উপন্যাস বেরঙিন পথে শুরু হলো কথা
লেখিকা রেবেকা সুলতানা
পর্বঃ ১
কি সুন্দর সকাল টা কুয়াশাচ্ছন্ন ! দূরদূরান্তে সবি ঝাপসা কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে মিষ্টি বাতাস বইছে চারদিকে। পাখিরা গান গেয়ে যায়।এত সকাল যে, কারো হৈচৈ এর শব্দটাও নেয় বাহ কি দারুন লাগছে প্রকৃতিটাকে! আর শব্দ থাকবে কিভাবে শীতের সকাল বলে কথা সবাইতো লেপ-কম্বল পেঁচিয়ে ঘুমাচ্ছে। চারপাশের প্রকৃতিটা দেখে মায়ায় চোখ জুড়িয়ে যায়।
ইচ্ছে করছে এই যেন মিশে যাই প্রকৃতির সাথে।
ছাদে দাঁড়িয়ে মৃদু হেসে প্রকৃতিটাকে অনুভর করছে ছোঁয়া।
নামাজ শেষে ছাদে আসলো ছোঁয়া।এখানো সকাল এর আলো ফুটেনি।পুব আকাশে সূর্য খানিক হলুদ আবাস দেখা যাচ্চে।
সকাল হয়ে এলে নিজ রুমে এসে বিছানা ঘুছিয়ে রাখে।ঘর ঝাড়ু দিয়ে, গ্যাসের চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দেয়।
৮টায় ছোঁয়ার প্রাইভেট আছে।তাই ছোঁয়া তার পড়াগুলো রিভিশন দেয়।ব্যাগ ঘুছিয়ে রেডি হতে যাবে তখন। তার মা ডাক দেন। ছোঁয়া ভাপা পিঠা বানিয়েছি খেয়ে যা।
গ্রামের মানুষরা শীতের সকালে গ্রামে ভাপা পিঠা, আপন পিঠা, জালি পিঠা আরো কত রকমের পিঠা বানানো হয়। এসব পিঠা খুব চলতো আর সবাই এক সাথে বসে আড্ডা দিতে দিতে খেতো।
গ্রামে এটাই হলো আনন্দের মুহূর্ত। কারণ একসাথে বসে খাওয়াটা যে ভালো মুহূর্ত তা শুধু গ্রামীণ মানুষরাই জানে। শহরে তো এসব হয় না হাতে ঘোনা কয় কয়টা পরিবার তাদের মা-দাদু ঐতিহ্য ধরে রাখতে বানায়।
জ্বি আম্মু আসছি। আমি রেডি হয়ে নি। ৭.৩০ প্রায় বাজলো বলে। এখন খেতে গেলো তো দেরি হয়ে যাবে।
তাড়াতাড়ি আসে খেয়ে যা নয়তো একটা মাইর নিচে পড়বে না।
ছোঁয়া যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলো।কারণ তার স্কুল একটু দূরে হওয়ায় তার যেতে আধা ঘন্টা লাগে যায়।
খাওয়া শেষ করে আম্মু যাই বলে ততক্ষণে বের হয়ে গেলো।
এদিকে মরিয়ম আক্তার যতক্ষণ মেয়ে কে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে তাকিয়ে আছে।
ছোঁয়ার আম্মু নাম মরিয়ম আক্তার।
ছোঁয়া স্কুলে উদ্দেশ্য চলে গেলে।
মরিয়ম আক্তার তার নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।
যাওয়া পথে নীলা আর ফাল্গুনী কে ডেকে নিয়ে কথা বলতে বলতে প্রাইভেট এ পৌঁছে যায়।
প্রাইভেটে আসতে তাদের ১৫ মিনিট দেরি হয়ে যায়।
এতে স্যার…
চলবে….