কবি পরিচিতিঃ মনজুর ইসলাম,পটুয়াখালী জেলার কমলাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধরান্দী গ্রামের কৃতি সন্তান।
তিনি ১৯৮৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর,পটুয়াখালী জেলার কমলাপুর ইউনিয়নের,দক্ষিণ ধরান্দী গ্রামের পিতা মোঃ ফোরকান ও মাতা মোসাম্মৎ মোশেদা বেগম এর ঘরে জম্ম গ্রহণ।মনজুর ইসলাম তার চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। কবি কিশোর বয়স থেকেই বিভিন্ন ছড়া, ছন্দ, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস লেখেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যৌথভাবে”স্বাধীনতা”যৌথভাবে “বাংলার উদীয়মান কবি”, কবিতা সঞ্চয়, কাব্য শুধা, শ্রাবণ মেঘের কাব্য মালা,কেউ ভালোবাসেনি প্রকাশিত হয়। শিশু ফুল কবিতার জন্য জন্য তাকে রূপকথা সাহিত্য সংসদ কতৃক কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্য পুরস্কার – ২০২৩ প্রদান করা হয়।
শিশু ফুল
———মনজুর ইসলাম
জননী তোমার ক্ষণিক আবেগ,পাঁচ মিনিটের সুখ;
কেমন মা তুমি?দেখতে দিলেনা এই পৃথিবীর মুখ!
তোমার চাওয়া পাওয়ার মাঝে,আমার কি দোষ ছিল?
তার খেসারত এমনি করে মা?আমায় দিতে-ই হলো?
মা আমার কোন শক্তি ছিলনা, তোমার উদরে আসি,
তবুও কেন মা? তোমার কাছেই,হলাম আমিই দোষী?
এই দুনিয়ায় সন্তান নাকি,অনেক-অনেক দামি?
আজ তবে কেন?এ অবহেলার পাত্র হলাম আমি?
সুখ সাগরে ভেলায় চড়েই,কেন পেটে মোরে নিলে?
আবার যখন ইচ্ছে হলো মা,এ আমায় ফেলে দিলে?
আমার কান্না তোমার কর্ণে কেমনে মাগো পৌঁছেনি?
কান্না শুনেও তোমার চক্ষু আমার দিকে পড়েনি?
মা এত পাষাণ কেমনে হইলা?ভুলতে পারলা মোরে?
মাগো কুকুরেরা ছিঁড়ছে আমার সর্ব শরীর জুড়ে।
আমি বেঁচে গেছি, বেঁচে গেলে তুমি;বাঁচলো তোমার মান!
নয়তো সবাই বলতো আমায়,অবৈধ সন্তান।
সৎ জীবন
———-মনজুর ইসলাম
-শুনবা কি বাবা?তোমায় একটা –
কথা বলতে চাই,
ঢাকার শহরে,কী বা করো বাবা?
কী যে করো কামাই!
দখিন ঘরের কাকারে দেখছি
নিত্য থাকে ঘরে,
চাল,ডাল,তেল;তরকারি,বেল
আনে বস্তা ভরে।
তোমার দেখছি,বেজায় অভাব
শুধুই টানাটানি,
আনন্দ নেই,সদায় কেবল
মলিন মুখখানি।
চাচায় আমার, কী বা করে বাবা?
কেমনে চলে তার?
তুমিও তেমন করো না আব্বু?
যেমনে চলে তার?
আমারে পড়াও,মলিন পোশাক;
জোড়াতালি দেওয়া,
পূরণ হয় না কোন আবদার
আমার যা চাওয়া।
কাকার মেয়ের,বাহারি পোশাক
আলতা দিয়ে পায়,
রোজ সকালেই,ব্যাগটা নিয়েই
স্কুলেতে যায়।
-আম্মু তোমায় বলি আমি শোনো;
অন্তরের কানে
আল্লাহ বলে,হালাল-হারাম,
খাও যে বুঝে শুনে।
হালাল পথেই কষ্ট বেজায়
সুখটা আসে পরে,
পাবে সেই দিন যেই দিন যাবে
অন্ধকার ঘরে।
মো. হাসিবুর রশীদ, নির্বাচিত লেখক কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্য পুরস্কার – ২০২৩