নিকষিত
রবিউল আলম
পুরনো মর্মজং ছিল যত রং সবি হলো ছিন্ন;
সমাপিত ঢং আর সংশয়ের নিষেবণ ক্রমে ক্রমে বিপন্ন,
কল্প্যকালে আঁখিজলে যতনে মর্ম চয়নে মোহিত,
রংয়ের ঘরে জং সংশয়ের ঢং সবি ছিল নিকষিত।
অতীত আনে জল মন পবনে পীড়নের সর্বহারা ঢল;
অমৃত পানে তৃষ্ণার্থ কঙ্কাল চারিদিকে অস্ফুট নয়না জল,
বিষাক্ত পরিবাদে দগ্ধ মননে উত্তপ্ত কানন জর্জরিত;
অব্যক্ত সন্তাপ জলের টলে ঢল সবি ছিল নিকষিত।
বিশ্বাসের পবনে চিত্তাকর্ষক যতনে বুনেছিলো বীজ যাহারা;
তন্দ্রাহীন সন্ধ্যার মিছিলে গজিয়েছিল বিষন্নতার চারা,
অঙ্গারতলে তপ্ত শিখা যৌগিক অনুবৃত্তি যত,
চিত্তাকর্ষক বীজে বিষকণ্ঠা চক্রান্তে ক্ষত-বিক্ষত।
স্বার্থের টানে মায়া কাঁদে রক্তের টানে রক্ত ;
ভেস্তে গেল মায়া ঝলসে গেল রক্ত স্বার্থ করিলো বিযুক্ত,
ধ্যান ছিল না মনে কি হবে না চারে,
অনাহত আশায় বিবেক আজ ধ্বংসের প্রান্তরে।
মুমূর্ষু ক্ষণে উচ্চহাস্যে ধূসর শৃঙ্খলে জনে জনে হন্য;
স্বার্থের টানে রক্তধারা মোহান্ধ বিবেক আজ সঙ্কটাপন্ন,
কল্প্যকালে আঁখিজলে যতনে মর্ম চয়নে মোহিত;
অস্পষ্ট ক্ষুধা ক্লান্ত হৃৎস্পন্দন চিন্তান্বিত করে অবিরত।
ধরনীর লেলিহজিহ্বা অবিশ্বাসের নিষ্ঠুর গর্জন;
রক্তলিপ্ত উল্লাসে পর হলো পরিবার পরিজন,
অবিশ্বাসের গরলে ধুঁকে ধুঁকে মরেছে সে জন;
স্বার্থের টানে রক্তধারা মোহান্ধ বিবেকে সঙ্কটাপন্ন যে জন।
বিবেকের দুর্বার চাপে আবেগের ক্রমশ ক্ষয়;
ক্ষণভঙ্গুর পুঁরজনে অস্থির দুপুরে সর্বসাকুল্যের জয়,
অসমীচীন লগ্নে লোচনজলে চিত্ত চয়নে মোহিত;
যুগে যুগে জলতরঙ্গে বিকেক আজ নিকষিত।