কবি নাজমুল হুদা’র সেরা ২টি কবিতা, বন্ধু বিদায় ও চল্লিশ বিদায় নিলো সহ তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।…
বন্ধু বিদায়
নাজমুল হুদা
বন্ধু,যদি না পারি কোনো বিজয়ের গান লিখিতে।
না যদি সময় পাই, দু- চরণ অমর বিদায়ী- কাব্য রচনা করিতে;
তবুও আমার সমাধিতে গিয়ে একটু দোয়া করতে যেনো ভুলোনা।
যেনো কোনো অভিমানে তোমার নম্র হৃদয়কে
অভিশপ্ত অগ্নিমূর্তির রুপ দান করোনা।
তোমার পায়ে পড়ি বন্ধু, না হয় একটু করুনায় করো।
চির বিদায় লগ্নে যদি দুঃসহ যন্ত্রনায় ছটফট করি।
ভুল করে,আাবেগে,ক্ষমা করো বলে কান্না করে ফেলি।
তখন একজন ব্যর্থ কবি বলিয়া- আমায় এতটুকু তাচ্ছিল্য করো না।
চল্লিশ বিদায় নিলো
নাজমুল হুদা
শিশুকাল আমার কেটেছে বন্ধু, যতনে মায়ের কোলে।
বুঝে ও না বুঝে কৈশোর আমার কেটেছে খেলার ছলে।
যৌবনও প্রায় হাস্য -রস আর রংগে- ঢংগে গেলো;
হায়রে বন্ধু, জীবন থেকে চল্লিশ বিদায় নিলো!
কর্ম আমার শুভা পেলোনা ধর্মে আজও।
বুঝি পূন্য পাওয়ার যোগ্য হলোনা একটি কাজও।
এই যদি হয় কর্ম আমার;
যোগ্য না হয় পূন্য পাওয়ার।
যদি সময় না পাই শুধরে নেওয়ার জোয়ান কালে;
পরে কি আর থাকবে সময়
বৃদ্ধ হলে?
কবি পরিচিতিঃ কবি নাজমুল হুদা, টাংগাইল জেলাধীন মির্জাপুর উপজেলার আজগানা (বর্তমান লতিফপুর) ইউননিয়নের বান্ধাচালা গ্রামে তার নানার বাড়ীতে ১৯৮২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতৃস্থান একই উপজেলার তরফপুর( ইউনিয়ন) গ্রামে। পিতার নাম: সামাদ শিকদার এবং মাতার নাম: নাজমা বেগম। চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র থাকা কালীন কবিতা লিখার মাধ্যমে তার লেখালেখি শুরু হয়। তিনি এ-পর্যন্ত তার একটি একক কাব্যগ্রন্থ :”ইচ্ছে হলে আসিও” ২০০৪ সালে। একটি উপন্যাস :কি হলে ভালো হতো” ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং ২০২৩ সালে ৪টি যৌথ সংকলন কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এ-পর্যন্ত “কাজী নজরুল ইসলাম” সাহিত্য পুরস্কার – ২০২৩ সহ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন। আমরা তার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।