তরুণ কবি ও সংগঠক মোঃ সামাউন আলী’র সংক্ষিপ্ত পরিচিত ও জীবনী

তরুণ কবি ও সংগঠক মোঃ সামাউন আলী (সুমন) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও জীবনী সম্পর্কে জানবো এই আর্টিকেলে।  

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

কবি মোঃ সামাউন আলী) (সুমন),রূপসী বাংলার কবি জীবননান্দ দাশ এর ইতিহাস খ্যাত বনলতা সেন এর শহর নাটোর জেলার অন্তর্গত সিংড়া উপজেলার ০৮ নং শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দী গ্রামে পিতা মোঃ কালু প্রামানিক ও মাতা মোছাঃ সুজেদা বিবির কোল আলোকিত করে সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে ১৫/০৭/১৯৯৬ ইং সনে জন্মগ্রহণ করেন। তারা মোট তিন ভাই -বোন, তিনি ভাই -বোন এর মধ্যে সে সবার ছোট।

কবি মোঃ সামাউন আলী’র ছবি

মোঃ সামাউন আলী

মোঃ সামাউন আলী

মোঃ সামাউন আলী

 

শিক্ষা জীবন

শিক্ষা জীবনে প্রথম অক্ষর জ্ঞান মায়ের কাছে থেকে শুরু হয়, এরপর ভাগনাগরকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করেন, ২০১৩ সালে ভাগনাগরকান্দী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং ২০১৫ সালে সুদরানা টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন, তারপর ২০১৬ সালে উচ্চ শিক্ষা জন্য সিংড়া উপজেলার উচ্চ বিদ্যাপীঠ গোল- ই- আফরোজ সরকারি( অনার্স) কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিবিএ (স্নাতক) কোর্সে ভর্তি হন, দীর্ঘ চার বছর পড়াশোনা শেষ করে ২০২০ সালে বিবিএ( স্নাতক) শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে, বর্তমানে তিনি দেশের সুনামধন্য উচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের (স্নাতকোত্তর) শেষ বর্ষের ছাত্র।

কর্ম-জীবন

শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়ার জন্য তেমন কোন কর্মে প্রবেশ করতে পারেননি, তবে পড়াশোনার পাশাপাশি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিজস্ব এলকায় কিছু টিউশানি করিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে আসছেন,তিনি নিজস্ব এলাকায় গৃহ-শিক্ষক হিসেবে পরিচিত, বর্তমান তিনি “প্রতিভা অ্যাকাউন্টিং প্রাইভেট হোম” এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন,

সাহিত্য জীবন

পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট বেলা থেকেই মায়ের মুখ থেকে তিনি প্রায়ই ছড়া শুনতে পছন্দ করতেন, এমনকি নিজেও ছড়া, কবিতা, গল্প পড়তে অনেক পছন্দ করতেন,
শৈশবকাল থেকেই সাহিত্য তার অনেক ভালোলাগা পছন্দের,তারপর হাইস্কুল জীবন থেকে তিনি টুকটাক লেখালেখি শুরু করেন কিন্তু প্রকাশ করার তেমন কোন প্লাটফর্ম তৈরী হয়ে উঠেনি,হাইস্কুলের চৌকাঠ পেরিয়ে কলেজে এসেও তেমন কোন সুযোগ হয়ে উঠেনি,এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে (স্নাতক) তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত অবস্থায় গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ এর বড়াইগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুস আলীর সার্বিক সহযোগিতায় আমার যৌথ কাব্য গ্রন্হ “পহেলা বৈশাখ -১৪২৬” গাঙচিল প্রকাশন থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এরপর থেকে তার লেখা ১০টির অধিক যৌথ কাব্য গ্রন্হ প্রকাশিত হয়। তার লেখা যৌথ কাব্য গ্রন্হ হলো: কবির চোখে স্বপ্নতরী, সবুজে ঘেরা নদী, জ্বলন্ত এক মহাকাব্য, মন ছুয়ে যায়, বিষাদের নীল কন্ঠ, মৃত্যুঞ্জয়ী ইত্যাদি,তার লেখা অন্যতম কবিতা হলোঃ শৈশব স্মৃতি, স্বপ্নময় জীবন,রাজকন্যা, আমি মধ্যবিত্ত ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বর্তমানে নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন জাতীয় /স্হানীয় পত্র-পত্রিকা,মাসিক সাহিত্য পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি তে লেখা লেখি করেন। এছাড়াও বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  হুসনা বিনতে ইমদাদুল এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও জীবনী

