সোহায়েব আল রাফি বাংলা সাহিত্যের সমকালীন একজন প্রতীভাবান তরুণ লেখক। তিনি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ও নাটক লিখে চলেছেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
সোহায়েব আল রাফি ৩ অক্টোবর ২০০৬ সালে টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন।
বর্তমানে তিনি ” রংপুর সরকারি কলেজ, রংপুর”-এ একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত । পৈতৃক নিবাস নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামে। তাঁর পিতা মুহা.শহীদুল ইসলাম, পেশায় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এবং মা ইসরাত জাহান খান, তিনি গৃহিণী। তাঁর মতে সময়ের সাথে মানুষ বৃদ্ধ হয়,এক সময় শরীরের মৃত্যু ঘটে কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বইয়ের পাতা হলদেটে হলেও বইয়ের কখনো মৃত্যু হয় না,বই থেকে যায় চিরজীবন। ঠিক তেমনই তিনিও তাঁর সুললিত লেখা দ্বারা বইয়ের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান মানুষের মনে।
লেখকের ছবি
সাহিত্য সূচনা
অষ্টম শ্রেণি থেকে গল্প-কবিতার বই পড়েন তবে লেখালেখি তাঁর শুরু হয় দশম শ্রেণি থেকে। তিনি কবিতা লিখতে বেশি ভালোবাসেন। তাঁর বাড়ির পাশ দিয় বয়ে গেছে তিস্তা নদী। তিস্তাকে নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা। লেখালেখির শুরুতে গল্প দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তী সময় থেকে কবিতাই বেশি লিখে থাকেন। তাঁর লেখা প্রথম গল্পটি প্রকাশ হয় লেখক তুর্জয় শাকিল সম্পাদিত ” অনুর অন্তরালে ” গ্রন্থে। লেখালেখি শুরুর বেশ দীর্ঘদিন পর থেকে লিখতে থাকেন বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ ও ম্যাগাজিনে। তিনি রংপুরের দৈনিক দাবানল পত্রিকা ও জনপ্রিয় পাতা প্রকাশের অনলাইন ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন পত্রিকা-ম্যাগাজিনে লিখে থাকেন। এছাড়াও তাঁর লেখা স্থান পায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ” দীপ্ত জয়োল্লাস “- কাব্যগ্রন্থে। অল্প সময়ের এই লেখালেখির যাত্রায় তিনি রচনা করেছেন প্রায় দুই শতাধিক কবিতা। তাঁর প্রিয় লেখক ” হুমায়ুন আহমেদ ” ও প্রিয় কবি “কাজী নজরুল ইসলাম”।
আরো পড়ুনঃ জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদের পরিচিতি ও জীবনী |
পড়াশোনা ও লেখালেখির পাশাপাশি তিনি যুক্ত আছেন সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে। তিনি বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে ও গান গাইতে ভালোবাসেন। তিনি “বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ( বিএনসিসি ) – এর সেনা শাখার একজন ক্যাডেট। এছাড়াও রংপুর বিভাগীয় লেখক পরিষদে “সহ: ক্রীড়া সম্পাদক” হিসেবে যুক্ত আছেন।
তাঁর সম্পাদিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” মুজিব স্মরণে ” এবং তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়।
লেখকের কবিতা
কল্পনা
সোহায়েব আল রাফি
কল্পনায় মানুষ কতদূর যেতে পারে?
কল্পনা সীমাহীন শহরের মতো।
চাইলেই যেমন চাঁদ-কে স্পর্শ করা যায়-
ঠিক তেমনই কল্পনায় আসা কোন এক মায়াবতী-কে ঘিরে বাস্তবে সৃষ্টি হয় অন্তর অসীমের ভাবনা।
তাকে ঘিরেই বেড়ে ওঠে কবিতার লাইন!
আমিই বা কতদূর যেতে পেরেছি কল্পনায়?
কিংবা,
চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মিলবে দুটি মন এই আশায়!
সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে প্রেম কল্পনাতে ভাসায়।
কি যে আশঙ্কায়?
মায়া বেড়ে যায় দুটি প্রাণের তীরে!
প্রেম হয়ে ওঠে শাশ্বত সত্য সেই মানবীকে ঘিরে।
যার চোখে চেয়ে পিছু চাইবার বাকি না থাকে-
যার মায়া ছিড়ে দূরে পালানোর কথা না থাকে!
সেই চোখেতে আবার চাওয়ার সময় আসে যে ঘনিয়ে-
অদেখা সময়ের ঋণ গুলো সব চুকিয়ে!
সেই মায়াবী চোখে চেয়ে নিজেকে মায়ায় লুকিয়ে!
অনন্ত কালের প্রেম কাব্য রচিব তাকে নিয়ে।
এনার লেখা মাঝে মাঝে ফেসবুকে পড়ি। ভালো লেখেন উনি।
ছেলেটা অনেক ট্যালেন্টেড। শুভকামনা….
আমি তেমন কবিতা ও গল্প পছন্দ করি না, তবে তোমার লেখা কবিতা, গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগে।
দোয়া রইলো আরও এগিয়ে যাও।