প্রিয় বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার (৬ষ্ঠ আসর)
কবিতা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন আলোক আজম
পুরস্কার অর্জন করে কবির কিছু কথা
কবিতা কবিতা করে জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেক কিছুই ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু কবিতা ছাড়তে পারিনি।
আশা ছিল, একটা সময় কবিতা আমাকে দেবে। দুহাত ভরেই দেবে। সে আশাই ধূসর দিনগুলো কাটছিল। সময় আমাকে এমন এক যায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে, যেখান থেকে কবিতা নিয়ে ভাবনাটাও পাগলামি বই কিছু নয়। তবুও এই পাগলামিকে উপজীব্য করেই গোঁ ধরেছিলাম, আর যাই হোক, কবিতা ছাড়ব না।
তাই সুযোগ পেলেই বিভিন্ন প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি পাণ্ডুলিপি নিয়ে। মূল্যায়ন তো দূরের কথা, তারা আমার পাণ্ডুলিপি ধরেও দেখেনি। অনেকে তো মুখের উপর বলেই দিয়েছে, ‘আমরা কবিতার বই প্রকাশ করি না। উপন্যাস লিখেন। বই করে দেব।’ অথচ, তাদের বুকশেল্ফ থেকে তাকিয়ে থাকতে দেখি অসংখ্য মুদ্রিত (অর্থের বিনিময়ে) ময়লা, যা কবিতার নামে চালানো হয়।
হতাশ হয়ে ফিরি।
এমন সময় চোখে পড়ে ‘প্রিয়বাংলা পাণ্ডুলিপি পুরস্কার (৬ষ্ঠ আসর)’ এর জন্য পাণ্ডুলিপি আহবান। আরও অনেক প্রকাশনীও পাণ্ডুলিপি পুরস্কার দেয় তবে প্রিয়বাংলার সাথে অন্যান্য প্রকাশনার একটা পার্থক্য চোখে পড়ে। প্রিয়বাংলা তিনভাবেই পাণ্ডুলিপি গ্রহণ করে। ইমেইল, কম্পোজ এবং হাতে লেখা। এই ‘হাতে লেখা’ ব্যপারটা আমাকে পাণ্ডুলিপি জমা দিতে আগ্রহী করে তোলে। (কারণ আমার সবকটা পাণ্ডুলিপি হাতে লেখা, তাছাড়া মেইল করা বা কম্পোজ কপি পাঠানোর সময়ই বের করতে পারছিলাম না)
যা হোক, দূরু দূরু বুক নিয়ে আমার সবচেয়ে পছন্দের পাণ্ডুলিপি “নিঃসঙ্গ বোধিবৃক্ষ” জমা দিই প্রিয়বাংলায়। আশংকা ছিল প্রাথমিক বাছাইয়েই বাদ পড়ে যাব। কিন্তু না, বাছাইকৃত ১০০ তে দেখে আশা ফিরে আসে। পরে টপ ৫০ তেও নিজের নামটা দেখে খুবই আনন্দ হয়। অবশেষে চূড়ান্ত তালিকায়ও আমার নামটি দেখে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই।
আমার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। কবিতা আমাকে ভালবাসার বিনিময় দিতে শুরু করেছে। সামনে আরও দেবে। এই বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয়বাংলা, নির্বাচক প্যানেল এবং প্রিয়বাংলার স্বত্ত্বাধিকারী কবি এস এম জসিম ভূঁইয়া ভাইকে আমার “নিঃসঙ্গ বোধিবৃক্ষ”কে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার জন্য।
বইমেলা ২০২৩ এ প্রিয়বাংলার অর্থায়নে বই আকারে আসছে ‘নিঃসঙ্গ বোধিবৃক্ষ’।
সবাইকে পাঠের আমন্ত্রণ।