বৃদ্ধাশ্রম
জুলফিকার জুয়েল
সোনার জীবন করে অঙ্গার
মানুষ করে তুলে,
সকল অবদান ভুলি তাদের
পেয়ে প্রাচুর্য যে।
যে মায়ের স্তন্য পানে মোরা
বড় হইল খোকা,
আজ মাকে করে অবহেলা
সে আদরের বেটা।
পিতামাতার ঘাড়ে পা রেখে
মানুষ হইলাম ভবে,
কেমন করে ভুলি তাদের কে
বসে অট্টালিকার পরে।
ঘরে যে তুলে নতুন মেহমান
করি অনেক সুখ,
তারই কথায় করি অপমান
নেই না যে খোঁজ।
চিন্তা মোরা একবারো করি না
আমিও তো বৃদ্ধ হবো,
তখন বৃদ্ধাশ্রম ভাগ্যে হবে না
কেউ কি তা জানো?
এমন কুলাঙ্গার ভবে নেই যে
নিজে থাকে ঘরে,
পিতামাতা থাকে যে ভীনদেশে
কালো কুঠরী বৃদ্ধাশ্রমে।
করতে গিয়ে মানুষ মোদের
সব হারিয়ে নিঃস্ব,
শেষ বয়সে নিলোনা তাদের
কেউ যে দায়িত্ব।
যা কিছু ছিল সব দিলো ঢেলে
তাও সংসারের যম,
তবুও মঙ্গলকামনা মোর করে
বসে যে বৃদ্ধাশ্রম।
লেখক পরিচিতঃ কবি জুলফিকার জুয়েল ২২শে ডিসেম্বর ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ (৬ই পৌষ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ) গাজীপুর জেলা, শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের নিজমাওনা গ্রামের মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম জুয়েল রানা। সাহিত্যিক নাম জুলফিকার জুয়েল। তাঁর পিতার নাম মৃত আব্দুর রহিম এবং মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি নিজ গ্রাম থেকে ২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করে ও ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে, শহরে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়। ২০২১ সালে সম্মানের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ছিল। তিনি একজন প্রকৃতির কবি। প্রকৃতির সাথে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের পাশাপাশি গোল্ডেন টাচ্ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত আছেন।