কোটা আন্দোলন নিয়ে স্লোগান
০১। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
রক্ত যখন দিয়েছি, আরো দিবো।
তবু এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব।
০২। আমি স্বৈরাচার,
মোর বিরূদ্ধে যাবে যারা
তারা রাজাকার।
~ মুন্সি আবুল হাসান
০৩। সোনার বাংলা সোনার দেশ,
অধিকার চাইলে তুমি শেষ।
চাইতে গেলাম অধিকার
হয়ে গেলাম রাজাকার।
যদি করো প্রতিবাদ
করবে তোমায় কুপোকাত।
দেশের নেতা স্বৈরাচার
কে করবে তার বিচার?
কোথায় আমার স্বাধীনতা
মুখ খুললেই বিরোধিতা!
আর কতকাল থাকবো চুপ
খালি হচ্ছে মায়ের বুক।
~ রাণী বিলকিস
০৪। সত্যি কথা বলছি বলেই
আমরা হলাম রাজাকার।
কুকুরগুলো লেলিয়ে দেয়
ইচ্ছে মতো কামরমার।
~ সাইদুল ইসলাম সাইদ
০৫। বাবার কোটায় বসেছো তুমি
ক্ষমতার আসনে,
রক্তচোষা ডাইনি তুমি
বিশ্ববাসী জানে।
গণতন্ত্র কে হত্যা করেছো
একনায়কতন্ত্র দিয়ে,
দলের ছেলেরা হয়েছে সন্ত্রাস
অবৈধ ক্ষমতা পেয়ে।
~ এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী
০৬। হে মহাদানবী
আর কতো কাল করবে শোষণ?
ক্ষমতার আসনে বসে
সময় এসেছে এবার বিদায় হও
দেশটা তোমার বাপের নয়
যত ঝড়াবে রক্ত
আমরা হবো আরও শক্ত
সংখ্যায় আমরা নয়তো ক্ষীণ
সন্ত্রাস লীগ কে রুখে দিন
~ ফাতেমা আক্তার মীম
০৭। আমার সোনার বাংলাদেশ
তুমি কি আমি কি
রাজাকার রাজাকার
এমন কোটা পৃথিবীর আর কোথা ও নেই।
~ মোঃ রেজাউল ইসলাম
০৮। শিক্ষার আলো জ্বলুক সবার
ভেঙে দে তোরা প্রাচীর দুয়ার,
সবুজ মাটিতে রক্ত গ্ৰাসী
ওত পাতা হায়নার।
~ কলি চক্রবর্তী
০৯। আমার দেশের রাষ্ট্রনায়ক
কেমন ব্যবহার
অধিকার চাইতে গেলেই
বলে রাজাকার ।
বাবার পরে ছেলে আসে
ছেলের পরে নাতি
মেধার মূল্য কেমনে হবে
কোটাবন্দী জাতি।
~ মিলাদ হোসাইন
১০। আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার
কে বলেছে কে বলেছে সরকার সরকার
চলছে দেশে অত্যাচার অত্যাচার
চলবে না আর নির্বিচার নির্বিচার
~ আহমাদুল্লাহ আশরাফ
১১। কোটা নিয়ে আন্দোলন করায়
ছাত্ররা হলো রাজাকার,
ঘুষ দিলে আজ চাকরি পাবে
মেধার কী দরকার।
~ মোঃ এখলাছুর রহমান
১২। স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম মাগো
ফিরলাম লাশ হয়ে
তোমার স্বপ্ন হলো না পূরণ
হেরে যাইনি মা তাই বলে।
আমি হয়তো গেছি চলে
এখনো আছে হাজার সাঈদ
তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে
মাগো দেখো চোখ ভরে।
তাদের মায়ের মুখে হাসি ফুটবে
মাগো তুমি নাহয় একটু কাঁদো
তোমার ছেলের মৃত্যুতে ও
হাসি ফুটুক সবার ঘরে।
(সাঈদের মনের কথা)
~ খাদিজা ইয়াসমিন আঁখি
১৩। কোটা নয়রে পাগলা দেশ সংস্কারের কাজে হাত দে
নইলে তোর আন্দোলন বৃথা যাবে, বাদ দে
১৮ এর ছলকলা দেখতে পাবি সব বাকলা
~ আল আমিন মিঞা
১৪। দাদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা
আমি তাহার নাতি,
চৌদ্দগুষ্টি পারি দিলো
জ্বলবে কোটার পাতি।
ভাতা ওরা পাচ্ছে সবাই
তামার পয়সা সচল,
পড়ালেখা করে এখন
শিক্ষিতরাই অচল।
~ আব্দুস সাত্তার সুমন
১৫। আমরা সৎ সাহসী রাজাকার,
তাই মাথায় পরি লাল সবুজের বেল্ট
ওরা নাকি দেশ প্রেমী মির্জাফরের সন্ধি-
তাই মাথায় হেলমেট।
আমরা করি বৈষম্যের বিরোধিতা,
ওরা বৈষম্যকে লালন করে হয়ে যায় দেশ মাতা।
উপাধি নাকি দেশ রত্ন- কি তাঁর পরিচয়,
বৈষম্যের জাল বানিয়ে,মেধার করে ক্ষয়।
এই তাঁদের পরিচয়।
– ইশ রা ক
১৬। চাই মোরা অধিকার
যারা বলে রাজাকার
উচ্চকণ্ঠে বলো সবে
তারা হলো স্বৈরাচার।
~ মুন্সি আবুল হাসান
১৭। কোটা লোটা লাঠি সোটা
অথর্ব এক জাতি গোটা
দুর্বল নয় যুদ্ধের খুটা
মাথা তুলি বিছায় দুটা।
~ সুফিয়া ডেইজি
১৮। যে বেদনা ভুলে গেছে মা’য়ে
মুছে গেছে তাঁর দাগ,
বুক-বুলেট একাকার করে
প্রকম্পিত শাহবাগ।
~ MD Golam Mostafa
১৯। আমি দেখিনি ভাষা আন্দোলন
আমি দেখিনি বায়ান্ন
আমি দেখেছি পনের জুলাই
কোটা আন্দোলন অনন্য
~ Sheikh Humayun Ahmed
কোটা আন্দোলন নিয়ে স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
২০। অন্যায় তোদের যাবে ভেসে
ন্যায়ের স্রোত ধারায়
কুলাংগারেরা শুনে রাখ তবে
ঠাই হবে না বাংলায়।
শহীদের খুন রাঙ্গা এ জামিন
বৃথা যাবে না কভু
বিজয় কেতন উড়বেই ন্যায়ের
সহায় আছেন প্রভু।
~ আলমগীর হোসাইন
২১। থাকে যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা
পাবে চাকরি পাবে ভাতা
যতই হও দুর্নীতিবাজ
তুমি হবে দেশের মাথা।
রাজাকারের রক্ত দিয়ে
স্বাধীন হলো রাজপথ ধুয়ে
সে রাজপথ রঞ্জিত আজ
আগামী প্রজন্মদের রক্তে
অধিকার চাইতে গিয়ে
বানিয়ে দিলো রাজাকার
এত রক্তের বিনিময়ে
আদৌ বাতিল হবে কি কোটা সংস্কার?
~ কেয়া দাশ শ্রুতি
২২। চাইতে যখন গেলাম আমি
মেধার অধিকার ,
টুটি চেপে বলল রাজা
তুই-ই রা জা কা র।
অবাক চোখে তাকিয়ে ভাবি
এ কেমন দেশ আমার ,
পাওনা দাবি চাইলে শুনি
আমিই নাকি রাজাকার।
– সাকিব হাসান
২৩। মেধা দিয়ে গড়বো দেশ
এটা মোদের অঙ্গিকার,
মেধার দাবি করতে গেলে
সরকার বলে রাজাকার।
~ উম্মি হুরায়েরা বিলু
২৪। পাকিস্তান তো পারেনি
স্বৈরাচারও পারবে না,
বাংলা মায়ের দামাল ছেলে
কোনো ভাবেই দমবে না।
~ মো. মোছাদ্দেকুর রহমান
২৫। মানুষ হয়ে লাভ কি বলো?
বিবেক যদি অন্ধ হয়।
মনুষ্যত্ব না থাকিলে
তারে কি আর মানুষ কয়।
~ আল-মামুন রেজা
২৬। পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জ/ঙ্গী
যদি চাও অধিকার, হয়ে যাবে রাজাকার
তিনি কে, তারা কে?
স্বৈরাচার – স্বৈরাচার।
~ আল-মামুন রেজা
২৭। দাবী মোদের একটাই
কোটা প্রথার বাতিল চাই
সৈরাচারী নিপাত যাক।
ছাত্র সমাজ মুক্তি পাক।
~ আল-মামুন রেজা
২৮। তুমি কে আমি কে?
একটাই তো প্রশ্ন বটে
জাতি সংস্কারে নেমেছে
আজ রাজপথ ব্যারিকেড দিয়ে,
তাদের কে আবার হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত
রক্তাক্ত দেহে,
অধিকার আদায়ে।
আজ কোথায় নেমেছে জাতি,
ছাএলীগ হয়েও
আটকে দেয় ছাএের মিছিলে কার্জন হলের গলি পথে।
~ ইশতিয়াক আহাম্মেদ
২৯। ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে,
একত্রিত হয় ছাত্র,
কোটা নীতির বিরুদ্ধে,
গড়ে তোলে ঐক্যবদ্ধ রণক্ষেত্র।
~ ফারুক মন্ডল
৩০। আমাকে ছেড়ে দে তুই—
কাফনের কাপড় বেঁধে
তোর গায়েরি খুশবু মেখে—
জিহাদের ময়দানে!
আমাকে ছেড়ে দে তুই
মশাল হাতে—
ন্যায়ের কাফেলায় শহীদ হতে!
ইনকিলাব ছাড়া মোদের দ্রোহ অর্থহীন—
আজাদী ছাড়া এই ক্ষোভ লক্ষ্যহীন লক্ষ্যহীন!
আমরা চেয়েছি অধিকার
বানাইছে মোদের রাজাকার
আমরা নই রাজাকার— আমরা চাই অধিকার!
—তাহেরা আক্তার
৩১। যেখানে প্রাপ্যতায় হতে হয় রাজাকার,
সেখানে ৫২ আর ২৪ তফাদ কোথায়!
সাদা কালোর রং মিশে শুনেছি দেখেছি কত
কলো হাত স্বাধিনতার ৫৩ এ” _____
তাহলে স্বাধীনতা কোথায় ঐ লাল সবুজ পতাকায়।
~ কবি আইদ হাসান মাহমুদ
৩২। কোটায় আক্রান্ত গোটা দেশ,
কোটা ছাড়া অচল জাতি।
হয়ে যায় নির্বিশেষ।
কোটার রাজনীতি চলছে যুগে যুগে,
কোটার জ্বরে কাপছে দেশ
কাপছে দেশ
৩৩। জীবন ভরে মেধার বদল
ঘুষ বানিজ্য চলে,
তবু কেন চাকরি পেতে
কোটার কথা বলে?
~ নাজমুন নাহার
৩৪। সমতার মমতায় রায় হোক
বৈষম্যের বারুদ ছাই হোক।
ভোর আসবে,কাটবে রাত
নয় আর রক্ত সংঘাত।
দামাল ছেলের ইতিহাস
আগুন হলে সর্বনাশ।।
৩৫। তোমরা তো দেশপ্রেমেতে অন্ধ হয়ে দেশটাকে আজ নিলামে তুলছো,
আমরা না হয় রাজাকারই হলাম, স্বদেশটাকে বাঁচানোর জন্য !
~ আতিয়া মাহজাবিন
৩৬। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ!
সব বন্ধ করে গণহত্যা করছে না তো?
আমি কোন দলের না আমি সত্যের পথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী একজন মানুষ
৩৭। লাল সবুজের পতাকা আজ
রক্তে হলো লাল,
ঠুকরে ঠুকরে আঘাত করছে
ঐ শকুনের পাল।
~ মোহাম্মদ মিজান মাঝি
৩৮। “শহীদ আবু সাইদ”
বাতেন ভূঁইয়া
আমি চোখ বন্ধ করলেই দেখি
দু’হাত প্রশস্থ সুপারম্যান আবু সাইদ।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে যে কিনা
বেজন্মার গুলিতে হয়েছে শহীদ।
৩৯। পতাকা ছুঁয়ে, ভাইয়ের তাজা রক্ত ছুঁয়ে, রক্তাক্ত মানচিত্র ছুঁয়ে নিয়েছি শপথ
পুলিশের পরোয়া করবোনা,এই রাজপথ ছাড়বোনা যতোই নেমে আসে বিপদ।
৪০। এখন আর সংলাপের সময় নেই –
আমরা জানি কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়
সন্ত্রাসী হামলা করে জাগাতে পারবেনা অন্তরে ভয়
আমারা নির্ভীক, নির্ভয়- ইনশাআল্লাহ হবে জয়।
৪১। রক্তে কেনা সোনার দেশে, কোটা দিল দন্দ লাগিয়ে
আবারো আসিল বাংলায় ৫২,৭১ ফিরে।
৪২। কোটার বাঁশে প্রশ্ন ফাসে, দুর্নীতি এখন উর্ধে
নিরব তরুণ জেগেছে, বিদ্রোহি এখনো বেঁচে আছে।
৪৩। কোটার কোপাট ভাঙবে এবার, গেলেও হাজার প্রাণ
বৈষম্য যাবে ফিরে নিরব তরুণ জেগেছে।
৪৪। “মিছিলে প্রেম”
সত্যি করে বলছি আমি
তোমায় ভালোবাসি
পতাকাটা বাঁধতে গিয়ে
চোখের কোণায় ভাসি।
আমার কিছু ভাল্লাগে না
রক্ত ঝরে বুকে
জয়ী হয়ে ফিরে এসো
ঘর বাঁধিব সুখে।
যখন শুনি সেই তুমিটা
মৃত্যুঞ্জয়ী বীর
নির্বাক আমি ঐ যন্ত্রনায়
কলিজা চৌচির।
ঐযে ‘জবাব চাই জবাব দাও’
স্লোগান তোমার কণ্ঠে
মানুষগুলো হুবহু মানুষ
জানটা নিলো লুণ্ঠে।
মিছিলে মিছিলে শুনি
দিশেহারা শব্দ
তুমি ছাড়া ধুঁকে মরি
ভালোবাসা জব্দ।
~ মেহেনাজ পারভীন
৪৫। কোটার ইসু
এ আই টিপু
কােটার ইসুতে দেশ এখন
রক্তের বন্যা জলে,
সিংহভাগে ভোট দিতেছে
কোটা বাতিল হলে।
মেধাবীদের মুল্যায়ন হবে
কোটা বাতিল হোক,
স্লোগানে মুখরিত সবাই
কোটায় থাকুক চোখ।
দাদার পরে নাতিরাও
পড়ে কেন রবে,
কোটার ইসু বন্ধ করে
মেধাবী থাকুক তবেঁ।
মেধাবীরা জাতীয় সম্পদ
জানা সবার থাকুক,
জ্ঞানীদের কদর করলে
মেধাবীরা বাছুক।
৪৬। আমার দেশের চাকুরীটা
কোটার ছকে বাঁধা,
হিসাব যখন করি তখন
মনে লাগে ধাঁধা।
~ মো.মেহেদী ইকবাল
৪৭। বাবার কোটায় খাচ্ছে ছেলে
ছেলের কোটায় নাতি,
হায় কী অভাগা বাঙালি
ধ্বংস হচ্ছে জাতি!
~ দেওয়ান জুলফিকার হাসনাত
৪৮। স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা কোথায়
আজও খুঁজে পাওয়া যায় নি,
স্বাধীনের পরে পরাধীন থাকবো
মোরা এমন স্বাধীনতা চাই নি।
৪৯। অনেক ত্যাগ ও সত্যিকারের আন্দোলনের ফসল এই দেশ । কিন্ত ব্রিটিশদের বহু বছরের শাসনে যে চরিত্র তৈরি হয়েছে…তার ধারাবাহিকতা চলছেই।
চরিত্র পাল্টানো সত্যিই কঠিন ।
৫০। তারা আমাদের অধিকার বঞ্চিত করে,
আমরা আন্দোলন করলাম,চাইলাম প্রতিকার।
অধিকার আদায়ের লক্ষে মাঠে নামলাম,
আর তারা আমাদের উপাদি দেয় রাজাকার।
তারা অযথা আমার ভাইবোনদের রক্ত ঝরাই,
তারা অযথা শোষণ করে,চালায় অত্যাচার।
চেষ্টা করলাম প্রতিবাদ করতে অবিচারের,
আর তারা আমাদের অযোগ্য বলে পতাকার।
আসুন সকলে মিলে গড়ে তুলি ঐক্য,
ভীতরে জাগিয়ে তুলি দেশপ্রেম,ন্যায়পরায়ণতা।
আসুন সকলে মিলে পতন করি স্বৈরাচার,
গর্জে উঠি, বর্জন করতে পরাধীনতা।
রাজপথ আজ আবারও রঞ্জিত ছাত্রদের রক্তে,
বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠুক শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে,
সময় আবার এসেছে দূর করতে বৈষম্যতা,
সময় এসেছে আবারও অর্জন করতে স্বাধীনতা।
~ আলিফা আফরিন
কোটা আন্দোলন নিয়ে কবিতা
সূর্যালোকে আঁধার
মোঃ শরীফ উদ্দিন
পাক দালাল হীন এই না ভূমে
লড়ছে না কে বল্,
যুদ্ধের মাঠে মুক্তির মুখে
কে দিয়েছে জল?
কেউ দিয়েছে শত্রুর সন্ধান
কেউ দিয়েছে ভাত,
দালাল ছাড়া কার না ছিল
মুক্তিযুদ্ধে হাত।
একাত্তরের মহীয়ানদের
কই এখানে নাম,
পাক তাণ্ডবে যাদের দেহে
ঝরেছিল ঘাম?
রাজাকার ঐ ছিলো কয়জন
গণাবাছা ভাই,
সবাই ছিলো মুক্তি যোদ্ধা
সনদ কারো নাই।
বুলেট বোমা লাঠি হাতে
কে না টানছে দাঁড়,
নাই বলে আজ হাতে সনদ
তারা রাজাকার।
কোটা বিহীন হলে কানুন
বাঁচত শিক্ষার মান,
গাইত না কেউ এখানে আজ
উল্টো পালটো গান।
এত মূল্যের মুক্তির সনদ
জানলে জনগণ,
রাখতো সনদ সবার হাতে
বাঁধতো নাতো রণ।
চিহ্নিত ঐ বেঈমান ছাড়া
বাংলার যোদ্ধা সব,
শিক্ষার মান ক্ষুন্নতায় নয়
কোটা ভিত্তিক জব?
যে দিয়েছে যোদ্ধা কে ঠাঁই
রাজাকার কি সে,
রাজাকার ভাই কে এখানে
বলো রে ভাই কে?
বিচ্ছিন্ন আজ জনতার বোধ
তাই বিবর্ণ রুখ,
অধীনতার অধিকারে
স্বাধীনতার বুক।
আমরা এবার রাজাকার
রেবেকা সুলতানা
ছাত্রসেনা নামো মাঠে,
যুদ্ধ হবে অগ্নী বেগে।
সাহস থাকলে ধরুক, স্বৈরাচার,
আমরা এবার রাজাকার।
রক্তে ভিজুক আবার পথ,
কৃষ্ণচূড়া হলুদ হোক।
মারছে লাঠি, মারছে গুলি
মৃত্যুশয্যায় ডাকছে পাখি।
মিছিল হবে, মিছিল হবে
ছাত্রদলের মিছিল হবে
গর্জে উঠো সবাই সেরা
অধিকার দিবে তারাই তারা
সাহস থাকলে রুখুক, স্বৈরাচার,
আমরা এবার রাজাকার!
গড়বে দেশ মেধায় নাকি?
গড়ছে তো কোটা ধারি!
ভাই বোনের আর্তনাদ-
শিউরে উঠে রক্ত-দাগ।
আবার হবে ইতিহাস!
ছাত্রদলের ঐক্যবাদ।
ভিজবে আবার রাজপথ,
স্বৈরাচারীর পতন হক-
আমরা এবার রাজাকার-
কোটা সংস্কার চাই
সালমান সেলিম
স্বাধীন দেশ আজ যেন
পরাধীনতায় বন্দি,
এই হাল হলে চলবে কি
দেশ- জাতি?
কোটা প্রথা কোন দেশে
নাই হায়,
তবে সোনার বাংলা চলে
কেন কোটায়?
মেধাবীদের মূল্যয়ন হবে
চাই সবে,
কোটা প্রথা কবর দিতেই
যে হবে।
মানি না মানবো না যে
আমরা আর,
কোটা সংস্কার করা হোক
দাবি সবার।
রক্ত ঝরছে শিক্ষার্থীদের
শরীর থেকে,
এজন্য কি তবে বাংলাদেশ
স্বাধীন হয়েছে।
যদি মরে আর কেউ ঝরে
যদি রক্ত,
যুদ্ধ আবারও হবে বললাম
কথা শক্ত।
কে শোধাবে ঋণ
নূরজাহান নীরা
বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ জবাব দেবে কে?
দেখল বাবা তারা ছেলেকে রাস্ট্র মেরেছে।
দাবী আদায় করতে এসে খুলে ছিল মুখ
স্বৈরাচারীর গুলি এসে ঝাঝরা করল বুক।
মায়ের ছেলে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দিবে কে?
রাজপথ কেনো রক্তে লাল রাস্ট্র জবাব দে।
স্বাধীন দেশে বায়ান্ন আর একাত্তরের দিন
আসল কেনো ফিরে আবার কে শোধাবে ঋণ।
কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ হউক
আউলিয়া আক্তার সীমা
আমরা করব কেন ভয়?
যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনব জয়।
নেমে আসো সবাই রাজপথে,
কোটা সংস্কার কবর দিব একসাথে।
দেশটা তোমার আমার সবার,
ফিরিয়ে দাও মেধার অধিকার।
প্রতিবাদ করলে কেন হব রাজাকার?
যুদ্ধ করব, করব এর প্রতিকার।
বুকের তাজা রক্ত দিল কতশত ভাই,
তাও আমরা আমাদের মেধার অধিকার চাই।
এক হও ছাত্র সৈনিক দল,
দেখিয়ে দিব আমাদের একতা শক্তির বল।
শত্রুর বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস আমাদের আছে।
আমরা যুদ্ধা, আমার বীর মনোবল আমাদের আছে।
রক্ত ঝড়ে যুদ্ধ শেষে,
কোটা সংস্কার দমন করে ফিরব ঘরে হেসে।
কোটা চাই না
এ.আ.শ্রাবণ
এ কোন আজব দেশে জন্মেছি হায়!
মেধাবীরা আন্দোলন করে মেধার মূল্যায়ন চায়।
অন্যায় তো করেনি তাঁরা,চেয়েছে অধিকার,
অথচ শকুনের দল প্রচার করছে ছাত্ররা রাজাকার।
নিরাপদ সড়ক,মেধার মূল্যায়ন এসব চাওয়ার বিষয়!
জনগনের কথা ভাবা কি তাদের কর্তব্য নয়!
লিখতে চেয়েও লিখছি না বেশি কিছু,
অন্যথায় আমায় মেরে বানাবে অন্য আর এক ইস্যু।
খাদ্যের যোগান না চেয়ে মুক্তি আগে চাও,
হিংস্র হায়নায় বিষ দাঁত উপড়ে তুলে নাও।
কোটা সংস্কার দাবি
বাসুদেব সরকার
আমরা যারা সাধারণ লোক
তাদের কোটা নাই,
কোটা ঠেলে কেমন করে
চাকরি আমরা পাই।
চাষি শ্রমিক কামার কুমার
দেশে করে বাস,
চাষির ছেলে চাষি হয়েই
করবে জমি চাষ?
খেটে খাওয়া সাধারণের
স্বপ্ন পুড়ে ছাই,
চাকরি প্রাপ্তির অধিকার তো
বৈষম্যহীন চাই।
কোটায় দখল করে নিচ্ছে
চাকরির সকল পদ,
সংখ্যাগুরুর দাবি কোটা
সংস্কার বা রদ।
বাংলা ব্লকেড
শাহিন আক্তার (স্নেহা)
আমি ৫২ দেখিনি,
দেখিনি ফাগুনের রক্তলাল ইতিহাস।
আমি ২৪ দেখেছি,
দেখেছি আষাঢ় এর শেষদিনের রক্তপাত।
আমি ২১ শে ফেব্রুয়ারী দেখিনি,
দেখিনি রফিক, সালাম, জব্বার।
আমি দেখেছি বাংলা ব্লকেড,
দেখেছি ১৫ই জুলাই এর রক্তপাত।
দেখেছি আবু সাইদ এর লাশ।
আমি ভাষা আন্দোলন দেখিনি,
শুনেছি ইতিহাস।
আমি দেখেছি কোটা সংস্কার আন্দোলন,
যা আরেকটি ইতিহাস।
আমি ২৪ শের তারুণ্য দেখিছি,
শুনেছি ছাত্রদের হুংকার।
দেখেছি রাজপথ উত্তাল।
আমি হয়েছি সাক্ষী,
ভাইয়ের রক্তে জাতীয় পতাকা লাল হওয়ার।
আমি সাক্ষী হয়েছি,
রাজপথে ছাত্রদের মরবার।
আমি দেখেছি বৈষম্য ভেঙ্গে,
সাম্যতা আনার হাজারও মেধাবীর শত প্রয়াস।
দেখেছি আমি,
সারা বাংলায় আরেকটি ৫২ রচনার।
কোটা আন্দোলন নিয়ে অনুচ্ছেদ
অধিকারের প্রশ্নে আপোষহীন
~ হাম্মাদ সাদিক
মানবতা কতটা অসহায় এখানে! বিবেক নির্লিপ্ত। নির্মমতার ঠিক কোন স্তর বলা যায় এটাকে।
সময় বদলাবে। অস্ত্র বদল হবে। দুনিয়ার কোন কিছুই স্থায়ী নয়। যুগের পালাবদল হবে। ক্ষমতার রদবদল হবে। সবকিছুর হিসাব নেয়া হবে।
আমরা বীরের জাতি। দুধের শক্তি আছে। আমাদের মায়েরা হেরে যেতে শেখায় নি। দমে যাওয়া আমাদের সংবিধানে নেই। আমাদের পূর্বসূরির দেহে বারুদ ছিল। বৃদ্ধদের বাহুতেও পেশি ছিল।
আমরা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছি। ৫২ এ রক্ত দিয়েছি। আমরা দেশের জন্য লড়েছি। ৭১ এ মায়ের বুক খালি করেছি। মানচিত্র এনেছি। সবুজ পতাকা তাজা রক্তে সিঞ্চন করেছি। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আমরা সর্বদা আপোষহীন থেকেছি।
তোমাদের অস্ত্র আছে। আমাদের বুকে সাহস আছে। মনে রেখো, অস্ত্র একসময় শেষ হয়ে যায়, কিন্তু সাহস কখনো শেষ হয় না। বুকের ভেতর জ্বলে ওঠা স্পৃহা কখনো নির্বাপিত হয় না।
একবার স্বাধীনতার জন্য লড়েছি।
এবার লড়বো অধিকারের জন্য!
চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার
~ বর্ষা
যদি রাজাকারই হতো তাহলে ঢাকা শহর এতোদিনে লাশের শহরে পরিণত হতো। ক্ষয় ক্ষতির হিসাব করতে করতে আপনাদের দিন চলে যেতো। রাজাকার আমরা নই রাজাকার তারা যারা ক্লাস রুমে নিজের পাশে বসা ভাইদের মারছে। একটা সময় যে ভাইদের কাঁধে হাত রেখে রাস্তা দিয়ে চলতো সেই রাস্তায় সেই ভাইদের মারছে। যাদের সাথে এক রুমে থেকেছ তাদের মারছে। পরীক্ষার সময় পাশের আশায় যাদের কাছ থেকে একটু সাহায্য নিয়েছে তাদের মারছে।
আমরা যদি রাজাকারের তালিকায় থাকতাম তবে প্রথম থেকেই যুদ্ধ লেগে যেতো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আমরা করতাম না। প্রথম থেকেই রড হাতে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারতাম। এই শিক্ষা আমাদের নাই। এই শিক্ষা তাদের আছে যারা আজ নিজের ক্লাসমেটকে মারছে। যারা একবারও ভেবে দেখছে না তারা কাদের মারছে। যাদের মারছে তারা কোনো না কোনো ভাবে তাদের ভাই তাদের বোন হয়। মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়ার আগে তারা একবারও তাদের মায়েদের মুখ মনে করছে না। একবারও ভাবছে না তাদের ঘরেও বোন আছে। তারা কোনো একদিন কোনো এক নারীকে বিয়ে করবে। কোনো এক কন্যার পিতা হবে। ভুলে গেছে তারা সব। অন্ধ হয়ে গেছে তারা। বিচার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে তাদের।
আমরা চাই অধিকার। যাতে আমরা এবং পরবর্তী শিক্ষার্থীরা যাদে এই বৈষম্যের শিকার না হয়। আমরা রাজাকার না। কোনো না কোনো ভাবে আমাদের দাদু, বাবারা যুদ্ধ করেছেন। হ্যাঁ হয়তো তারা অস্ত্র হাতে তুলে নেয় নি। কিন্তু তারা সেই সময়ে তাদের প্রাণের বাংলাদেশে ঠিকে থাকার জন্য লড়াই করেছন। তারা দেশ ছেড়ে যায় নি। রাজাকার হলে সেই কবেই দেশ ছেড়ে চলে যেতো। তাই রাজাকার ডাকার আগে অনন্ত একবার ভাবুন। রাজাকার কাদের ডাকছেন যাদের জন্য আজ আপনি সিংহাসনে বসে আছেন তাদের। কিছুদিন আগেই তো এই রাজাকাররা আপনাকে এই সিংহাসনে আবার নতুন করে বসালো।
আমরা চাই অধিকার আমরা রাজাকার না।
কোটা সংস্কার আন্দোলন
~ এম.কে.জাকির হোসাইন বিপ্লবী
কোটা থাকা দরকার, তবে মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য নয়।৭১ রে যুদ্ধের কারন ছিলো দেশকে পরাশক্তির কাছে থেকে রক্ষা করে দেশের মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন করা।যোগ্য ব্যাক্তিদের কে দিয়ে দেশের সকল বিভাগ পরিচালিত করা।কিন্তু আজ কোটার নামে দেশে যোগ্য মেধাবীদের মূল্যায়ন কমে যাচ্ছে। দেশের জন্য ত্যাগ যারা ত্যাগ শিকার করেছে আমরা অবশ্যই তাদের সম্মান করি।কোটা দেশের সর্বক্ষেত্রে একটি ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।কোটা ব্যাতিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাখা উচিত। যেমন শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে মুক্তি যুদ্ধা পরিবারের প্রতি সরকারি সহায়তা থাকা উচিত। তবে চাকরি ক্ষেত্রে একমাত্র মেধাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী কোটা ব্যাতিত বাকি সব কোটা বর্জন করা উচিত।
সাম্প্রতিক সময়ে তরুন মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সরকারের নীতিবাচক বিষয় থাকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা না করে সরকার আন্দোলনকারীদের উপর যে বর্বর হামলা এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছে, তা স্বাধীনতার স্বার্বভৌমত্বে কলংকজনক প্রভাব বিস্তার করে।সরকারের এরকম জ্ঞানহীন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমার বিশেষ বক্তব্য।
কোটার মাধ্যমে এদেশের মুক্তি যুদ্ধাদের কে সম্মানের পরিবর্তে অপমান করা হচ্ছে।মুক্তি যুদ্ধাদের অর্জিন স্বাধীনতাকে বাজারের পন্যের মতো ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। স্বদেশের মাটিতে বন্ধুত্বের নামে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের বর্তমান অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একমাত্র কারন কোটা।দেশে এখনও অনেক মুক্তি যুদ্ধা রয়েছে, যারা সরকারের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজাকার হয়ে বসে আছে।প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা হওয়া সত্বেও সরকারি সব-রকম সুযোগ সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। অন্যদিকে কোটা অন্তর্ভূক্ত এমনও মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে যাদের জন্ম হয়েছে একাত্তরের পরে।অথচ তারা আজ মুক্তিযুদ্ধা।শুধু তাই নয়,কোটা অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধা রয়েছে,যাদের সামনে স্বাধীনতার সম্মান কলুষিত হচ্ছে, কিন্তু তারা কোটা নিয়ে আনন্দিত।সরকারের অনিয়ম কে নিরবে মেনে নিচ্ছে। আমার প্রশ্ন, একাত্তরের যুদ্ধ কিসের জন্য হয়েছিলো?কোটা নাকি স্বাধীনতা!
চলবে,,,
বর্তবান বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের নির্যাতিত চিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছে একদল সন্ত্রাসী
~ জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান
বর্তমান বাংলাদেশের সকল ইউনিভার্সিটি গুলো সংঘর্ষের ভূমিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে যে কোটা সংস্করণের আন্দোলন চলতেছে এখন সেই ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিবারণ করতে ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসীদের’কে মাঠে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানিরা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলার ছাত্রদেরকে যেভাবে নির্যাতন,হামলা করেছে, ঠিক একই চিত্র ফুটে তুলেছে ২০২৪ সালে এসে এই ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসবাদীরা । আজ নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্ররা আহত নিহত হচ্ছে সেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে। আজ কয়েকটা নিউজ দেখলাম, শিরোনাম ছিল এমনি, কোটাবিরোধীদের হটিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলী, এখানে আমার একটা প্রশ্ন হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণের কারণটা কি? এটা কি কোন যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণের অবাধ প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল কেন। কোটা বিরোধী আন্দোলন করতেছে এটা তাদের ন্যায্য অধিকার। আপনি তাদের অধিকার তাদেরকে দিয়ে সমাধান করেন। আপনি তাদের অধিকার না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা লাগিয় দিছেন কেন? এটা কোন যুক্তিতে । আজ প্রথম আলো নিউজে দেখলাম ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা। এখানে বেশ কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করেছে এমন অভিযোগ পেশ করেছে। কালের কন্ঠের নিউজে এসেছে, মধ্যরাতে উত্তাল চুয়েট। এ বি এন নিউজে প্রকাশ করেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্করণ আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ হামলা, হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসবাদীরা।
দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশ করেছে, চবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী দুজন শিক্ষার্থীকে আহত করছে ছাত্রলীগ। আরো কয়েকটা নিউজে চোখে পড়লো, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্করণ আন্দোলনকারী ১০ জন ছাত্রকে আহত করছে ছাত্রলীগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত করা হয়েছে দুইজন শিক্ষার্থী আহতকারী ছাত্রলী। আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই যে দুটি শিক্ষার্থীর দল এদের মধ্যে পার্থক্যটা কি ছিল ? এখানে যারা ছাত্রলীগ নামধারী বিরোধীতা করতেছে তাদের কী চাকুরির প্রয়োজন নাই তারাও তো একই সমস্যার সম্মুখীন হবে। কেন তারা এই স্বার্থটা বুঝতে পারছে না? কেন তারা তাদের কোটা সংস্করণ ভাইদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে । এখানে কারণ’,টা হলো তারা প্রকৃতপক্ষে ছাত্র না তারা হলো ছাত্রলীগ। তারা একটা দলের গোলাম মূর্খ নেতারা যা আদেশ দেয় তা মানতে তারা বাধ্যনীয়। তাদেরকে এমন নিষ্ঠুর ভাবে গড়ে তুলেছে তারা তাদের ভাইদের বুকে গুলি চালাতে একটু ও দ্বিধাবোধ করে না। তাদের মধ্যে কোন মানবিকতা মনুষত্ব্য ও বিবেক বেঁচে নেই। তারা কেউ তো একবারও জিজ্ঞেস করেনি তাদের নেতাদেরকে কেন আপনারা এমন করতেছেন তারা তো অন্যায় কিছু করতেছে না। এটা দ্বারা সুস্পষ্ট বুঝা যায় ছাত্রলীগ ছাত্রদের কল্যাণের কোনো সংগঠন নয়। ছাত্রলীগরা কেবল দুর্নীতিবাজ সরকারের পা চাটা গোলাম। এভাবে যদি বিভেদ সৃষ্টি করে সরকার তাহলে রাষ্ট্র কিভাবে অগ্রসর হবে। পৃথিবীর কোন দেশ বিভক্তি সৃষ্টি করে সামনে অগ্রসর হতে পারে না। এটা কেমন রাজনীতি। কিসের ভিত্তিতে সরকারি দলের সেক্রেটারি কোটা বিরোধী আন্দোলনকে সংবিধান বিরোধী বলেছেন। “সংবিধানে বলা হয়েছে, সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন৷ মানুষে মানুষে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”। সংবিধান অনুযায়ী কোটা রাখাটাই সংবিধান বিরোধী। যদি কোটা রাখা হয় তাহলে সকল নাগরিকের সুযোগের সমতা হয় না। এখানে ১% চেয়ে কম মানুষ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে বাকি সবগুলো বিপক্ষে। এখানে ১% জন্য সরকার বিভেদ সৃষ্টি করে দিচ্ছে, সন্ত্রাসদের মাঠে নামিয়ে দিচ্ছে কেন? মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনিদের ব্যাপারে কোটা থাকার কোন লজিক বা যুক্তি আছে কী ? আপনারা যাদেরকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তারা ব্যতীত আর কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই। এই দেশ স্বাধীন করার জন্য আর কারো কি অবদান ছিল না। যারা মারা গেল তারা কী মুক্তিযোদ্ধা না তাদের কি কোন অবদান নেই। তাদের অবদান স্বীকার করতে কি সমস্যা আপনাদের? আপনারা কিভাবে বলতে পারেন যারা আপনাদের তালিকাভুক্ত আছে তারা ব্যতীত আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা নই। এদেশে রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া কি আর কোন মানুষ নেই? কিভাবে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা চাকুরি পাবে নাকী রাজাকারের নাতি-নাতনিরা চাকুরি পাবে এখানে কি মধ্যখানে আর কেউ নাই এ দেশে। প্রধানমন্ত্রীর এই কথা দ্বারা বুঝা গেল , মুক্তিযোদ্ধা ব্যতীত বাকি সবাই রাজাকার। এই কথা তো সকল ছাত্রের হৃদয়ের গহীনে লেগেছে এজন্য তো তারা এমনভাবে স্লোগান দিয়েছে, ” তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার “। এই স্লোগান তো শুনতে এবং দিতে কারো ভালো লাগে নাই। আপনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি পদকপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরল একটা বক্তৃতা দিতে এমন কথা বলছেন মুক্তিযোদ্ধা ব্যতীত বাকি সব রাজাকার। আপনি এটা দ্বারা ছাত্রদেরকে অপমান করলেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থেকে অপমানিত হয়ে ছাত্ররা এমন স্লোগান দিতে বাধ্য হয়েছে “চাইলাম অধিকার,হয়েছি রাজাকার, কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার”। এতে ছাত্রদের প্রতি কোনরকম দোষ দেওয়া যাবে না। এ কথার মধ্যে যে চরম আর্তনাথ লুকিয়ে আছেনএটা কি একটু খেয়াল করে দেখছেন। তারা অধিকার চেয়েছে আপনি তাদের কে রাজাকার বললেন এটার কি কোন যুক্তিক আছে আদৌ। তাদের অধিকার দিয়ে তাদের কে সমাধান করুন। এটা একটা জাতীয় সমস্যা এখানে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সমাধান করা যাবে না।