 

সাংগঠনিক জীবন

তিনি বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত, তিনি বর্তমানে দেশের অন্যতম সাহিত্য সংগঠন “স্বপ্ননীল সাহিত্য চর্চা পরিষদ “
এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও “পাকনেত্র আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ ” এর সাধারণ সদস্য ,এছাড়াও তিনি দেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন”পজিটিভ বাংলাদেশ ” এ নাটোর জেলা সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি নিজে গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের সহযোগিতা করার মানসে প্রতিষ্ঠা করেন “প্রতিভা ছাত্র কল্যান সংস্থা “সেখানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

পুরষ্কার ও সম্মাননা

★ আন্তর্জাতিক গুনিজন সংবর্ধনা-২০১৯ইং (সেরা কবি সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ) – স্বপ্ননীল সাহিত্য চর্চা পরিষদ।

★আন্তর্জাতিক গুনিজন সংবর্ধনা এ্যাওয়ার্ড -২০২০,ইং (রৌপ্যপদক ও সনদ ) , অনলাইন লিটারেচার গ্রুপস ইউনিটি।

★চলনবিল শিক্ষা উৎসব -২০২০ইং (“সফল যারা কেমন তারা “সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ), সিংড়া-নাটোর।

★মহাকবি কায়কোবাদ স্মৃতি সাহিত্য পদক-২০২২ইং, (বোঞ্জ পদক ও সনদ), মাসিক চিরকুটে সাহিত্য পত্রিকা ও চিরকুটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ।

মোঃ সামাউন আলী

মোঃ সামাউন আলী

মোঃ সামাউন আলী

শীতকাল কলমে সামাউন আলী

শীতকাল
সামাউন আলী

শীত এসে লাগলো কাঁপুনি,
লেগেছে দোলা প্রাণে।
শীতের সকালের হীমেল হাওয়া,
আনন্দ আর মধুর গানে।
মাঠে সরষে ফুলের ছড়াছড়ি
সরষে ক্ষেতে ভ্রমর গুলো,
মধুর খোঁজে করছে ঘোরাঘুরি।
হিজল তলায় প্রভাত বেলায়,
কিশোর-কিশোরীর খেলা।
এই ফুল দিয়ে গড়বে তারা,
কত শত ফুলের মালা।
শীত ঋতু এলো ঘন কুয়াশা,
আর চাদর -কাঁথা মুড়ি দিয়ে।
শীতের সকাল এলো এখন,
গুটি গুটি পায়ে হামাগুড়ি দিয়ে।
শীতকালে তাই রসের হাঁড়ি,
খেজুর গাছে ঝোলে।
সেই রস দিয়ে পিঠা -পুলি হবে,
ভাবতেই মন দোলে।
খেজুর গুড়ের কথা ভেবে,
জিহ্বায় আসে পানি।
এই গুড়েতে ভাপা পিঠার,
কোন তুলনা নাই জানি।
শীতের সাজে সাজলো আকাশ,
ভিজে গেল তার জলে।
তারই সাথে ভিজলো যে ঘাস,
শিশির কণার ঢলে।
শীতের সকালে আলসেমিতে,
চায়না কাটতে ঘুম।
প্রভাত বেলার মিষ্টি রোদ,
কপালে দেয় চুম।
মিষ্টি রোদের মিষ্টি পরশ,
শীতকে তাড়ালো।
হীম কুয়াশার শীতের সকাল,
তাই লাগে বড় ভালো।
হীম শীতল সন্ধ্যা বেলায়,
গাঁয়ে দিয়ে চাদর।
জটলা করে বসে সবাই,
আগুনের নেয় আদর।
হীম শীতল ঠান্ডা হাওয়া আসে,
হায় রসে হাঁড়ি নিয়ে।
বিদায় বেলায় কোকিল তার,
মিষ্টি শুর যায় শুনিয়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *