বন্যা নিয়ে স্ট্যাটাস, বন্যা নিয়ে ক্যাপশন, বন্যা নিয়ে কবিতা ও বন্যা নিয়ে কিছু কথা দিয়ে সাজানো হয়েছে আজকে আর্টিকেল টি৷ এখানে প্রতিটি লাইনেই অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে৷ এগুলো আপনার সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে ফেসবুক সহ যেকোন সোস্যাল মিডিয়া আপডেট দিলে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে।
বন্যা নিয়ে স্ট্যাটাস
০১। হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমাদের রক্ষা করো এই বন্যার মতো প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে।
০২। পানির অপর নাম জীবন, এই পানিই আবার নিয়ে আসে মরণ।
০৩। পানিতে হয়তো আমরা গৃহ বন্দী হয়েছি, কিন্তু অনেকেই আসছো গৃহ হারা হয়েছে।
০৪। বন্যা যেন এক আতঙ্কের নাম!
০৫। কালকেই এই সবুজ মাঠ টা, আজকে পানিতে থৈ থৈ করছে। না হচ্ছে খেলা, না যাচ্ছে বসা।
০৬। এই যে কালকেই রৌদে গা পুরতে ছিলো, কে জানে আজলে এমন হবে।
০৭। আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।
‘অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ।
০৮। প্রিয় শহরটা, আস্তে আস্তে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে হারানোর থেকে প্রিয় শহরটা হারানোর ভয় বেশি খারাপ লাগছে
০৯। আনা বৃষ্টিতে বৃষ্টি, এই বৃষ্টিতে বন্যা
শান্তি যেন কোথাও নেই।
১০। বন্যার কাছে তুচ্ছ সবাই, তুচ্ছ মানুষ প্রাণী।
ভয়াল ভীষণ রূপ যে তার নগণ্য গুণী জ্ঞানী।
১১। ভরা নদী দু”কুল ছেপে আজকে বুঝি গেছে ক্ষেপে। ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর। অতল তলে বানের জলে যায় না দেখা দুটি কূলে। বানের জলে হারায় আপন পর।
১২। চারদিকি তো পানি আর পানি। এখানে খাওয়ার পানিটার এ অভাব, কি একটা পরিস্থিতি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করুক, আমিন।
১৩। প্রতিটি রাতের মতো এই রাতটি এতো সহজ ছিলো না, সময় যতই যাচ্ছে তত যেন পানি বাড়ছে। সাথে সমানুপাতিক তাহলে বাড়ছে মৃত্যুর আসঙ্খা।
১৪। সুখে আর শখে কত কিছুই না করতাম, কিন্তু আজকে শুধু পরিবারকে নিয়ে বাঁচতে চাই। ফ্যাক্ট বন্যা।
১৫। ঘরবাড়ি সব যায় যে ভেসে প্রাণ নিয়ে হয় খেলা- ঠাঁইয়ের খোঁজে হন্যে সবাই কাটবে কোথায় বেলা।
১৬। ডুবে জমি ডুবে সড়ক ছিন্ন যোগাযোগ,
বানের জলে মিশে দূষণ ছড়ায় নানা রোগ।
১৭। জুলুম করা মানুষ গুলো হয়তো আজকে নিয়মতান্ত্রিক
১৮। জল-স্রোতে ভাঙে নদী গাঁয়ের বসত বাড়ি, নিঃস্ব হয়ে তারা এখন ঢাকায় দিলো পাড়ি। উজান ভেঙে নরম পলি ভাটি গাঁয়ে জমে, ঊষর ভূমি উর্বর করে হাসে ফসল দমে।
১৯। প্রতিটি গল্পের একটা ইতি থাকে, আমাদের ইতিটা হয়তো এই বন্যায়।
২০। চতুর্দিকে শুধু পানি বয়ছে শহর জুড়ে,
পানি দেখে দিশাহারা অন্তর যাচ্ছে পুড়ে।
২১। আকাশ ভরে কালো মেঘে বজ্র হাঁকে দারুণ রেগে। মুষলধারে পড়ছে শুধু জল। মাঠে ঘাটে বইছে বেগে। নাইতো কেহ আর তো জেগে বাইরে আঁধার, ছুটছে অবিরল।
২২। বৃষ্টি মানে কারো কাছে প্রেম কবিতা বা হাজারো বিলাসিতা। আবার বৃষ্টি মানে কারো কাছে চরম দূর্ভোগ তথা ভয়াবহ সর্বনাশা।
২৩। কথায় আছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আর স্মৃতি? কেন বৃষ্টি হয়ে ঝরে আবার একদিন বন্যা হয়ে ফেরে।
২৪। তিন ভাগ জল মাঝের প্রতিটি বাড়ি ভাবছি ঘরে বসে রয়েছি, এই হচ্ছে বন্যার রূপ।
২৫। বন্যা জাপটে ধরে ভাসা গাছে জীব-জন্তু সব,
সাম্য এবং সম্প্রীতিতে একাত্ম বৈভব।
খাবার কোথায়! খিদের জ্বালায় ওঠে হাহাকার,
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার হয় জীবনটা ছারখার।
২৬। বন্যা শেষে মহামারীর প্রাদুর্ভাবও হয়।
বন্যা ধরায় ভূক্তভোগীর, অস্থিমজ্জায় ক্ষয়।
২৭। বন্যা হয়ত ভৌতিক কাঠামো কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু তা কখনোই আপনার দৃঢ়সংকল্পকে ধুয়ে ফেলতে পারে না।
২৮। বন্যা সাফল্যের পথে বাধা নয়; এটি বিজয়ের পথে একটি চক্কর মাত্র।
– সংগৃহীত
২৯। ওহে বঙ্গবাসী! যুদ্ধের কি হল অবসান? নাকি প্রকৃতি দেবে আবারও যুদ্ধের আহ্বান।
৩০। প্রকৃতির এই অকাল বৃষ্টি নেয় যে কত প্রাণ!
লণ্ড ভণ্ড হয় যে সৃষ্টি কে দেবে তার দাম!!
৩১। আষাঢ় এলো,পেলো ফিরে মেঘ কন্যার হাসি, সে হাসিতে এলো বন্যা ফসল গেলো ভাসি।
৩২। বন্যা বসায় কাউকে পথে, কাউকে করে লীন। বন্যার সাথে নেমে আসে, কষ্ট সীমাহীন।
৩৩। আষাঢ়-শ্রাবণ ভাসিয়ে জলে, অঝর কোনে কৌতূহলে, বে হিসেবি গোল্লাছুটে যাচ্ছে হৃদয় অন্যরূটে বন্যা আসুক রাত পোহালে।
৩৪। খুশিতে হোক কিংবা দুঃখে মেঘের বন্যা হয়ে তোমার চোখেই অন্তরালে থাকে যেন ধীরগতিতে।
বন্যা নিয়ে ক্যাপশন
৩৫। ঘর ছেড়ে আজ ছুটছে তারা কোন সে নিরুদ্দেশে।
সব রেখে যায় শূণ্য হাতে যাযাবরের বেশে।
৩৬। বন্যার বিশৃঙ্খলার মধ্যে, মনে রাখবেন যে আপনি নিজের পুনর্নির্মাণের স্থপতি।
৩৭। জলের কাছে আমরা সবাই সমান দাঁড়িয়ে আছি। আমরা এটির সাথে যা করি তা আমাদের আলাদা করে তোলে।
– সংগৃহীত
৩৮। বন্যা থেকে বাঁচার সর্বোত্তম উপায় হল জলের উপরে থাকা।
– সংগৃহীত
৩৯। প্রতিকূলতা বন্যার মতো; এটি আপনাকে সাময়িকভাবে গ্রাস করতে পারে, কিন্তু এটি কখনই আপনার অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতাকে ধুয়ে ফেলতে পারে না।
৪০। বুক যে ভাসে জলের ধারায় ভিটা মাটি স্বজন হারায়। সব হারিয়ে একলা কাঁদি হায়। অভিশাপের মত আসে কালনাগিনীর মত নাশে বিষের বাঁশি বন্যা যে বাজায়।
৪১। বন্যা সকলের জন্য নয় কোন আনন্দ, আবার অনেকের মনে দিয়ে যায় শুধু বেদনার দ্বন্দ্ব।
৪২। আকাশ ফুঁড়ে বৃষ্টি ঝরে উজান থেকে ঢল
বন্যা সেতো জল ও ঢলের সমন্বিত ফল।
৪৩। বন্যা সম্পর্কে অভিযোগ করার পরিবর্তে, একটি নৌকা তৈরি করার উপায় খুঁজে বের করুন।
– সংগৃহীত
৪৪। বন্যা আমাদের ধৈর্য, শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা শেখাতে পারে – কিন্তু শুধুমাত্র যদি আমরা তাদের থেকে শিখতে ইচ্ছুক হই।
– সংগৃহীত
৪৫। নিয়ম মতো বৃষ্টি হলে নদীর কলতান, অতিবৃষ্টির ফল কেড়ে নেয়, কত জীবের প্রাণ।
৪৬। আহার নিদ্রা নাইকো কারো তাকায় আকাশ পানে- জুটে যদি একটু আহার তবেই বাঁচে প্রাণে। সাপ ও মানুষ বসত করে সবাই পাশাপাশি, বানের জলে যায় যে ভেসে কতো মুখের হাসি।
৪৭। বৃষ্টি অল্পস্বল্প হলে মন্দ না, বেশি হলে তো বন্যার কান্না।
৪৮। স্মৃতির সাগরে ভেসে যেতে পারি, যদি সঙ্গে তোকে পাই! ভাঙা-গড়ার খেলায় মেতেই, চলো ইচ্ছে দেশে হারিয়ে যাই।
৪৯। আমি কখনও অভ্যাস হতে চাইনি, আমি কখনো প্রয়োজন হতে পারিনি, আমাকে শুধু অন্তরালের আকাশে বয়ে যাওয়া একটা মেঘ হতে দিও।
৫০। অনাহারে কাটছে জীবন মরছে ধুকে ধুকে পাহাড় সমান কষ্ট যেন জমাট বাঁধা বুকে।
এমন দিনে আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে দেব কষ্টগুলো সবার মাঝে ভাগ করে তাই নেব।
৫১। বন্যায় ভাসছে প্রানের শহর, ভাসছি চাখের জলে। ভাংগছে ব্রিজ, ভাসছে ফসল, চোখে অশ্রুজল। একি সাথে নৌকা,গাড়ী, চলেছে রাস্তা ঘাটে। উন্নয়নের দেশ আজ, এমন স্মৃতির তটে। বিদ্যুৎ অফিস পানির তলে, আলোক হীনায় কষ্টে। মোমবাতিতে আলোর কষ্ট, কাটাই দুঃখে কষ্টে।
৫২। আমি যেন সমুদ্র সৈকত তুমি তোমার প্রতি আমিনা চায় আমার ঢেউ অনেকটা এগিয়ে ফিরি ভাটার টানে, জোয়ারের জলে বন্যা চায় না যে কেউ।
৫৩। বন্যার পরে, ধ্বংসযজ্ঞের ফাটল ধরে মানবতার সৌন্দর্য উজ্জ্বল হয়।
৫৪। বন্যা বস্তুগত সম্পদকে ধুয়ে ফেলতে পারে, কিন্তু এটি কখনই ভিতরে থাকা স্থিতিস্থাপকতাকে মুছে ফেলতে পারে না।
৫৫। মন-নদীতে আসুক না বান উঠুক তরী দুলে,
তরতরিয়ে জীবন পার হোক খুশির লহর তুলে।
৫৬। এমন উদার নাই বা হলে যে উদারতা বন্যা ডাকে আমি শুধু চেয়ে থাকি তোমারি পানে।
৫৭। বন্যা ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, কিন্তু তারা সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত হওয়ার এবং পুনর্নির্মাণের পথও প্রশস্ত করে।
৫৮। জীবনে, আমরা সবাই শুধু ডুব বা সাঁতার কাটছি। এটা নির্ভর করে আমরা কতটা ভালোভাবে চপি জলে চলাচল করতে পারি তার উপর।
– সংগৃহীত
৫৯। বন্যা বাড়ায় জন দুর্ভোগ অন্ন বাসস্থান – কেড়ে নিয়ে আচমকা দেয় নাড়ী ধরে টান।
৬০। কোলের শিশু যায় যে ভেসে সেই বন্যার জলে- গ্ৰাম গঞ্জ ডুবে তখন জলের অতল তলে।
৬১। বন্যার পানির মাঝে আমরা, পাইনা নিরাপদ পানি। এমন কষ্টে আর কতদিন, পাবনা নিরাপদ পানি। সৃষ্টি কর্তা রক্ষা করো। জানি মহান তুমি। বন্যাজল তাড়িয়ে নাও, বাচাঁও জন্মভূমি।
৬২। নদীর অকাল প্লাবনে যদি ভাঙ্গন ধরে বাঁধের কিনারে বন্যা হয়ে ভাসাবো তোকে, আগলে রেখে স্মৃতির মিনারে।
৬৩। একটা সময় ছিল যখন, মন খারাপ হলে মন খুলে কাঁদতাম কিন্তু এখন মনটাও যেন কেমন হয়ে গেছে চাইলে খরার সৃষ্টি হয় কিন্তু বন্যার সৃষ্টি হয় না।
৬৪। আষাঢ় শ্রাবণ ভাসিয়ে জলে, অঝর কোন কৌতুহলে, বে হিসেবি গোল্লাছুটে যাচ্ছে হৃদয় অন্যরূটে, বন্যা আসুক রাত পোহালে।
৬৫। সর্বনাশী বন্যা ভাঙে কত সুখের নীড়, গরিব লোকের সব ভেসে যায়, পায় না খুঁজে তীর।
৬৬। কতশ ফসল, কতশ আশা নিমিশেই ধ্বংস হয়ে গেলো, ফ্যাক্ট বন্যা।
৬৭। প্রকৃতি হয়তো আমাদের কল্যাণ বয়ে আনে, নাইতো ভয়ংকর রকম তান্ডব চালাই, এটাই তার উদাহরণ।
৬৮। জমি-জমা, বাড়ি-গাড়ি সবই আছে পরে।
সব কিছু যে একাকার আজ পানি থই থই করে।
৬৯। বন্যা হলে কি দুর্দশা ভুক্তভোগীই জানে- অন্য কেউই বোঝে না তা জানে না তার মানে।
বন্যা নিয়ে কবিতা
বন্যা
মঙ্গল দাস
খালবিলে আর নদী নালায়
উপচে পড়ে জল,
দুষ্টু কন্যা বন্যা দেখো
হাসছে অবিরল।
গ্ৰাম শহর সব জলের তলায়
ডুবল রাস্তা ঘাট,
কষ্টে বোনা ফসল নষ্ট
ধান সব্জী আর পাট।
ভাঙছে সকল মাটির বাড়ি
ভাসছে গরু মোষ,
না জানি ভাই বন্যা রাণীর
কিসের এতো রোষ।
দিনমজুর আজ কর্মহারা
শুকনো সবার মুখ,
বছর বছর বন্যা আসে
কেড়ে নিতে সুখ।
বন্যা রুখতে বৃক্ষ লাগাও
আর কেটো না বন,
বন্ধ হলে সকল দূষণ
বাঁচবে মানুষ জন।
বন্যা হলে
স্বপনকুমার বিজলী
গাঁয়ের বুকে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি যখন আসে
চাষির দুচোখ আশার আলোয়
স্বপ্ন সুখে ভাসে ।
দর্মা ঘেরা টালির ঘরে
আমরা থাকি সুখে
অতি বৃষ্টি বন্যা হলে
আতঙ্ক ছাপ মুখে ।
চাষের খেতে এক গলা জল
ঘর ডুবে যায় জলে
পশুপাখি সাপ মানুষে
থাকে কোলাহলে ।
গত বছর বন্যা হলে
ত্রাণ এসেছে উড়ে
গাছে চড়ে হাত ভরেছে
চিড়ে এবং গুড়ে ।
ঠিকানাঃ কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ ভারত।
বন্যা কথা
গৌর গোপাল পাল
বান ডেকেছে মেঘের জলে
ডুবলো যে ঘর বাড়ি!
কত জনের তারই ফলে
ভাসলো ভাতের হাড়ি!!
ভাসলো ছাগল ভাসলো গরু
ভাসলো ধানের গোলা!
কারো আবার ভাসলো জরু
কারো কোলের পোলা!!
ভাসলো বনের পশু-পাখি
ভাসলো কত প্রাণী!
ক’জনে তার খবর রাখি
কেউ কি সেটা জানি!!
বন্যা
ভাগ্যধর হাজারী
বানের তোড়ে যায় ভেসে যায়
গ্রামের পরে গ্রাম–
ঝম ঝমাঝম আকাশ থেকে
বৃষ্টি অবিরাম ।
নদ নদীতে তুফান আসে
দু’কূল ডুবে যায় ,
চাষীর ফসল নষ্ট সবই
বেঁচে থাকাই দায় ।
বাড়িঘরের চিহ্ন যে নেই
সব গিয়েছে ভেসে
মানুষজনের দুখের কথা
চোখের জলে মেশে ।
বন্যা তোমার করাল গ্রাসে
ভাঙলো সুখের ঘর–
আর্তমানুষ বলছে কেঁদে
বন্যা স্বার্থপর ।
বন্যা যে হয় বছর বছর
দোষ প্রকৃতির নয়–
পরিবেশকে ধ্বংস করেই
করছি পাপের ক্ষয়।
ঠিকানাঃ দক্ষিণেশ্বর, কলকাতা।
কোথায় মাথা গোঁজে
ফাতেমা সাইফুল বীনু
দেশে এখন চতুর্দিকে
পানি থৈথৈ করে,
গ্রামের সবাই আছে টিকে
উঁচু একটা ঘরে।
বাজার হাটও ভাসছে এবার
সবাই দিশেহারা,
খাচ্ছে এখন ছিল যে যার
একটু কেনা তারা।
বানের পানি চোখ না মানে
এক হয়েছে এসে,
খাবার কোথায় কেওনা জানে
যাচ্ছে সবই ভেসে।
উাদাম আকাশ ঘরের চালে
ছোট্ট শিশু সাথে,
মা দেখে তার চৌকি খালে
উপায় নেইতো হাতে।
শিশুর বাপে দূরে গেছে
একটু খাবার খোঁজে,
এমন গ্রাম সব ডুবেছে
কোথায় মাথা গোঁজে?
বন্যা
জাহিদ বিন মোস্তফা
হঠাৎ করে বন্যা হয়ে
শহর ডুবে গেলো,
বন্যা দেখে ছুটাছুটি
সবি এলোমেলো।
ছোট বড় সবে মিলে
ছুটছে ছদ্ধ বেশে,
গবাদি সব পশুপাখি
পাচ্ছে না যে দিশে।
বাড়িগুলো পানি দিয়ে
ভরপুর হয়ে আছে,
বন্যার পানি প্রবল ভেগে
আসছে আরো কাছে।
বন্যার কালবেলায়
সুভাষ চন্দ্র রায়
অঝোর ধারায় বৃষ্টি হলে
নদী উপচে পড়ে,
বাঁধ ভেঙে জল ঢল নামিয়ে
ঢোকে গাঁয়ের ঘরে।
মাটির দেয়াল খড়ের সে চাল
যায় ভেসে যায় চলে,
থাকবে কোথায় বাড়ির মানুষ
এমন বন্যা হলে!
ফসল নষ্ট ভীষণ কষ্ট
ভিজে বন্যার জলে,
দিনে খেটে দিন চলে যার
কি করে তার চলে?
শহর ভরে বৃষ্টির জলে
উপচে পড়ে ড্রেন,
রাস্তা ডোবে লাইন ডোবে
বন্ধ যে বাস ট্রেন!
ত্রাণের কর্তা আছেন যারা
বসে করেন চর্চা,
আপন পকেট ভরতে হবে
কম করে দাও খরচা!