আমাদের মা’দের আত্মত্যাগ
সাদিয়া আক্তার
আমাদের মা’দের আত্মত্যাগ ভুলার মতো না। মা আমাদের জীবনকে চাঁদের মতো আলোকিত করে রাখেন। তিনি অভাবী হলেও আমাদের চাহিদাগুলো পূরণ করেন ; কখনো অভাব বুঝতে দেন না। নিজের সর্বোচ্চ টা দিয়ে শুধু আমাদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেন। আমরা হাদিস শরিফ খুললেও দেখতে পায়, যেখানে মায়ের কথা তিন বার আলোচিত হয়েছে। তাতেই বুঝা যায়, মায়ের গুরুত্ব অত্যাধিক। মায়ের ভালোবাসা যে কোনও তাজা ফুলের চেয়ে সুন্দর। এক কথায়, আমাদের জন্য মা বিধাতার দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার।
আমাদের স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য আমাদের মায়েরা সবকিছু করতে পারেন। কেবল মা’দের অসহনীয় কষ্টের জন্যই আমরা এই পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। আপনি কি জানেন? আমাদের মায়েরা প্রসব বেদনায় কতটা কষ্ট অনুভব করে একটি সন্তানের জন্ম দেন! সে সম্পর্কে জানলে আপনি খুবই অবাক হবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ” একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ সর্বোচ্চ ৪৫ ডেল একক পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করতে পারেন। অন্যদিকে, আমাদের মায়েরা সন্তান জন্মদানের সময় যে পরিমাণ ব্যথার সম্মুখীন হোন -তা ৫৭ ডেল এর কিছু বেশি। যা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষকে প্রদান করা হলে অনায়াসে তার বিশটি হাড় ভেঙ্গে যাবে।” অথচ সেই সন্তান একদিন বড় হয়ে মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসতেও কুন্ঠাবোধ করে না। একবার ভাবুন, তিনি কতটা অসহনীয় কষ্ট অনুভব করে আমাদের জন্ম দেন! তার বিনিময়ে আপনি কি করছেন? নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন।
আপনি জানেন, কান্নার সেরা জায়গা কোনটি? কান্নার সেরা জায়গা হলো মায়ের কোল। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি আমাদের দুশ্চিন্তা আর ভয়কে সুখে পরিণত করে থাকেন। আর আমরা যখন সুখে থাকি তখন বিশ্বের সেরা হাসিটা যেন তাঁদের মুখেই দেখতে পায়। এ যেন এক আত্মতৃপ্তি। সন্তানের সুখ-ই যেন তাঁদের বড় সুখ, বড় আনন্দ।
সর্বোপরি, আমাদের মা’দের আত্মত্যাগ সীমাহীন। তাই মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করুন। তিনি আপনাকে যেভাবে লালন-পালন করেছেন, ঠিক সেভাবেই তাঁর পরিচর্যা করুন। কেননা, একদিন আপনার সবকিছুই থাকবে; কিন্তু থাকবে না আপনার জনম দুঃখিনী মা। তখন চাইলেও আপনি কিছু করতে পারবেন না। শুধু থেকে যাবে বুকভর্তি আফসোস।