পুরুষের আত্মত্যাগ কলমে কবি ইমরান হোসেন

 পুরুষের আত্নত্যাগ
ইমরান হোসেন

সকাল যায়,সন্ধ্যা যায়
যাচ্ছে সময় অবলীলায়,
কে বা রাখে কার খোঁজ
দিবারাত্রি কর্মতেই ব্যস্ত পুরুষ।

কারো আবার বিকেল বেলার
অফিসের সময়টুকু,
কেউ বা আবার দিবারাত্রি
ছুটছে কাজের পিছু।

রাতের ঘুমও ঘুমিয়ে যায়
ব্যস্ততারই ভিড়ে,
তাও একটু ঘুমিয়ে নেয়
ঘণ্টা খানেক পেলে।

সূর্যোদয়ের আগেই যেন
কাজের খোঁজে ছুটা,
আবার কখন আসবে বাড়ি
হয়না জানা ক্ষণটা।

এইতো আমরা কৃষক -শ্রমিক
আমরা পুরুষ জাতি,
বাইরে ফুটায় হাসির জোয়ার
ভিতরটাতে কষ্ট ভর্তী।

কারো আবার অফিস টাইমের
সকাল বিকাল সময়,
দৈহিক ঘামের পরিমাণটা
বড্ড কমই হয়!

মাথায় কত বোঝা তাহার
উঠতে বসতে বসের অর্ডার,
হউকনা যতই অল্প সময়
তারেই সে যে পুরুষ কয়।

বাড়ি ফিরে বউয়ের কথা
নাই মরিচ লবণ -আদা,
আবার ধরতে হয় বাজার গলির
বুঝেনা কেউ ক্লান্ত শরীর।

নাই যে ছেলের চকলেট,
মেয়ের খাতা,
দাওগো ফিস,
কাল পরীক্ষা।

এভাবেই জীবন চলে
একটা পুরুষ মানব,
আমৃত্যু খেটে যায়
নয়তো সে আর রোবট।

বেলাশেষে একটা পুরুষ
হয় যখনই ক্লান্তিকর,
কাজের চাপে নেতিয়ে পরে
শুনতে হয়-
আল্লাহ আমায় ক্যান দিল
তোমার মত বর!

কদিন পরে অসুখেতে-
ডাক্তারিতে টান,
পুরুষ লোকের এ কিছুনা
ধরছ সবই ভান।

যাদের মুখে সোনার চামচ
জানেনা তারাই কেবল,
পুুরুষের বাহিরে থাকে হাসি
ভিতরে থাকে জ্বলে-পুড়া মনোবল।

নারী তুমি যারে ধৈর্য্য বলি
পুরুষও কম নয়,
তোমার হৃদয়ে হয় গো যদি
বিবেক চেতনার উদয়।

নারীতেই মোরা সীমিত রাখি
উন্নয়নের বেগ,
আড়ালেই সে যে থেকে যায়
সব পুরুষের আত্মত্যাগ।

আরো পড়ুনঃ  আহবান নিয়ে কবিতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *