ছোটগল্প

ঝড়-বাদলের দিনে ~ ইমদাদ উল্লাহ ফিরদাউস চারিদিকে ঘুটঘুটে আঁধার। নিকষকালো। কোথাও নেই একটুও আলো। আকাশজুড়ে বিরাজমান মেঘেদের একচ্ছত্র রাজ। ক্ষুধার্ত সিংহের মতো দেয়ার মৃদু গর্জন মনে ভীতির সঞ্চার করছে। চলছে তুমুল-ভারী বর্ষণ। ঝুম বৃষ্টির ঝুমুর-ঝুম সুরে মনে হচ্ছে, যেন ষোড়শী কোনো তনয়া নুপুর পায়ে নৃত্য করছে মনের সুখে, লাফিয়ে চলেছে পরমানন্দে। আসমানও ঠিক তেমনি মেতে […]

আব্বু তুমি ফিরে এসো জাকির আলম পৌষের রাত। চারদিকে থমথমে নীরব পরিবেশ। মাঝেমাঝে দূরের ক্ষেত থেকে ভেসে আসছে শিয়ালের হাঁক। গাছের পাতা বেয়ে ঝরে পড়ছে টুপটাপ শিশির কণা। ঘন কুয়াশায় নিমজ্জিত চারপাশ। কোথাও কোনো মানুষের আওয়াজ নেই। পৃথিবীর সব মানুষ গভীর ঘুমে ডুবে আছে।পশুপাখিও ঘুমিয়ে আছে নিজস্ব বলয়ে। নিভু নিভু তারাগুলো ক্ষণে ক্ষণে মেঘের আস্তরণে

বাবার টর্চ সাজেদা সুলতানা কলি  বাবা নেই আজ তেত্রিশ বছর। দেখতে দেখতে কতগুলো বছর কেটে গেল ! মনে হচ্ছে এই সেদিন চোখের সামনে সিনেমার ফ্ল্যাশ ব্যাকের মত একের পর এক দৃশ্য ভেসে উঠছে ! আব্বা ছিলেন মা (আমার দাদু) অন্ত প্রাণ। দাদুকে ধরে ধরে বাথরুমে নেওয়া, জামা কাপড় পরিস্কার করা, খাওয়ানো সব সব কিছু করতেন

বাবা তুমি সফল ছোট বেলা থেকেই বাড়ির পাশের একটি প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম। কিন্তু স্কুলের পড়ার মান এবং শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম হওয়াই তৃতীয় শ্রেণি পাস করার পর চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তির জন‍্য আম্মু আমাকে বাড়ি থেকে দূরের একটি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তির জন‍্য নিয়ে যান। পূর্বের স্কুলে আমার রোল নাম্বার তিন হলেও সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর ও শারীরিক

মায়ের শূন্যতা বুঝতেই দেয়নি বাবা ১৯৯৪ সালে আমার “মা” জননী এই নশ্বর পৃথিবীর যাবতীয় মায়া-মমতা ত্যাগ করে মহান রবের অলঙ্গনীয় ডাকে সাড়া দিয়ে চিরকালের জন্য পরকালে পাড়ি জমালেন। ঐসময়ে আমার বয়স সবে মাত্র ৮ বছর প্লাস। এমন অল্প বয়সে সন্তানের জন্য মায়ের বিয়োগ ব্যাথা মেনে নেয়াটা স্বভাবতই খুব কষ্টের ব্যাপার ছিল বটে। কিন্তু আমার প্রাণপ্রিয়

বর্ষার জলছবি  দীপঙ্কর বেরা  বর্ষা মানেই বৃষ্টি। আর বৃষ্টি মানেই বর্ষা। বর্ষার সঙ্গে আমার সখ্যতা নেই তবে বৃষ্টির সঙ্গে আছে।  খুব ঝমঝমিয়ে যখন বৃষ্টি নামে ভিজতে খুব ভাল লাগে। খোলা আকাশের নিচে কেমন শন শন শব্দ করে বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এঁকেবেঁকে বৃষ্টি পড়ছে। আর আমি একা। কোথাও কোন জনপ্রাণী নেই। সবাই ঘরে না হয়

বর্ষাকালের ভালো-মন্দ লেখক – রতন বসাক            গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড দাবদাহে যখন গাছপালা ঝলসে যায় ও মাটি শুকায়। ঠিক তখন মানুষ ও সমস্ত প্রাণীকুল এই ঋতুর কড়া প্রহার থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির আশা করে। সূর্যের প্রচন্ড তাপে নদী-নালা-খাল-বিল ও সমস্ত জলাশয় শুকিয়ে, জল বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যায়। গরমের মারে সবাই হাঁসফাঁস

বন‍্যা মাখনলাল প্রধান এবং পূর্বাভাস না থাকলেও  আমরা অভ‍্যাসগত কারণে শুধু হাতে বাড়ি থেকে বের হই না । সেদিন আকাশ ঘিরে রমরমা আয়োজন তেমন ছিল না , এমনকি বুড়িয়ে যাওয়া সূর্যের নুয়ে পড়া চোখের দৃষ্টিতে মন ভাল হয়ে যায় । আমরা যাচ্ছিলাম আলপথ ধরে ধানের মাঠে । সবুজ চাদরে ঢাকা জমির উপর সোনার তুলি চালিয়ে

ঘূর্ণিঝড়ের কথা  মোজাম্মেল হক  বলছিলাম এমন এক ঝড়ের কথা, যেটি কিনা সায়রে প্রচন্ড ঘূর্ণি সৃষ্টি করে। নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্টি হয় এই অবস্থার। বিভিন্ন দেশে ঘূর্ণিঝড়কে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কেউ এর নাম টাইফুন দিয়েছে, আবার কেউ এর নাম হারিকেন দিয়েছে। তবে অঞ্চলভেদে কিংবা রাষ্ট্রভেদে যে কোন নামই দেওয়া হোক না কেন, ঘূর্ণিঝড় কিন্তু একই।

ভিজে মেঘের দুপুর ইসরাত জাহান মিনু, রিনা আর খোকন তিনজনই খুব ভালো বন্ধু। তারা তিনজনই এবার ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে মিনু আর খোকনদের অবস্থা একটু ভালো হলেও রিনাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।বছরের তখন মাঝামাঝি সময়।বাংলা মাস জেষ্ঠ্যের এই সময়টাতে প্রতিবছরই কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে।স্কুলের রিতা আফার কাছে তারা শিখেছে কিভাবে সাবধান