বেদনার ফুল

বেদনার ফুল

বেদনার ফুল
আহমাদুল্লাহ আশরাফ

আমি ভাঙছি । বেদনার আঘাতে। আমি ভাঙছি।বিরহ-ব্যথাতে। হচ্ছি চুরমার। একেবারে ধুলোর মতো। আমাকে তুমি ভাঙতে দাও। বিলীন হতে দাও পবিত্র মৃত্তিকার মাঝে। মায়া দেখিও না।ঢাকতে এসো না মায়ার কোমল চাদরে। আমি একা।একাই থাকতে দাও আমাকে। আমি শিখেছি ভাঙতে,একাকী থাকতে।কারণ;আমার জন্ম হয়েছে একা।আবার যেতেও হবে একা।

আমার কষ্টের শেষ নেই।নেই যাতনারও।আকাশসম কষ্ট নিয়েই আমাকে জীবন যাপন করতে হয়।ভাবতে হয় ভবিষ্যতজীবনের কথা। সইতে হয় যাপিত জীবনের নানান পরিস্থিতি। হাসি ফুটিয়ে চলতে হয় লোকালয়ে। কে কখন মন্তব্যের টুকরো পাথর গায়ে ছুঁড়ে মারে কে জানে।তাই সতর্কতার সাথেই সুখী মানুষের ভাব নিয়ে চলি।

মানুষের রয়েছে নানান প্রকার।সাথে দৃষ্টিভঙ্গিরও। একই বিষয় দেখে, একেকরকম ভাবনা ও প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় একেকজনে।এটা মানুষের দোষ নয়।নয় স্রষ্টারও।নতোবা হারাতো মানুষই মানুষের মর্যাদা।সবাই সমান থাকতো।থাকতো ধনী গরিবের এই ভেদাভেদ।ফলে আমাকেও দেখে একেকজন একেকরকম চশমা দিয়ে। কেউ রঙিন চশমা দিয়ে দেখে বাহ্যিক দৃশ্যটাই।মনে করে আমার মতো সুখী মানুষ বুজি নেই আর।আবার কেউ গভীর দৃষ্টিতে দেখে। বুঝতে চেষ্টা করে সুপ্ত বেদনার কথা।শুনাতে চায় স্বান্তনার বাণী।

এসকল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই চলছে জীবনযাত্রা। কালক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে জীবনের আয়ু।দূর থেকে শোনা যাচ্ছে ফেরেশতার মৃত্যুর সাইরেন। এই বুজি পারি জমাতে হবে আমায় না ফেরার দেশে।যেখানে আমার কী হবে,জানা নেই।বাতি নেই।সাথীনেই।
পোকামাকড়ের ঘর।আস্তবাঁশের ছাদ।নিচে মাটির বিছানা।মরা দেহের করুণ পরিণতি তখন চোখ থাকতেও দেখার থাকবে না জ্যোতি। এভাবেই একটা সময় হারিয়ে যাবো আমি।

৩’জুলাই’২৪| বুধবার

আরো পড়ুনঃ  রামাদান অনুভূতি

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *