সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প গল্পের নাম “রেদোয়ান রাদ্য’র টাইম ট্রাভেল”

রেদোয়ান- রাদ্য’র টাইম ট্রাভেল

 মোস্তফা আমির ফয়সাল

 

প্রচুর বই পড়তে পছন্দ করে রেদোয়ান। সকাল-বিকাল,রাত-বিরাতে উঠতে বসতে বই পড়ে সে। সায়েন্স ফিকশান তার ভীষণ প্রিয়।

৯ই জুন,সালটা ২০৯৯। জগতের হাওয়া- বাতাস যেখানে বিষাক্ত থেকে বিষাক্ততর হয়ে উঠছে, শ্বাস- প্রশ্বাস নেওয়া ভারী দুঃসহ। সেখানে একটা ছেলে তার কল্পনাকে যেন নিজ হাতে সাজিয়ে তৈরি করে ফেলেছে বিস্ময়কর আবিষ্কার। বিজ্ঞানের ইতিহাসে কেউ এর আগে তা তৈরি করে দেখাতে পারে নি। একটা কৃষ্ণগহ্বর- আলো যেখান হতে আরো কখনো ফিরে আসে না।

 

স্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসে রেদোয়ান। হঠাৎই চোখ খুলে সে দেখে চারিদিকে শুধুই অন্ধকার৷ তার মনে হয় এই যেন সে ব্ল্যাকহোলে প্রবেশ করেছে। অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। ছোট রাদ্য’র যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সে হাতের ঘড়ি তে দেখতে পায় ঘড়ির কাটায় দশটা বাজে। ক্যালেন্ডারে ঝুলছে ২০২২ এর জানুয়ারি মাস। একটু পরেই সে তার পাশে আবিষ্কার করে কালো এক বলয় তার সামনে দৃশ্যমান.. বলয় থেকে একটু দূরে আরো কতগুলো সংখ্যা লেখা.. সে আরো খেয়াল করে দেখতে পায়, ঘড়ির কাটাগুলো যেন উল্টোদিকে ঘুরছে.. কেমন একটা ঘোরের মধ্যে যেন আছে সে…হঠাৎ কে যেন তার পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে বলয়ের ভেতর তাকে ফেলে দেয়। ছোট্ট রেদোয়ান আর ফিরে আসতে পারে না।

 

(আবিষ্কারের দুইদিন পর)
১১ই জুন , ২০৯৯।
ডা. রাদ্য রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় সামনে একটা মৃতদেহ দেখতে পায়। গাড়ি থেকে নেমে কাছে গিয়ে সে আবিষ্কার করেন লাশের মুখাবয়াব বিকৃত..পোস্টমর্টেম এর জন্য নিয়ে যায় সে তার কেবিনে। একে একে সব টেস্ট করার পর সে ডি.এন.এ টেস্ট এর সময় যেন থমকে যায়। আরে এ ডি.এন.এ. তো তার নিজের সাথেই ম্যাচ করছে। গাঁ শিউরে উঠে তার।

আরো পড়ুনঃ  পরী বন্ধু কলমে নূরনাহার নিপা

 

৮৭ বছর আগে জন্ম নেওয়া ডা.রাদ্য তার লাশ ৮৭ বছর পরে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারে না।

 

আরো পড়ুনঃ- দৈনিক চিরকুটে সাহিত্য 

1 thought on “সায়েন্স ফিকশন ছোটগল্প গল্পের নাম “রেদোয়ান রাদ্য’র টাইম ট্রাভেল””

  1. ভালো লিখেছ এগিয়ে যাও দোয়া ও শুভকামনা রইল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *