স্বাধীন বাংলাদেশ সংখ্যা | ২৬+ স্বাধীনতা দিবসের কবিতা

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা, সাপ্তাহিক অনুমতি প্লাটফর্মে প্রকাশিত স্বাধীন বাংলাদেশ সংখ্যার কবিতা ও গল্প গুলো।

(০১) মোঃ সৈয়দুল ইসলাম
(০২) ফেরদৌসী খানম রীনা
(০৩) আতিক এ রহিম  (ছড়া)
(০৪) রেজাউল করিম রোমেল 
(০৫) তপন মাইতি
(০৬) আফছানা খানম অথৈ
(০৭) শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া (জয়) 
(০৮) মোঃ শরীফ উদ্দিন
(০৯) মুহাম্মদ মুকুল মিয়া
(১০) জাকির আলম
(১১) তৌকির আহম্মদ তুষার
(১২) মোঃ রবিউল হাসান
(১৩) আব্দুল্লাহ মাসউদ
(১৪) উম্মি হুরায়েরা বিলু
(১৫) সুমাইয়া আক্তার ফারজানা
(১৬) দেবার্পণ শিথি রায়
(১৭) নাদিয়া
(১৯) নূর মোহাম্মদ
(২০) মুহাম্মাদ রাকিবুল ইসলাম
(২১) ফাতিমা তুস সাদিকা
(২২) আল-আমিন ইসলাম পলক
(২৩) গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
(২৪) নারগিস খাতুন
(২৫) শরীফ সাথী
(২৬) সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
(২৭) খদীজাতুল কুবরা
(২৮) বিধান চন্দ্র দেবনাথ

সঙ্গীত
(০১) রেজা কারিম

অণুগল্প
(০১) মুহাম্মদ আল ইমরান

গল্প
(০১) মোঃ ইমরান হোসাইন 
(০২) আফছানা খানম অথৈ

বারেক দাদার ছোটবেলা | স্বাধীনতা দিবসের গল্প

 

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা

 

স্বাধীনতা দেখি | মোঃ সৈয়দুল ইসলাম

 

স্বাধীনতা দেখি মায়ের ভাষায়
সুবাস ছড়ানো ফুলে,
স্বাধীনতা দেখি শেখ মুজিবের
অগ্নি ভাষণের মুলে।

স্বাধীনতা দেখি বোনের হাসিতে
পাখির কলতানে,
স্বাধীনতা দেখি রবীন্দ্রনাথের
সোনার বাংলা গানে।

স্বাধীনতা দেখি পাঠশালাতে
বাংলা বর্ণমালায়,
স্বাধীনতা দেখি শিশুর হাতে
মুক্ত কলম চালায়।

স্বাধীনতা দেখি শহীদ মিনারে
ফুলেল শ্রদ্ধা কালে,
স্বাধীনতা দেখি আকাশে বাতাসে
লাল সবুজের পালে।

ঠিকানাঃ হাসারচর, শান্তিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।

 

স্বাধীনতা দিবস | ফেরদৌসী খানম রীনা

 

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বাঙালির
সাধনার সফলতার দিন,
যুগ যুগ ধরে রবে বাংলার মানুষের 
মনে হবে না মলিন।

দামাল ছেলেরা প্রাণ দিল ভালোবাসায়
স্বাধীনতা পাবার আশায়,
বাংলার কৃষক, জেলে, ছাত্র, শিক্ষক
যুদ্ধ গেলো একই নেশায়।

সুজলা- সুফলা, শস্য-শ্যামল বাংলা
শহীদের ত্যাগের মহিমায়,
স্বাধীনতার ফুলটি আনলো শহীদেরা
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়। 

মুক্তিযোদ্ধারা  স্বার্থ ত্যাগ করে,
স্বাধীন করলো দেশ,
বাঙালির চেতনায় সদা স্বাধীনতা
ছিলো অনিমেষ। 

পরাধীনতার গ্লাণি থেকে বাংলা হলো মুক্ত
দুখি মায়ের মুখে ফুটলো হাসি,
কবির লেখায় ” আমার সোনার বাংলা 
আমি তোমায় ভালোবাসি”।

বিশ্ব মানচিত্র মাঝে বাংলাদেশ 
নামটি হলো আঁকা,
স্বাধীন বাংলায় বাংলায় উড়ে আজ
লাল সবুজ পতাকা।

 

যুদ্ধে যাবো | আতিক এ রহিম  (ছড়া)

যুদ্ধে যেতে চাইছে খোকা 
আনবে স্বাধীনতা
জান দিবনা মান দিবনা
থাকবনা পরাধীনতা।
যুদ্ধে যেতে চাইছে খোকা 
মাতৃভূমির জন্য 
কোনো লোভে হয়নি লোভী
পাক সেনাদের পণ্য। 
যুদ্ধে যেতে চাইছে খোকা 
বঙ্গবন্ধুর ডাকে
স্বাধীনতা আনবে কেঁড়ে 
দেয় শত্রুদের রুখে।
যুদ্ধে যেতে চাইছে খোকা 
আনবে পতাকা
সেই পতাকায় আছে জমে 
শহীদ জননীর কথা। 
যুদ্ধে যেতে চাইছে খোকা 
মা হারানোর শোকে
স্বজন হারা দুঃখ ব্যথা
জ্বলে আজও বুকে।

ঠিকানা গ্রাম: গোরাকান্দা, ডাকঘর: কলমা, উপজেলা: লৌহজং, জেলা: মুন্সীগঞ্জ। 

 

স্বাধীনতা | রেজাউল করিম রোমেল 

 

স্বাধীনতা….

তোমার জন্য 
অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছিল
বিদ্রোহী বাঙ্গালী জনতা ৷

স্বাধীনতা….
তোমার জন্য
একাত্তরের নরপিশাচ ভয়ে পালিয়ে ছিল
শত প্রলোভন ছেড়ে ৷

স্বাধীনতা….
তোমার জন্য
পিরোজপুরের ছেলেহারা ছখিনা বিবি
আজো কাঁদে‐
রক্তে ভেজা জামাটি বুকে নিয়ে ৷

স্বাধীনতা….
তোমার জন্য
আজ আমরা পেয়েছি 
লাল সবুজ পতাকায়
পৃথিবীর বুকে এক স্বাধীন ভূখন্ড ৷

ঠিকানাঃ রায়পাড়া, ইসমাইল কলোনি, 
যশোর, বাংলাদেশ। 

 

স্বাধীনতা | তপন মাইতি

 

কথায় কথায় কথা বেড়েই চলে 

স্বাধীন হয়েছো স্বাধীন?
দিন মজুরের পাথর ভাঙা ব্যাথা 
কারা থাকবে পরাধীন?

বলতে বলতে শুকিয়ে যায় গলা 
এই স্বাধীনতা পেলে?
ফোটে উঠোনের মাধবীলতা 
স্বাধীন চিন্তা এলে। 

চলতে চলতে চালিয়ে যায় পথিক 
মর্মার্থ জানো? মর্ম…
হেলা তো নয় এটি যথাতথা?
ভাঙো শৃঙ্খলের বর্ম। 

বাড়তে বাড়তে বাড়িয়ে যায় সীমা 
এক জীবনের মূল্যবোধ 
ছিঁড়ে ফেলো পরাধীনের লতা 
স্বাধীন হও চালাক অবোধ।

কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে জল চোখে 
ইতিহাস পড়ে পাওয়া
আমরা সবাই বলবো স্বাধীনতা 
জাতীয় সংগীত গাওয়া।

হাসতে হাসতে মন রেখে যায় মনে 
সংগ্রামের মধ্যে পাওয়া
আগলে রাখব সবাই আপনজনে 
স্বাধীন দেশের হাওয়া।

ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর;
থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ২৪পরগণা;
পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

স্বাধীনতা | আফছানা খানম অথৈ

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হল
ত্রিশ লক্ষ সেনা
তাদের রক্ত যায়নি বৃথা
ফিরে পেল স্বাধীনতা।

বাঙালি জাতি সাহসী জাতি
দিয়েছেন তার প্রমাণ
ভীরু কাপুরেষের মতো
ভেঙ্গে পড়েননি একবার ও।

বাংলার মানুষ করেছেন পণ
আনবেন স্বাধীনতা
বিজাতিদের ছাড় দেবেন না  
করবেন দেশান্তর।

বাঙালি জাতি বীরের জাতি
দিয়েছেন তার প্রমাণ
রক্ত দিলেন তবুও ছাড়লেন না   
বাংলার মানুষের অধিকার।

রক্তে লাল বাংলার মাঠ প্রান্তর  
রাস্তাঘাটে লাশ আর লাশ
লাশের গন্ধে আকাশ বাতাস দুষিত
সহ্য করতে পারলো না জনগণ।

বাংলার মানুষ ক্ষীপ্ত অশান্ত
গর্জে উঠেছে দামাল ছেলেরা
প্রাণপণ যুদ্ধ করে চলেছে
আর নেই রক্ষা তাদের।

শক্তিশালী পাকিস্তানি জনতা
 টিকতে পারলো না  
পরাজিত হল বাংলার মানুষের হাতে   
ফিরে পেল বাঙালি তাদের স্বাধীনতা।

 

স্বাধীনতার আরেক নাম বঙ্গবন্ধু | শাহাব উদ্দিন ভূঁইয়া (জয়) 

দফা ১৯৭০__
জানুয়ারির ছয় তারিখে বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত,
এই শুনে পুরা বাংলা হইছে বহু আলোচিত।
ছয় দফার প্রসঙ্গে আহ্বান জানান দেশবাসী,
বিপদে হাত বিলিয়ে থাকবে সবাই পাশাপাশি।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১__
সাত মার্চে রেসকোর্স কাঁপে মজিব ভাষণে,
পাক বাহিনী কাঁপছে ভয়ে বঙ্গবন্ধুর শাসনে।
দূর্গ তোলো ঘরে-ঘরে ছিলো সেদিন ভাষণে,
তর্জন সুরে মানতে হবে প্রতিজ্ঞা হবে পালনে।

কালো রাত ২৫শে মার্চ__
পঁচিশ মার্চে পাক বাহিনী রাতে পড়ে ঝাঁপিয়ে,
বঙ্গবন্ধু রাত বারোটায় ঘোষণা দেয় ধাপিয়ে।
নয় মাসে যুদ্ধ করে জয় করেছি পণ,
ষোলেই ডিসেম্বর রেসকোর্সে করে সমর্পণ।

স্বাধীন বাংলাদেশ__
কত আঘাত কত সংঘাত যুদ্ধ করেছি শেষ,
রক্তে ঝরা বিনিময়ে হলো স্বাধীন বাংলাদেশ।
নব রূপে সাজবে এবার প্রিয় আমার দেশ,
জাতিসংঘে যুক্ত হবে আমার স্বাধীন বাংলাদেশ।

আরো পড়ুনঃ  Toxins, Poet Dr Jarnail S Anand

 

অগ্নিঝরা মার্চ | মোঃ শরীফ উদ্দিন

 

ঘুমে বিভোর ছিলাম আমি
৭-ই মার্চের রাত,
প্রভাত হতেই জেগে দেখি
অস্ত্র সবার হাত।

ঘুমের ঘোরেই লিখেছি তাই
কলম নিয়ে ভাই,
পাকিস্তানি শাসকদের আর
নাই এখানে ঠাঁই।

করবো লড়াই —- রক্তক্ষয়ী
গড়তে স্বাধীন দেশ,
ওই যে ডাকছে বঙ্গবন্ধু
পাককে করতে শেষ।

সবুজ বাংলার ধান চাল সবই
পাক আয়ত্তে মাঠ,
দেবো না আর সোনালী আঁশ
লুটে নিতে পাট।

মা-ও মাটির বাংলার সৃষ্টি
রবিশস্য ধান,
যুবা জোয়ান রক্ষা করে
বঙ্গবন্ধুর মান।

স্বাধীন মানে | মুহাম্মদ মুকুল মিয়া

 

স্বাধীন মানে সেন্টমার্টিনে
গাঙচিলের উড়াউড়ি,
স্বাধীন মানে নীলাকাশে
গোত্তা খাওয়া ঘুড়ি।

স্বাধীন মানে আকাশ জুড়ে
উড়ে যাওয়া মেঘ,
স্বাধীন মানে কালবোশেখীর
ঝড়ো হাওয়ার বেগ।

স্বাধীন মানে কোকিল পাখির
মন মাতানো গান,
স্বাধীন মানে দাদুর মুখের
মিষ্টি স্বাদের পান।

স্বাধীন মানে বইমেলাতে
বই বিক্রির ধুম,
স্বাধীন মানে শিশুর গালে
এঁকে দেয়া চুম।

স্বাধীন মানে বাংলাদেশ
স্বাধীন মানে সুখ,
স্বাধীন মানে বীর বাঙালির
হাসি মাখা মুখ।

ঠিকানাঃ কাফাটিয়া, লেমুবাড়ি, মানিকগঞ্জ।

 

একাত্তরের বীরাঙ্গনা | জাকির আলম

 

একাত্তরের যুদ্ধে যেজন বীরাঙ্গনা নারী
তাঁদের তরে লাখো সালাম শ্রদ্ধা ভরে স্মরি।
গৃহ সংসার ছেড়ে তাঁরা করেছিলো সমর
ইতিহাসের পাতা জুড়ে হয়ে আছে অমর।

মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান তাঁরা রেখে গেছে মান
সেই খুশিতে মিষ্টি সুরে পাখির কণ্ঠে গান।
শ্যামল বাংলার মাটিতে আঁকা তাঁদের ছবি
সোনা রোদে ঘাসের বুকে আঁছড়ে পড়ে রবি।

আঁকাবাঁকা নদীর বাঁকে জেলেরা ধরে মাছ
গাঁয়ের পথে সারি সারি নানা রকম গাছ।
ফুলের বনে মধু পানে ভ্রমর ছুটে চলে
দোয়েল-শ্যামা কানে কানে দেশের কথা বলে।

জলে ভাসা শাপলা শালুক নিত্য কাড়ে মন
কাঠপেন্সিলে দেশের কথা লিখি সারাক্ষণ।
লাল-সবুজে মাখামাখি যেন তুলির পোঁচ
হাজার যুগ ঘুরে ঘুরে পেয়েছি তার খোঁজ।

এতো সুন্দর দেশ মাতা নেই জগৎ জুড়ে
বীরাঙ্গনা নারীর প্রতি প্রণয় অন্তঃপুরে।
বুকের রক্ত ঢেলে তাঁরা মুক্ত করছে দেশ
জন্ম নিছে বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশ।

 

স্বাগতম হে স্বাধীনতা | তৌকির আহম্মদ তুষার

 

বাংলাদেশ স্বাধীন আজি,

লক্ষ শহীদ রক্ত দানে।
তাদের কথা ভুলিব নাকো,
থাকিতে প্রাণ এ দেহে।

স্বাধীনতা এসেছিল—
বাংলার ধানী জমিন রক্তে ভাসিয়ে,
রক্ষা করিতে মাতৃভাষার সম্মান।

স্বাধীনতা এসেছিলে—
পাক বাহিনীকে জব্দ করিয়া,
উড্ডীন করিতে লাল সবুজের নিশান।

স্বাধীনতা তুমি বায়ান্ন ও-
একাত্তরের বিপ্লবী স্লোগান।
লক্ষ শহীদ রক্ত দানে-
গেয়েছি মোরা বিজয়ের গান।

 

স্বাধীনতা দিবস | মোঃ রবিউল হাসান

 

আকাশের নীলে নির্দয় প্রজাপতি বাজায় গান,
মাতৃভূমির স্বর্গে উত্তপ্ত আগুনের বাতাস।

শত শত বছরের সংগ্রামের কথা আজ স্মরণ,
স্বাধীনতা দিবসে আলোর উদ্বোধন।

বেইজোড়ে বেদনা গোপন করে মা প্রজাপতি,
উঠে যাক স্বাধীনতার পথে আমাদের হৃদয় যাত্রী।

জাগো জনগণ, জাগো জাগো প্রেমের স্বরে,
স্বাধীনতা দিবসে সবার প্রতি শুভেচ্ছা ও আবেগে।

উত্থিত করো মুক্তির আলো, স্বাধীনতা সন্ধান,
মুক্তির অভিযানে যোগ দাও হাতে হাত নানা ধরণের মানুষ সঙ্গে।

স্বাধীনতা দিবসে মন উত্তেজিত, প্রজাপতির পথে চলে,
সমৃদ্ধ মানুষের মধ্যে বাণী বিস্মৃত হৃদয়ে লেখা।

উঠুক স্বাধীনতা আর প্রেমের পথে,
আনন্দে মাতৃভূমির স্নেহে লুকানো সমস্ত আশা।

 

স্বাধীনতা কেমন আছো? | আব্দুল্লাহ মাসউদ

 

স্বাধীনতা কেমন আছো
আমার স্বাধীন রাজ্যে?
দেখছি তোমায় রোজ পরাধীন
বন্দি আছো আজ যে।

মুখ খুলে তাই সত্য কথা
যায় না বলা জোরসে
বললে কেহ দেখে না আর
পরেরদিনের ভোর সে।

এই নীতি কি লেখা ছিলো
স্বাধীনতার মন্ত্রে?
কে আবিস্কার করলো এটা
কোন সে মহান যন্ত্রে?

শিক্ষার্থীঃ আল জামিয়াতুল আহলিয়া মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

 

আমি স্বাধীনতা | উম্মি হুরায়েরা বিলু

 

আমি স্বাধীনতা,
আমি নজরুলের সেই সুরেলা বাঁশি,
আমি স্বাধীনতা,
আমি ভালোবাসি বাংলা মায়ের হাসি।

আমি স্বাধীনতা,
আমি আঁকাবাঁকা মেঠোপথ,
আমি স্বাধীনতা,
আমার থামবে না কভু রথ।

আমি স্বাধীনতা,
আমি রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা সুর,
আমি স্বাধীনতা,
আমার বিস্তার দূর থেকে বহু দূর।

আমি স্বাধীনতা,
আমি শেখ মুজিবের বজ্র কন্ঠ বাণী,
আমি স্বাধীনতা,
আমি বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে আনি।

আমি স্বাধীনতা,
আমি ছেলে হারা মায়ের চোখের জল,
আমি স্বাধীনতা,
আমি সহ্য করি না কোনো রকমের ছল।

স্বাধীনতা তুমি | সুমাইয়া আক্তার ফারজানা

স্বাধীনতা তুমি সূর্য উঠা ভোর,
স্বাধীনতা তুমি অমানিশার ঘোর।

স্বাধীনতা তুমি লক্ষ তারার মেলা,
স্বাধীনতা তুমি বর্ষা নদীর ভেলা।

স্বাধীনতা তুমি চোখের কোণে জল,
স্বাধীনতা তুমি বাঙালির মনোবল।

স্বাধীনতা তুমি একাত্তরের জয়,
স্বাধীনতা তুমি কেড়েছিলে ভয়।

স্বাধীনতা তুমি যুদ্ধ জয়ের গান,
স্বাধীনতা তুমি লক্ষ তাজা প্রাণ।

স্বাধীনতা তুমি উত্তাল সেই মাস,
স্বাধীনতা তুমি অগ্নি ঝরা মার্চ।

শিক্ষার্থীঃ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ কিশোরগঞ্জ।

মুক্তিযুদ্ধ | দেবার্পণ শিথি রায়

 

বঙ্গবন্ধু আদেশ দিলেন
যুদ্ধ সবাই করো
ঘরে ঘরে দুর্গ করে
অস্ত্র হাতে ধরো।

জাতির পিতার ভাষণ শুনে
বাংলা মায়ের ছেলে
যুদ্ধ যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়
সকল বাঁধা ঠেলে ।

ছেলের এমন কথায় মায়ের
গর্বে ভরে বুক,
হুকুম দিলেন যুদ্ধ করে
গুছাও দেশের দুখ।

গাঁয়ের সকল দামাল ছেলে
যুদ্ধে গেলো ছোটে
অস্ত্র ধরো যুদ্ধ করো
আওয়াজ ঠোঁটে ঠোঁটে ।

আমার গাঁয়ের সবাই এখন
স্বাধীন মুক্তিযোদ্ধা
তাদের প্রতি হাজার সালাম
তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

 

স্বাধীনতা তুমি রক্তজবা | নাদিয়া

 

২৫ মার্চের কালো রাত পেরিয়ে
এলে তুমি হে স্বাধীনতা
তোমার নাম স্মরণে দূর হয় শত দূর্বলতা।
তুমি যে দেখিয়েছিলে করুন দৃশ্য,
তোমাকে পেতে করেছিল বাঙালি
ত্রিশ লক্ষ প্রাণ নিঃস্ব।
মনে হয় যেন আমিও ছিলাম
সেই মুক্তি সংগ্রামের পর্বে,
তাই যেন মোর বুক ভরে যায় তোমাকে
পাওয়ার গর্বে।
স্বাধীনতা তুমি লাখো শহীদের ঝরা “রক্তজবা” ফুল
তোমারি স্মরণে ফুটে অজস্র গোলাপ ফুল।

আরো পড়ুনঃ  কবির কবিতা কলমে ইশরাক আল ইয়াসিফ

স্বাধীনতা তুমি শোষিত মানুষের কন্দনে,
স্বাধীনতা তুমি অর্জিত মুক্তির সংগ্রামে।
স্বাধীনতা তুমি শেখ মুজিবের নেতৃত্বে
স্বাধীনতা তুমি পুষ্পের ন্যায়;
নির্ভীক দেশ প্রেমিকের কৃতিত্বে।

স্বাধীনতা তোমায় চেয়েছিল লাখো বাঙালির প্রাণ
প্রেম,ভক্তি, রক্ত ঝরায়ে দিয়ে গেছে এর প্রমাণ।
তোমারই আগমনে মনব জাতির মান
শপথের আহ্বানে জেগে উঠে প্রাণ।
স্বাধীনতা তুমি বাংলার পথে-প্রান্তরে মিশে
২৬ শে মার্চ আসবে তুমি মুক্তির হাসি হেসে।

 

স্বাধীনতা আমাদের | নূর মোহাম্মদ

স্বাধীনতা কি করে হলো? আমাদের মা,
খোকা লড়াই করে পেয়েছি আমারা স্বাধীনতা।

মা কারা করছে লড়াই স্বাধীনতার জন্য , জানতে চাই।
সে এক দল ছিল, যারা আমাদের শোষন করত, ছিল না কোনো অধিকার এদেশে আমাদের ।
তাদের হাতে ছিলো বন্দী আমাদের জীবন !

মা স্বাধীনতা হলো কি করে
খোকা তুর মত কত খোকা দিল ঢেলে তাজা রক্ত ,
এমনি করে এিশ লক্ষ হলো, এক বেলা ওঠে বজ্র কন্ঠ স্বাধীনতা আমাদের!
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা হলো বাঙালিদের!

 

স্বাধীনতা | মুহাম্মাদ রাকিবুল ইসলাম

স্বাধীনতা!
তোমার জন্য যারা করেছেন সংগ্রাম,
ঢেলেছেন বুকের তাজা খুন,তবুও—
আমি দেখিনি তোমায় মুক্ত-স্বাধীন!

স্বাধীনতা!
আমি দেখেছি তোমায় পরাধীনতার শিকলে বন্দী,
স্বাধীনতার মানে এখনো আমি বুঝতে পারিনি,
বুঝেছি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও তুমি পরাধীন।

স্বাধীনতা!
তোমাকে কিনতে খরচ হয়েছে হাজার লক্ষ খুন,
হাজারো মায়ের বুক খালি হয়েছে তোমার জন্য
তবে কেন আজ তুমি শিকলবন্দী, নিরব,শব্দহীন?

স্বাধীনতা!
তুমি তো আছো খাঁচায় বন্দী পাখির মতন,
যাদুঘরে সাজানো হাজার বছরের ডায়নোসর,
তোমাকে তো গলা চেপে ধরে আছে সর্বনাশা অস্বাধীন।

স্বাধীনতা!
তুমি তো এখন ক্ষুধার্ত জনতার আর্তনাদ,
তোমার বুকে চাপা পড়ে আছে দুর্ভাষের ডাস্টবিন,
মত্ত জনতা গোলামির শিকল পড়ে কাটাচ্ছে দিন।

স্বাধীনতা!
তোমার জন্য মনোমদ করে বলি,আমরা স্বাধীন,—আসলে
তুমি তো ফেলে আসা মায়ের নবজাতকের কান্না,
স্বাধীনতার পঞ্চাশ পেরোলেও তুমি এখনো পরাধীন।

 

স্বাধীনতার গল্প | ফাতিমা তুস সাদিকা

 

স্বল্প কথায় বলো আমায়
দাও আজ উত্তর
কেমনে প্রাপ্তি হলো মহান
বিজয় একাত্তর?

কত দেশ প্রেমী শহীদ হলেন
পাষাণ রণক্ষেত্রে
নীরবে শত জুলুম সয়েছে
নাগার দিবা রাত্রে !

ঘর ফেলে রেখে বীর বেশে
যায় সে রণাঙ্গনে
ইতিহাসে তাহা সুস্পষ্ট
রঞ্জিত তার খুনে

কাঁদে পিতা মাতা খোকা বুঝি
ফেরে না সে সংশয়ে (!)
বীর পুরুষে যায় সম্মুখে
পথ চলে নির্ভয়ে

বাবা মার ভয় সত্যি যে হয়
ফেরে ছেলের লাশ
সোনার ছেলের আত্মত্যাগেই
প্রফুল্ল চারিপাশ

সুখ বেদনার মিশ্রণে তাই
খুঁজি স্বার্থকতা
শহীদ ভাইয়ের লোহিতে প্রভু
দিলেন স্বাধীনতা

বঙ্গ ক্ষিতি রক্ত সহিত
সবুজ হল লাল
লড়াকু জাতি ছাড়েনি তবুও
দেশ স্বাধীনের হাল

তাদের অবদান অপূরণীয়
পর্বত সম ঋণ
যাদের উসিলায় দেখালেন রব
স্বচ্ছ রবির দিন

স্বাধীনতার ভাবনা সত্য
হয়েছে যাদের ত্যাগে
বাঙালির হৃদে চিরকাল তারা
গহীন অনুরাগে

মোদের স্বাধীনতা | আল-আমিন ইসলাম পলক

আমি একটি কবিতা লিখতে চাই
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা।
আমাদের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস
নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই।

স্বাধীনতার কেটে গেছে অনেকটা বছর
লেখা হয়েছে অনেক কবিতা গল্প গান।
অনেকেই আবার বক্তৃতার মঞ্চে উঠে
গলা ফাটিয়ে করছি তার গুন গান।

জাতী হিসেবে আজ আমরা স্বাধীন
আমরা আজ বিহঙ্গের মত মুক্ত।
উড়ে বেড়াই সূদুর নীল আকাশের
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

ছিলাম আমরা বৈষম্য আর অবেহেলায়
পরাধীনতার কঠিন শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
জুলুম অত্যাচারে নিপীড়নে নিপীড়িত
মনের বাসনা মুখের ভাষা ছিল নিস্তব্ধ।

দিক হারিয়ে বিভ্রান্ত সমগ্র বাঙ্গালী জাতী
হতাশার তিলক ফুটে উঠেছিল কপালে।
কে দেখাবে মুক্তির পথ কে দিবে সাহস
ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছিল ভালে।

স্বাধীনতাকামী মুক্তিপাগল বাঙ্গালী জাতি
হুংকার দিয়ে জেগেছিল একই মন্ত্রে ।
বুকের তাজা রক্তে রাজ পথ রাঙিয়ে
স্বাধীনতা এনেছিল ওরা নিরব র্নিবৃত্তে।

মুজিবের ঐ ৭ই মার্চের অগ্নিঝড়া ভাষনে
সাহস যুগিয়ে ছিল বাঙ্গালী জাতীকে।
জিয়া ছিলেন আর্দশের এক অকূতভয় সৈনিক।
ছিলনা তাহার কোন আত্ম গৈরিক।

শহিদ সোরয়ার্দী ভাসানী আর ওসমান
যারা আত্মত্যাগে ছিলেন মহান।
কবি সাহিত্যিক বাউল শিল্পী বুদ্ধিজীবী
তাদেরও দান আছে অফুরান।

ছাত্রশিক্ষক কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান, মুসলিম ভ্রাতি।
সকলেরই রক্তে সিক্ত আমাদের এই মাটি
কে আপন আর কে ভিন্ন জাতি।

কার কথা রেখে কার কথা বলি
কে বড় আর কে ছোট।
কার তুলনা কার সাথে করি
মর্যাদায় কে কার চেয়ে খাটো।

কে ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক
আর কে করেছিলেন তার পাঠ।
তাহা জানার জাতীর মনে আজ
নেই আর এখন কোন স্বাধ।

স্বাধীনতা পেয়ে আজ জাপান
মালয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুর।
দেশপ্রেম আর উন্নয়নের আদলে
তারা আজ চলে গেছে কতদুর।

আমরা ছুটছি আজ পিছন ফিরে
ন্যায় নীতি আর আর্দশ ভুলে।
হিংসা বিদ্বেষ রাজনীতি আর ধর্মনীতি
সবই ফেলছি আজ গুলিয়ে।

স্বাধীন দেশে বাস করেও আজ
পেয়েছি কি তার কোন স্বাদ।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা আজ
লুণ্ঠিত হচ্ছে মানবতার প্রবাদ।

 

স্বাধীনতা তুমি  | গোলাপ মাহমুদ সৌরভ 

 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 

দোয়েল কোয়েলের গান,
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
যুদ্ধে লাখো শহীদের পান। 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
গোবরের জলে ফোঁটা পদ্ম,
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
কবি-র লেখা মুক্তির গদ্য। 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
বিশাল সমুদ্র জয়ের ঢেউ, 
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া কেউ। 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
মনুষ্যত্ব ও মানবতা বোধ, 
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
লাখো শহীদের স্মৃতিসৌধ। 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
দুঃখিনী মায়ের আহাজারি,
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
রক্তে রঞ্জিত বোনের শাড়ী। 

আরো পড়ুনঃ  স্মৃতি কলমে রেজওয়ানা ইসলাম রিমি

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
রক্ত ললাটের পাষাণ তরী,
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
বীর বাঙালির আগ্নেয়গিরি। 

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, 
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে
বয়ে যাওয়া পাহাড়ের ঝর্ণা।

স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
লাল-সবুজের এক মানচিত্র, 
স্বাধীনতা তুমি আমার কাছে 
বাংলার মাটি যেন পবিত্র।

 

হে স্বাধীনতা | নারগিস খাতুন

হে স্বাধীনতা আসেছ আমাদের
দেশে পনেরো আগস্ট স্বাধীন হয়ে,
হে স্বাধীনতা তুমি আমার দেশে
স্বাধীনতা নিয়ে এসেছো।

দেশ হয়েছে স্বাধীন
মানুষ হয়েছে আধুনিক,
আধুনিক মানুষ হয়ে
বেড়েছে পরিবারের মধ্যে দূরত্ব।

হে স্বাধীনতা তোমাকে জয়ী
করার জন্য বহু জননীর
কোল হয়েছে খালি।
বোন হয়েছে ভাই হারা
আবার সেই বোন হয়েছে ধর্ষিত।
ভাই হারিয়েছে ভাইকে
আবার সে ভাই হয়েছে প্যাঁচার।

শত শত মায়ের চোখে
দুঃস্বপ্ন হানা দিয়ে ওঠে,
জ্বেলে ওঠে সৈন্য রক্ত
ঝুলন্ত উপতাক্কায় ঝুলে সৈন্য শব।

হে স্বাধীনতা এসো তুমি ফিরে
গুলি থেকে বন্দুক বেরিয়ে পড়েছে
বাঁচাও তুমি এই রাষ্ট্রকে হে স্বাধীনতা,
জননীর চোখের জলে বন্য
হয়ে যাওয়া এই রাষ্ট্রকে।

সবুজের আয়নায় মুখ দেখি  | শরীফ সাথী 

 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
দেখি মাঝে মাঝে রক্ত গোলাপের জলছাপ। 
মায়াময় স্মৃতির আঁচড় কাটা 
একাত্তরের বোনা স্বপ্নের আল্পনা।
প্রেক্ষাপট স্বাধীনতাগামী মানুষের মুখরিত স্লোগান।
জয় বাংলা। জয় বাংলার জয়োধ্বনী। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
সদ্য ভেজানো ঘাসে রক্তের লুকোচুরি খেলতে। 
করুণ আর্তনাদে ভারী বাতাসে 
লাল সবুজের পতাকা হাতে 
রক্তময়ী দেহে মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে 
ফিরে আসা বীরত্বের নামী অলংকার। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
সকালে দুপুরে
বিকেল পেরোনো সন্ধ্যায়। 
জোৎস্না মাখানো রাত্রিতে। 
যাত্রী বেশে বসে থাকা আহত যোদ্ধাদের। 
দেখি বোদ্ধাদের মুখে 
হাসি মাখা সুবাতাসের গল্প শোনানো ছবি। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
মুক্ত বিহঙ্গে দোল খাওয়ানো লতাপাতার মাঝে 
পাখি দলের কণ্ঠে স্বাধীনতার গান গায়তে। 
ফড়িং দলের নাচানাচি 
মাতামাতির দৃশ্যে একাকার হই। 
মৌমাছির সুনির্মল মধু বনে দেখি 
মুক্ত মনে ছুটাছুটি আহরণে ব্যস্ততা। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
বর্ণাঢ্য ইতিহাস সাজানো গোছানো মেমোরি। 
দেশ মাতৃকার স্বপ্নে বিভোর 
মুক্ত চেতনার ফসলের রূপ। 
ক্লান্ত ঘামে ভেজা শরীর 
দরদর করে বৃষ্টি ঝরা চোখ। 
মনোরম লোকেশনে দিগন্তে ফোঁটা 
মনোহর পুষ্প। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি 
প্রতিনিয়ত  প্রতিদিন দেখি। 
স্বাদ মেটে না আমার। 
প্রাণের আবেশ মোড়ানো স্পন্দন। 
সুমধুর ঘ্রাণের নব সম্ভাবনার ছায়া। 
নিদারুণ মায়ায় বহমান কল্পনার স্রোতের যাত্রী। 

আমি সবুজের আয়নায় মুখ দেখি 
বারবার দেখি। 

গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন। 
 ঠিকানাঃ কার্পাসডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা।

 

ভিত ১৯৫২ হতে ১৯৭১ | সিরাজুল ইসলাম মোল্লা

১৯৫২ হতে ১৯৭১ স্বীয় সত্ত্বার পরিচয় তোমার আমার,
ভুলে যাও কেন রক্তে কেনা অশ্রু ভেজা অতীত সবার।
ইতিহাসের পাঠ না করেই খুঁজো তুমি কার কী ইতিহাস,
ধ্বজা বহন করতে জানতে হবে মানতে হবে ভূইতিহাস।
রাজনীতির ‘র’ না বুঝে হয়েগেছো আজ রাজনীতিবিদ,
কলুষিত করেছো অর্থনীতি সংস্কৃতি সমাজসহ ধর্মবিদ।

রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই- এটাই বলতে পারবে,
মিথ্যার ধোকাবাজি আর কত দিন, মিথ্যা ধ্বসে পড়বে।
পারবে অসৎ বুলি আওড়াতে, ভুলে ইতিহাসেরই শিক্ষা,
নষ্টমনন এখনও সময় আছে ইতিহাস হতে নাও দীক্ষা।
ইতিহাসের কাছে অভিযোগ অনুযোগ করণে লাভ নেই,
বিবর্তনের সাথে সত্যের পথে অবিরাম চলছে চলবেই।

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি, ক্ষমা করতেই জানে না,
কর্মের ফল ফিরায় দেওয়া ইতিহাসের অন্যতম চেতনা।
ভুলে গেছো কেন ইতিহাসের অপশাসন শোষণের কথা,
আজ ব্যর্থতার ঘাতে পাও কেন তুমি মননে মর্মর ব্যথা?
বাংলায় চলতে হলে বলতে হলে সত্য পথে হাঁটতে হবে,
সত্য’র উপর দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে, সত্য শক্তি ভবে।

তাকাও ইতিহাসপানে, খুঁজো জাতিসত্ত্বার জন্ম পরিচয়,
প্রশ্ন কর যে বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে জাতির ভিত কি হয়?
ভুলে যাও কেন ৫২’র ভাষা আন্দোলন ৬৯’র অভ্যুত্থান,
ভুলে যাও কেন ৬ দফা, নির্বাচন, মুক্তির যুদ্ধে রক্তদান?
ভুলে যাও কেন এ দেশেই সংঘটিত হয়েছে কালো রাত,
ভুলে যাও কেন ৭৫’র ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত?

যুগান্তরে কুলাঙ্গার রোধে জন্মেছে বঙ্গে বীর সূর্যসন্তান,
স্মরণীয় বরণীয় অনুকরণীয় সেই তো ইতিহাসে মহান।
১৭৫৭ অস্তমিত প্রিয় স্বাধীনতা সূর্য, ১৯৭১ এ সূর্যোদয়,
রক্তে কেনা অশ্রু ভেজা বিজয় দিবে প্রতিদান সত্যময়।
মাঠে ময়দানে ভুলে যাও কেন মম স্বাধীনতার মূলনীতি,
যেখানে রোপিত বাংলার বাঙ্গালীর চির শান্তি ও প্রগতি।

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা
স্বাধীনতা দিবসের কবিতা | স্বাধীন বাংলাদেশ 

স্বাধীন বাংলাদেশ | খদীজাতুল কুবরা

 

কালো মেঘে আকাশ ঢাকে,

আঁধার পরিবেশ।
সূর্যি মামা উঁকি দিলো,
রঙ্গিন সারা দেশ।

মানব মনে ফিরে এলো,
স্বাধীনতার আমেজ।
জীবন দিয়ে লড়বে এবার,
করবে স্বাধীন দেশ।

চলো চলো যুদ্ধে চলো,
লাঙ্গল ফেলে লাঠি তুলো,
লড়বো এবার করবো স্বাধাীন,
মোদের প্রিয় স্বদেশ।

এভাবে তার শুরু হলো,
দীর্ঘ সময় ছালিয়ে গেলো,
অবশেষে চিনিয়ে নিলো,
স্বাধীন বাংলাদেশ।

 

২৬ শে মার্চ | বিধান চন্দ্র দেবনাথ

 

মার্চ মাসের কালো রাতে
পাকিস্তানি হায়ানাদের হানা,
বিশ্ববাসীর কাছে এসব কিছু
আছে সবই জানা।

তাদের স্বার্থ হাসিল করতে
বাংলার জনগণের উপর,
নির্বিচারে গুলি চালালো
আরো দিলো ফাপর।

২৬শে মার্চ বাংলার জনগণ
অস্ত্র নিলো হাতে,
যুদ্ধ ঘোষনা করলো
পাকিস্তানি হায়ানাদের সাথে।

ত্রিশ লক্ষ শহিদের বিনিমিয়ে
রক্ষা করল দেশ,
পাকিস্তানি শাসন শোষন
করে দিলো শেষ।

এইভাবেই আমারা পেলাম
বাংলার স্বাধীনতা,
ইতিহাসে লিখা আছে
সেই বিজয় গাঁথা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *