মনুষ্যত্ব
শিশির খান
গভীর যাহার ক্ষত
দুঃখ তাহার ততো
কষ্ট যাহার অধিক
নিয়তি করে তাহারে নির্ভীক
পাইলে পিঞ্জিরায় আঘাত
ঘটিয়া যায় সুখের ব্যাঘাত।
দুই দিনের এই দুনিয়া
লোকের কটু কথা শুনিয়া।
দুর্বল হয়ে করে যে জন ভুল,
আজ বুঝবে না বুঝবে সেদিন যেদিন দিতে হবে ভুলের মাশুল।
রঙের এই দুনিয়ায়, কেও জাগে কেও বা ঘুমায়।
আবার কেও বা ভালো থাকার মুখোসে রয়েছে কুমায়।
আজ মরিলে কাল দুইদিন,
কেও দিয়েছে স্বাধীনতা কেও করেছে পরাধীন।
ইহকাল চিন্তায় মনুষ্য হরন করে মনুষ্যের স্বাধীনতা।
নাই কারো খোদার ভয় নাই গো কারো মানবতা।
সবল হইয়া করিয়াছো দুর্বল কে আঘাত।
শান্তি হরন করিয়া করিয়াছো সুখের ব্যাঘাত।
দুর্বল সহিয়াছে হাজারো আঘাত।
সাধ্য নেই যে করবে অন্যায়ের প্রতিবাদ।
চাইলে খোদা দুর্বল হইবে যোদ্ধা,
হইবে হরন সবলের প্রতি শ্রদ্ধা।
যেদিন উড়িয়া যাইবে প্রান পাখি, বন্ধ হইবে গো আখি।
সেদিন সকল আলো আধার হইবে গো কেমনে দিবে খোদারে ফাকি।
সৃষ্টির শ্রেষ্ট হইয়া হইয়ো না বেহুশ
মনুষ্য মনুষ্যরে বানাইয়ো না ফানুশ।
জলে যে জন বুঝে সে জন পুড়ে যাওয়া কি বেদনা।
মনুষ্য হয়ে মনুষ্যের করিওনা ক্ষতি যদি পারো করিও কল্যানের সাধনা।
সবল দুর্বল উভয়ই মানুষ উভয়ই সৃষ্টি খোদার।
সবার উপর মানুষ সত্য ইহা বোধগম্য হোক সবার।
সবল হইয়া দুর্বল কে করিও না ক্ষতবিক্ষত
সবল হয়ে করিলে দুর্বলের কল্যান অটুট থাকিবে সবলের মনুষত্ব
থাকিলে মনুষ্যের মনুষ্যত্ব
পাইবে গো মরিলে অমরত্ব।
হাজার বছর বাচিয়া হইবো কি,
মনুষ্যত্বহীন মনুষ্য দুনিয়াতে পান্তে ভাতে ঘি।
বাচিবে যতো সময়, করিবে না দুর্বলের কল্যানে ভয়,
মনুষ্যত্ব বেচে থাকুক সকল মনুষ্যে হোক সর্বদা মনুষ্যত্বের জয়।