কবি মোঃ এমদাদুল হক ইয়াছিন -এর সেরা ২টি কবিতা হচ্ছে অন্তিমের পথে ও শরৎ
অন্তিমের পথে
মোঃ এমদাদুল হক ইয়াছিন
জীবনের মানে খুঁজি
খুঁজি জীবনের অর্থবাচকতা,
আশা-নিরাশা, চাওয়া-পাওয়ার খাতায়
বিশাল শূন্যতায় দাগ টান।
আশা-নিরাশার ঢেউয়ের মাঝে
আমার এ জীবন যেন দুলছে,
জীবনের যত সৃষ্টি, যত কর্ম
সব মহাকাল ভাসিয়ে নিয়ে গেল অন্তিমের পথে।
তীর ভাঙা ঢেউ আর বিক্ষুব্ধ প্রতিকূলে
পড়ে রইলাম নিঃসঙ্গ একা আমি।
নীল আকাশে সাদা মেঘ
ভেসে ভেসে বেড়ায়
মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়
বর্ষা নেয় বিদায়।
সোনালী রোদে মেঠো পথে।
লুকোচুরি খেলে
নদীর তীরের কাশফুলেরা
মাথা দুলিয়ে নাচে।
ভোরবেলাতে শিউলি ঝরে
হৃদয়ে খুশির ছোঁয়া
সবুজ ঘাসেরা গান ধরেছে
শিশিরে হয় ধোয়া।
গাছ-গাছালীর ঘন বন
হাতছানিয়ে ডাকে
কৃষক মাঠের ধান শিশুরা
মুচকি মুচকি হাসে।
শরৎ তুমি রূপের রানী
তোমায় ভালোবাসি
তোমার প্রেমে সাড়া দিয়ে
কবিতাটি লিখি।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
তরুণ কবি মোঃ এমদাদুল হক ইয়াছিন ১৯৮৭ ইং সালের ১৫ অক্টোবর কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। একাধারে তিনি কবি, লেখক, সংগঠক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। স্কুল জীবন থেকেই তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লেখা শুরু এবং বর্তমানে নিয়মিত লিখছেন কুমিল্লার স্থানীয় ও দেশের প্রথম শ্রেণীর জাতীয় পত্রিকা গুলোতে। এ পর্যন্ত সাহিত্য ও সমাজ সেবায় তিনি এক ডজনেরও বেশি পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ কবি নজরুল সাহিত্য পদক, কবি ফররুখ আহমদ স্মৃতিপদক, বঙ্গবন্ধু লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড, রবীন্দ্র লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিজয় দিবস সম্মাননা, অমর একুশে সাহিত্য পদক, তরুণ সাহিত্য পদক, কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মৃতি পদক। তিনি জনপ্রিয় সাহিত্য পত্রিকা ‘মাসিক সাহিত্য কন্ঠ’র সম্পাদক ও ‘সাপ্তাহিক মেহেরকুল’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ সমূহ হলো – এইতো জীবন, ক্ষনিকের জীবন ও একাকী জীবন।