কালেমা তাইয়্যেবা বইয়ের রিভিউ, লেখক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম

কালেমা তাইয়্যেবা বইয়ের রিভিউ

কালেমা তাইয়্যেবা ইসলামের মূল ঘোষণা।এই কালেমা না পড়ে কোনো মানুষই ইসলামের সীমার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। ইসলামের মূল ভিত্তি কালেমা তাইয়্যেবা। এ জন্যই কোনো কাফের বা মুশরিক ব্যক্তি যখন ইসলাম কবুল করতে চায় তখন তাকে এই কালেমা পড়েই মুসলিম হতে হয়। ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এই কালেমা বারবার পড়তে হয়। কুরআনুল কারিমের পাতার পাতায় এই কালেমার কথা নানাভাবে লেখা আছে। ইসলামের প্রতিটা স্তরেই কালেমা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সর্বাধিক। কালেমার প্রথম অংশকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-ইতিবাচক ও নেতিবাচক। যারা কালেমার এই ইতিবাচক দিকটি অন্তরে ধারণ করবে তারাই আল্লাহকে স্বীকার করবে। আর যাহারা এর নেতিবাচক দিক ধারণ করবে তাহারা আল্লাহকে চিনবে না, আল্লাহকে অস্বীকার করবে। কালেমার দ্বিতীয় অংশেও দুটি দিক রয়েছে। যারা কালেমা উচ্চারণ করলেও অন্তরে তার নেতিবাচক দিক ধারণ করে তারা কখনোই প্রকৃত মুসলমান না। কালেমা হলো ইসলামের মূল বুনিয়াদ। কালেমার অর্থ না বুঝে পড়লে যেমন আমরা খাঁটি মুসলমানদের ন্যায় কাজ করতে পারি না তেমনি আল্লাহর রহমতও লাভ করতে পারবো না।

কালেমা তাইয়্যেবা বইয়ের রিভিউ

 

আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কারো দাসত্ব, বন্দেগী করা যেমন শিরক,আল্লাহর নবীকে না মানা যেমন শিরক, তেমনি আল্লাহর হালাল-হারাম বাদ দিয়ে নিজেরাই হালাল-হারামের আইন করে নেওয়াও সমান শিরক।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ)বলেছেন-যে ব্যক্তি”লা ইলাহা- ইল্লাল্লাহ “অর্থ বুঝে এবং অন্তরে তার ইতিবাচক অর্থ ধারণ করে পাঠ করবে সে চিরদিনই সকল আযাব এবং বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাবে।

তাই যত বেশি সম্ভব আমাদের জবানে এই কালেমা বারবার পাঠ করে এবং এর অর্থ জেনে-বুঝে অন্তরে ধারণ করে সঠিকভাবে তা মেনে কলবকে পাক-সাফ রাখতে হবে।

 

নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম চিরকুটে সাহিত্যINLISO
আরো পড়ুনঃ  ২৩ ই এপ্রিল, বই দিবসের কিছু কথা ও কবিতা ২০২৪

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *