত্ব জেগে উঠে। হাসুর সামনে যত দৃষ্টি যায় তত অন্ধকার দেখে। হাসুও পাগলের মতো ডাকতে থাকে, খোকা,খোকা,খোকা তোরা কোথায়?
খোকাদের মুখে শুধু মা ডাক ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। আজ তারা শুধু মাকে চিনে।মা ছাড়া আর কাউকে চিনে না।তারা মাকে শুধু আর্জি জানাচ্ছে, মা,এতো দিন তুমি কোথায় ছিলে?আজ আমাদের রাস্তার ধারে ডুবার জলে বসবাস কেন?দেখ মা,আজ আমরা অনেক বড় হয়েছি।আমাদের একটু  কোলে নিয়ে আদর করো।আমাদের পৃথিবীতে আসার পথ থেকে বিদায় দিয়েছ কেন? আমাদের উপর এতো অবিচার কেন? আমরা কি দোষ করেছি?আজ আমাদের জীবনের কোন পরিচয় নেই কেন?
আজ যত দোষ সব মায়ের। এরা মাকে ছাড়া আর কিছু চিনে না। মা কি শুধু একা দোষ করতে পারে? মা এতো দোষী হয় কেন? সন্তানদের খাওয়াতে না পারলেও দোষী।পৃথিবীর মুখ দেখাতে না পারলেও দোষী। মায়ের জীবনে এতো কষ্ট কেন? হাসুর বুকে সন্তানদের জন্যে আকুতি। সেই বার বার সন্তানদের ডেকে যাচ্ছে, খোকা তোরা কোথায়? একটু আমার বুকে আয়।তোদের একটু বুকে নিয়ে এই জীবনের সব যন্ত্রণা দূর করি।খোকা তোরা আর আমার সাথে অভিমান করিস না। আমাকে তোরা ক্ষমা করে দিস।

মানব জীবনের এক জটিল বিষয় নিয়ে রচিত উপন্যাসটি।বাংলা সাহিত্যের বিশাল এক মাইলফলক। মানব জীবনে শৈশব ও কৈশোর কালের পরে আসে যৌবন কাল। এই যৌবনকালে যুবকেরা কোন পথে ছুটে চলে বেশি?তাদের হাত ধরে ব্যক্তিত্ব,পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কোন পথে ছুটে যাচ্ছে? একদল যুবক, ময়না ও হাসুর জীবনের মধ্যে দিয়ে পথখানি উঠে এসেছে এই উপন্যাসের ভিতরে।আশা করি বইখানি পাঠ করলে সাহিত্যের সকল রস উপভোগ করা যাবে।

আরো পড়ুনঃ  কবি, লেখক ও চিকিৎসক আমির হাসান সাফাতের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও জীবনী

 

০৫। দুইটি পাখি

এটি কাহিনী কবিতা।একটি কৃষক পরিবারের কাহিনী নিয়ে রচিত।

দুইটি পাখি 

 

বখতিয়ার উদ্দিনের কবিতা

নিজ গ্রাম
বখতিয়ার উদ্দিন

উত্তরে পাহাড় ঘেরা সবুজ বনানী
দক্ষিণের সমতল নদী এক খানি,
পূর্ব দিকে এক বিল নদী আর জেলে
পশ্চিমে ছোট্ট খাল জলে ভরা চলে।
ঠিক মাঝখানে আছে কুতুব বাজার
সাঁঝ হলে সবে আসে মিলন হাজার।
এর মাঝে গেঁথে গেছে দেখ এক গ্রাম
এক শব্দে চিনে সবে পহরচাঁদা নাম।

চাঁদের মত পাহাড় আদি কালে দেখে
বিবর্তনে পহরচাঁদা হয়ে গেল মুখে।
পাহাড় সমতল যেন স্বপ্নের রথ।
ধীরে ধীরে বেড়ে গেল এই জন পথ।
পূর্ব পশ্চিম পাকা যে রাস্তা দুই খানা
মাতামুহুরি ঘিরেছে দক্ষিণ সীমানা।
উত্তর দক্ষিণ যথা রেল রাস্তা গেছে
গ্রামের ভিতরে কত পথ যে হয়েছে ।
উত্তরে পাহাড় চূড়া বৃক্ষ সারি সারি
সবুজের সমাহার যুগ যুগ ধরি।
পাহাড়ের ঢালে ঢালে আছে ঘর বাড়ি
কোথায় যাবে বলো যে এই গ্রাম ছাড়ি?
ডিগ্রী মাদ্রাসা হাই স্কুল গাঁর নামে।
শিক্ষা আলয় যথা যে আছে দেখ গ্রামে।
ছয়টি প্রাইমারী যে এক কেজি স্কুল
দুটি দাখিল মাদ্রাসা আরো কত কূল।
সমৃদ্ধি আর ঐতিহ্যে আছে সংগঠন
মসজিদ মন্দির যে যথা প্রয়োজন।
দুই ধর্মের মানুষ গ্রামে বসবাস
আদর্শ গ্রাম হিসাবে আছে ইতিহাস।

বিল ঝিল দিঘি ঘেরা নিজ এই গ্রাম
মাঠে মাঠে ধান পাকে কৃষকের নাম।
রবি মৌসুমে মরিচ বেশি উৎপাদন
মাতামুহুরির জল হয় প্রয়োজন।
গ্রামের মানুষেরা যে সহজ সরল
কত কিছু করে তারা বর্ণনা বিরল।
সাঁঝ হলে সবে আসে কুতুব বাজার
সওদা করে ফিরে যে আলয় আবার।
নিত্য দিনে কত কাজে ব্যস্ত তারা থাকে
যেখানে যায় সবাই গাঁর মান রাখে।

সব পেশার মানুষ গ্রামে বসবাস
কত কালের স্মৃতি জমানো ইতিহাস।
গ্রামের কত জনই শহরে জীবন
ঢাকা চট্টগ্রামে বেশি নয় যে এমন।
পড়ালেখা বা চাকুরী কত প্রয়োজনে
গ্রাম ছেড়ে দূরে থাকে আরো যে কারণে।
যত দূরে থাকে মন যত প্রয়োজন
বারে বারে বেড়ে যায় গ্রামের বাঁধন।
কিছু জন আছে দেখ প্রবাস জীবনে
গ্রাম ছেড়ে টাকা আয় ঘরে শান্তি আনে।
টিউবওয়েল মেস্ত্রী বেশি আছে গ্রামে
সারা দেশে নলকূপ বসাই সু – নামে।
কবি, শিক্ষক, ব্যাংকার, পুলিশ, ডাক্তার
সবে আছে নিজ গ্রামে ভালো যে লাগার।
স্থানীয় আর জাতীয় কত প্রয়োজনে
নেতা আছে ভালো করে নেতৃত্ব যে জানে।
মনে মনে শান্তি লাগে কত ছবি আঁকা,
হৃদয়ে হাজার বার গ্রাম খানি দেখা।
সমৃদ্ধি আর ঐতিহ্য সু – নাম যে আছে
একটি আদর্শ গ্রাম যেন মোর কাছে।

 

নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম চিরকুটে সাহিত্যে এবং আরো জীবনী জানতে ভিজিট করুন Human Search 

5 thoughts on “বখতিয়ার উদ্দিন সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও জীবনী – The best biography of Bokhtear Uddin 2023”

  1. Pingback: আপনায় আর পাওয়া হলো না আমার (চিঠি কাব্য) » Chirkute Sahitto

  2. Pingback: নীল সাগরের চেয়ে » Chirkute Sahitto

  3. Pingback: নাঈম ইসলাম বাঙালি'র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও জীবনী » Chirkute Sahitto

  4. Pingback: নিলুফার জাহান রুবাইয়া'র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও জীবনী » Chirkute Sahitto

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *