আজকে আমরা জানবো কেন মেহেদী দিলে রঙিন হয়। আমরা নিয়মিত আমার হাত রাঙানোর জন্য হাতে মেহেদী দেই। মেহেদি মূলত আমরা গাছ থেকে পাই আবার দোকান থেকে কিনে ব্যবহার করি যেটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি। কৃত্রিম ভাবে তৈরি হওয়াতে আমরা তা খুব সহজে জানতে পারি।
মেহেদি দিলে রঙিন হয়
সচারাচর কিছু পরিবর্তন দেখে আমরা অবাক হই। তেমনি একটা পরিবর্তন হচ্ছে, মেহেদি দিলে রঙিন হয়। কেন হয়? এই প্রশ্ন টা অনেকের মনে ঘুর পাক খাচ্ছে। আমরা সাধারণ ভাবে না ভাবলেও আমাদের সমাজে অনেক সৃজনশীল মানুষ অথবা ছোট বাচ্চাদের এসব জানার প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। আমরা জানব কিভাবে মেহেদী দিলে রঙিন হয়।
মেহেদি দিলে রঙিন হয় কেন
মেহেদী দিয়ে রঙিন হয় বিষয়টি সম্পূর্ণ রাসায়ের যাদু। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি এই মেহেদী যখন আমরা শরীরর কোন স্থানে দেই। সেই স্থানটি রঙিন হয়। এর সু নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও রয়েছে। যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
মেহেদি দিলে রঙিন হয় রাসায়নিক ব্যাখ্যা
মেহেদী তৈরি হয় কিভাবে? এটা সবার জানা মেহেদী পাতা থেকে বা হেনা থেকে। এইসব পাতায় প্রচুর পরিমাণের হেনোট্যানিক অ্যাসিড থাকার ফলে ত্বককে রঙিন করে তোলে। তাই হেনা পাতার লসোন বা মেহেদি তে হেনোট্যানিক অ্যাসিড থাকে। যার ফলে তা যখন আমাদের ত্বকে দেওয়া হয়, তখন এই রঞ্জন উপাদান টি শরীরের কেরাটিন প্রোটিনের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত করে। পরবর্তীতে, মেহেদী দিলে রঙিন হয়। বিশেষ করে আমরা যখন হাতে, চুলে এবং নখে দেই তখন তা স্থায়ীভাবে রঙিন করে তোলে।
জনপ্রিয় কিংবা বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন Human Search Platform
এই রং কত দিন থাকে
এই রং ত্বকের স্থায়িত্বের উপর ভিত্তি করে রঙিন থাকে। অর্থাৎ ত্বকের যতদিন না ত্বকের উপরিভাগের কোষ মারা যাবে বা চুল/নখ কাটা না হবে ততদিন তা রঙিন থাকবে। আমাদের ভুল ধারণা হচ্ছে বেশি বেশি হাত ধোয়া হলে মেহেদীর রং তাড়াতাড়ি উঠে যায়। মেহেদি দিলে রঙিন হয়, এই রং স্থায়ী। যার পরিবর্তন সম্ভব ওই ত্বকের উপরি ভাগের কোষ পরিবর্তন দ্বারা।
নিয়মিত পড়ুন এবং লেখুনঃ- চিরকুটে সাহিত্য প্লাটফর্মে |