নামাজ নিয়ে কবিতা, ইসলামিক সাহিত্যের অংশ। এই কবিতা গুলোর মিলিত হয়ে আর মাধুর্যময় করে এগুলো গেয়ে গজল হিসেবেই প্রকাশ করা হয় বা ইসলামিক সঙ্গীত। আজকে আমরা কিছু ইসলামিক কবিতা পড়বো, যেগুলো নামাজ নিয়ে কবিতা। কবিতাগুলো পড়েলে আপনাকে অবশ্যই ভালো লাগবে।
নামায
সুনয়না সুরভী (ছদ্মনাম)
শিশির ভেজা ঘাসে, ফুলগুলো যখন হাসে।
মিষ্টি হাওয়া ভেদ করে আযানের শব্দ ভাসে।
কিচিরমিচির পাখির কন্ঠে ধ্বনিত হয় ফজরের সুর,
স্নিগ্ধ শীতল হাওয়ায় ভেসে যায় তা বহুদূর।
ফজরের আযান হলে,
নামাজ পড়তে উঠব।
নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে,
ভুলের ক্ষমা চাইব।
যোহরের আযান হলে ভাই,
কাজ রেখে মসজিদে যাই।
মাথার উপর দাঁড়ায় ঝলমলে ওই রবি,
কবিতা রেখে নামাজ পড়তে যায় তখন কবি।
আসরের সময় হলে,
সূর্য পশ্চিমে যায় হেঁটে।
তীব্র রোদের আলোটা যায় তখন কেটে।
দুপুরের রোদটা কোমলমতি হয়,
আসরের আযান মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ধ্বনিত হয়।
সূর্যটা যাবে পশ্চিমে মিলিয়ে,
হাসবে পাখিরা খিলখিলিয়ে।
মেঘলা হলো আকাশ,বৃষ্টি পড়ছে টিপ টিপ।
এমন সময় হাজির হলো এসে মাগরিব।
সূর্য যখন পুরোপুরি মায়ের কোলে গেলো,
রাতের আকাশে চাঁদ মামা এসে হাজির হলো।
চাঁদ তখন জোৎস্না দিচ্ছে জমিন জুড়ে,
এশার আযান ধ্বনিত হলো মিঠা বাতাস ফুঁড়ে।
নামাযেই সব সুখ, নামাযেই শান্তি।
নামায পড়লে কেটে যায় সকল ক্লান্তি।
তাইতো মোরা নামাজ পড়ব,
করব নাকো হেলা।
সময় যখন শুরু হবে,
নামাযের ওই বেলা।
নামাজ
বিধান চন্দ্র দেবনাথ
শুক্রবার দিন সব মুসল্লি
যায় মসজিদ দিকে,
হাতের যত কাজ আছে
দেয় ফেলে রেখে।
আগে নামাজ পরে কাজ
তাইতো ফেলে রাখে,
জুম্মার দিনের জন্য সবাই
অপেক্ষায় চেয়ে থেকে।
যোহরের আযান যখন
মসজিদ মাইকে শুনে,
অযু করে হাটতে থাকে
তাঁরা মসজিদ পানে।
অযুর পর প্রতি কদমে
আছে ভাইরে সওয়াব,
নামাজের মাধ্যমে দূর হবে
সকল পাপ তাপ।
নামাজ হল বেহেস্তের চাবি
মুসলিম উম্মার জন্য,
নামাজ পড় সৃষ্টিকর্তার নামে
জীবন করো ধন্য।
ঠিকানাঃ জামালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।
নামাজ
ফেরদৌসী খানম রীনা
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে
নামাজ হলো দ্বিতীয়,
নামাজ পড়লে পবিত্র হয় মন
নামাজ আল্লাহ্,র প্রিয়।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
মুসলমানদের জন্য অর্পিত,
নামাজ পড়লে হয় আত্ম তৃপ্তি
মন থাকে আনন্দিত।
নামাজ মোমিন মুসলমানকে
সদাই রাখে পবিত্র,
আল্ কুরআনে আছে লেখা তা
ভুল নয় বিন্দু মাত্র।
নামাজ পড়ে দু’ হাত তুলে
করি যদি মোনাজাত,
মহান আল্লাহ বান্দাকে করবেন
মাফ দিবেন নাজাত।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বান্দা
যদি করে প্রার্থনা,
দয়াল আল্লাহ বান্দাকে করবেন
গুণাহ্ থেকে মার্জনা।
ফেরদৌসী খানম রীনা
ঢাকা, বাংলাদেশ।
নামাজ
মুসলেহা সুলতানা মৌসুমী
দুশ্চিন্তার কবলে এলোমেলো ভাবনা
রাত গভীর হয়ে ওঠে ,
আলোর দিশারী হাতে আকাশের প্রতিবিম্ব ,
অস্থির মন হয়ে ওঠে শান্ত ;
জায়নামাজে মনের সকল কথা
পরিতৃপ্তির পরিসমাহারে এক নিবিড় অনুভূতি ,
মনের সকল অভিব্যক্তি আল্লাহ দরবারে।
প্রশান্তির অনুভূতিতে নামাজের অঙ্গীকার
শান্ত করে মন ,
ধীর স্থির পুরো অবয়ব জুড়ে সুখের মায়াজাল
এ যেনো ছুঁয়ে দেখা ভালোলাগা।
আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত চারিদিক
লাব্বাইক আল্লাহ হুম্মা লাব্বাইক
এক নিশ্চিত ভবিষ্যৎ,
দু-হাত তুলে নিজেকে খুঁজে পাবার আত্মবিশ্বাস।
ছল-চাতুরী করিস না মন নামাজে দাঁড়ালে
সৌপর্ণ মাছুম
ছল-চাতুরী করিস না মন নামাজে দাঁড়ালে
‘ফাওয়াই লুল্লিল মুসাল্লীন’ আল কোরআন বলে ।
যত মন্দ কথা আর কাজ
বিরত করিবে নামাজ
‘লা সালাতা কাল্ব-হুজুরী’ নিষ্ফল আমলে ।।
মেরাজ বিনে বারে বারে
সেজদা তুমি দিলে কারে
শিরক হবে পড়লে নামাজ, মেরাজ না হলে ।।
যে নামাজে নাই খেলাপি
সেই নামাজ বেহেশতের চাবি
জান্নাতুল ফেরদৌসে যাবি তার তালা খুলে ।।
সৌপর্ণ মাছুম
শিক্ষক
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ
নিশিন্দারা, উপশহর, বগুড়া
মসজিদেতে যাব আমি
দেলোয়ার হোছাইন
মসজিদেতে যাব আমি
সবার আগে গোসল করে
আল্লাহর কাছে চাইব ক্ষমা
মুছে যেন পাপ তাপ জুমাবারে।
জুমাবারের আলাদা সম্মান
তাতে আছে দু’জাহানের কল্যাণ,
থাকব না কো এ দিনে
মসজিদ থেকে দূরে ।
দু’দিনের এই দুনিয়া
সব কিছু মিছে মায়া
নামাজ পড়ে মরণ হলে
শান্তি পাব কবরে ।
আল্লাহ ভীরু
ছাবিকুন নাহার
এই যে বাবু ,,,
ভয়ে যে কাবু,,
যাচ্ছ কোথা?
পড়তে মাদ্রাসা।
ভীরু যে আঁখি?
আল্লাহরই ,,
কেন গো খোকা?
তিনি ছাড়া নাই যে ইলাহ।
বিচার দিনের মালিক তিনি
তিনি আমার স্রষ্টা জানি।
তার নেয়ামতে বেঁচে আছি
তাকে কী মোরা ভুলতে পারি।
তুমি অনেক ছোট বুঝি
তবুও দেখি জ্ঞানে ভারী।
পাপের পথে আর যাবো না
প্রভুর নামে দিচ্ছি কথা।